বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা উদযাপন করছেন তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। সম্প্রীতি ও ঐক্যর বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে মুসল্লিরা মেতে ওঠেন এই উৎসব আয়োজনে।
দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর পর বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের মুসলিমরা মঙ্গলবার (৪ জুন) ও বুধবার (৫ জুন) এ উৎসব উদযাপন করছেন। এ বছর ২৯টি রোজা শেষে শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ দেখার মাধ্যমে শুরু হয় ঈদুল ফিতর।
বিজ্ঞাপন
সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আফগানিস্তান, ইরাক ও নাইজেরিয়ায় মঙ্গলবার ঈদ উদযাপিত হয়। অপরদিকে, মিশর, সিরিয়া, জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও অন্যান্য দেশের মুসলিমরা বুধবার ঈদ উদযাপন করছেন।
বার্তা২৪.কম-এর পাঠকদের জন্য বিশ্বজুড়ে ঈদুল ফিতর উদযাপনের কিছু স্থির চিত্র তুলে ধরা হলো
আগুন থেকে সৃষ্ট বায়ু দূষণের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী বছরে ১ দশমিক ৫ (১৫ লাখ) মিলিয়নেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় বলে সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে। এর প্রভাব উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বেশি পড়েছে বলেও গবেষণায় বলা হয়েছে। এই সমীক্ষাটি জাতিসংঘের জলবায়ু আলোচনার এক সপ্তাহ পরে প্রকাশিত হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক জার্নাল দ্য ল্যানসেটের এক সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়।
জার্নালটি জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দাবানল আরও ঘন ঘন এবং তীব্র হওয়ার কারণে আগামী বছরগুলোয় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
গবেষকদের আন্তর্জাতিক দল 'ল্যান্ডস্কেপ ফায়ার' এর পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রাকৃতিকভাবে ছড়িয়ে পড়া দাবানল ও কৃষি জমিতে নিয়ন্ত্রিতভাবে মানবসৃষ্ট আগুনের কারণে এই বায়ুদূষণের সৃষ্টি হয়।
গবেষকরা বলছেন, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে হৃদরোগের কারণে বছরে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদের সবাই বায়ু দূষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলো। এছাড়াও আগুনের মাধ্যমে বাতাসে ছঁড়িয়ে পড়া ধোঁয়া ও কণা থেকে সৃষ্ট শ্বাসকষ্ট ২ লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী।
এ সমীক্ষায় বিশ্বজুড়ে মারা যাওয়া কারণগুলোর মধ্যে আগুন থেকে বায়ু দূষণের কারণে মারা যাওয়া অন্যতম। যাতে দেখা যায়, বছরে ১ দশমিক ৫ (১৫ লাখ) মিলিয়নেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
এই মৃত্যুর ৯০ শতাংশেরও বেশি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই কেবল আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে ঘটেছে।
এর প্রভাবে চীন, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং নাইজেরিয়ায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়।
এমন পরিস্থিতিতে ল্যানসেটের গবেষকরা, দাবানলে বিপুল মৃত্যুর সংখ্যা মোকাবিলায় ‘জরুরি পদক্ষেপ’ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বাতাস ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর কারণ হিসেব দিল্লির উত্তরাঞ্চলে খামারের জমি বেআইনিভাবে পুড়িয়ে ফেলার জন্য আংশিকভাবে ক্ষতিকারক ধোঁয়াশাকে দায়ী করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে অধিকতর ‘জলবায়ু বৈষম্য’কে তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে যারা সবচেয়ে কম অবদান রেখেছে, তারাই সবচেয়ে বেশি ভুগছে।
যদিও এর থেকে মুক্তি পেতে কিছু নির্দেশনার কথাও বলেছে গবেষকরা। তারা বলছে, কিছু উপায়ে মানুষ আগুন থেকে ধোঁয়া এড়াতে পারে। যেমন এলাকা থেকে দূরে সরে যাওয়া, এয়ার পিউরিফায়ার ও মাস্ক ব্যবহার করা বা বাড়ির ভিতরে থাকা।
তবে এ পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা গরীব দেশগুলোর মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেছেন তারা। তাই তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলির মানুষের জন্য আরও আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে।
পারমানবিক ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। এটি ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। নতুন এই মিসাইলের সফল পরীক্ষা ভারতের পারমাণবিক হামলার জবাবের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির নৌবাহিনী জানায়, বুধবার এ পরীক্ষাটি চালানো হয়। খবর এনডিটিভি।
এনডিটিভি জানায়, বুধবার নৌবাহিনীর বহরে নতুন অন্তর্ভুক্ত হওয়া পারমাণবিক সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাট থেকে এই মিসাইলের পরীক্ষা চালানো হয়েছে। কে-৪ নামের নতুন এই মিসাইলের সফল পরীক্ষা ভারতের পারমাণবিক হামলার জবাবের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নৌবাহিনী জানায়, সামনে আরও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হবে।
ভারতীয় নৌবাহিনীর পারমাণবিক সাবমেরিন আইএনএস অরিহন্ত এবং আইএনএস আরিঘাট উভয় থেকেই ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়া যায়। গত আগস্টে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তম ভিত্তিক শিপ বিল্ডিং সেন্টারের মাধ্যমে আরিঘাটকে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আগামী বছর দেশটির নৌবাহিনীতে এই একই ধরনের আরেকটি সাবমেরিন অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামীকাল সংসদে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে বিবৃতি দিতে পারেন জয়শঙ্কর। স্বাভাবিকভাবেই দেশটির বিরোধী দলগুলোও এই ইস্যুতে কোনো আপত্তি তুলবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের গ্রেফতার নিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের উত্তেজনা নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
গত ২৫ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহসহ একাধিক মামলায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের সাবেক সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেফতার করে পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
এই সনাতন জোট নেতার গ্রেফতার এবং জামিন নামঞ্জুরের ঘটনায় ২৬ নভেম্বর ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্বেগ প্রকাশ করে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেফতার ও তাকে জামিন না দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
ভারত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর ওপর উগ্রবাদীদের একাধিক হামলার পর তাকে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটল। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ; একই সঙ্গে মন্দিরে চুরি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের ঘটনায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের এমন ভিত্তিহীন বিবৃতি দুই দেশের বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিটি বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এমন একটি বিষয় নিয়ে এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এরপরও অত্যন্ত হতাশা ও গভীর দুঃখের সঙ্গে সরকার লক্ষ করছে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করার ঘটনাকে কিছু মহল ভুলভাবে তুলে ধরছে। (ভারতের) এ ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু সত্যকে ভুলভাবে তুলে ধরছে না, পাশাপাশি দুই প্রতিবেশী দেশের বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনারও পরিপন্থী।
ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে রাশিয়া বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রী হারমান হালুশচেঙ্কো।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
বিবিসি জানায়, ইউক্রেনের দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে সিরিজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর খবর পাওয়া গেছে। ইউক্রেনের পূর্বে খারকিভ থেকে সুদূর পশ্চিমে লুটস্ক এবং দক্ষিণে ওডেসা থেকে হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সামাজিকমাধ্যমে এক পোস্টে হারমান হালুশচেঙ্কো বলেছেন, পুরো ইউক্রেন জুড়ে জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এতে অঞ্চলজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।
তিনি বাসিন্দাদের কিয়েভের অফিসিয়াল পেইজে নজর রাখতে ও নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
কিয়েভের পশ্চিমের ২ লাখ ৬০ হাজার বাসিন্দার শহর জাইটোমিরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পানি সরবরাহ সংস্থা।