হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট নিখোঁজ
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিখোঁজ রয়েছেন।তাকে উদ্ধারে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হচ্ছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির বরাতে রোববার (১৯ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।
এসময় হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান ও আজারবাইজান প্রদেশের ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেমও ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, রোববার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর ফর ডেভেলপমেন্ট আলি জাকারি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি এখনও দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাইনি এবং ঘটনার বিস্তারিত জানা নেই।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, দুর্ঘটনা ঘটেছে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফার এলাকায়। তবে জাকারি জানান, দুর্ঘটনাটি ভারজেকানের কাছে ঘটেছে। তিনি আরও জানান, তিনটি হেলিকপ্টার ছিল, যার মধ্যে দুটি নিরাপদে অবতরণ করেছে এবং একটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত পাকিস্তানের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও তালেবান
সীমান্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে পাকিস্তানের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও আফগানিস্তানের তালেবান।
শনিবার সন্ধ্যায় আফগানিস্তানের পাকতিয়ায় বিভিন্ন গোত্র প্রধানদের সঙ্গে আলাপ করে এ কথা জানিয়েছেন এক গোত্র প্রধান। ৫ দিন ধরে পূর্ব আফগানিস্তানের পাকতিয়া অঞ্চলে পাকিস্তানের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও আফগানিস্তানের তালেবানের মধ্যে যুদ্ধ চলমান।
রোববার (১৯ মে) আনোয়ার সিদ্দিক নামে আফগানিস্তানের এক গোত্র প্রধানের বরাত দিয়ে দেশটির ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম আমু টিভি জানায়, পাকতিয়া সীমান্তের জারি আরয়ুব এবং ডান্দ-ই-পাটান অঞ্চলে পাকিস্তানে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও তালেবানের মধ্যে যুদ্ধ চলছে।
তিনি বলেন, দুটি দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী যুদ্ধবিরতির জন্য তিনটি শর্ত মেনে নিতে রাজি হয়েছে। শর্ত তিনটি হচ্ছে- কোনো পক্ষই আর কাউকে উস্কে দেবে না; সীমান্ত আবার খুলে দিয়ে সীমান্ত পথে দুই দেশের মধ্যে চলাচল ফের শুরু করা হবে এবং দুই দেশের ২০ জন করে মোট ৪০ জনের একটি প্রতিনিধি দল নজর রাখবে যেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সীমান্তযুদ্ধ আর না হয়।
কুররাম সীমান্ত দিয়ে দুই দেশের যাত্রীরা বেশি আসা-যাওয়া করেন। যুদ্ধের কারণে এ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে।
সৌদির বাদশাহ সালমান অসুস্থ
সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ প্রচণ্ড জ্বর ও শরীর ব্যথায় ভুগছেন। বেশি অসুস্থ্যতাবোধ করায় এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
রবিবার (১৮ মে) জেদ্দার আল সালাম প্যালেসের রয়্যাল ক্লিনিকে এই পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছে সৌদি প্রেস এজেন্সি।
সৌদির রয়্যাল কোর্ট জানিয়েছে, জেদ্দার রাজপ্রাসাদের ভেতর অবস্থিত রয়্যাল ক্লিনিকেই বাদশার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। তারা বলেছে. “সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে জেদ্দার আসসালাম রাজপ্রাসাদের রয়্যাল ক্লিনিকে বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। বাদশার অসুস্থতার লক্ষণের মধ্যে রয়েছে উচ্চ তাপমাত্রা এবং শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা।”
৮৮ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান ২০১৫ সাল থেকে সৌদির সিংহাসনে আসীন। তার ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমান যুবরাজ হলেও কার্যত তিনিই দেশটি শাসন করছেন। সৌদি বাদশাহর স্বাস্থ্যের খবর খুব কমই প্রকাশ্যে আসে। তবে গত এপ্রিলে রয়্যাল কোর্ট কিং ফয়সাল স্পেশালিস্ট হাসপাতালে তার ভর্তির হওয়ার খবর জানিয়েছিল। এর আগে, শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় ২০২২ সালের মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ওই সময় তার কোলোনোস্কপি ও মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়।
রয়্যাল কোর্ট আরও জানিয়েছে, চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাদশার অসুখ খুঁজে বের করতে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এছাড়া তার শারীরিক অবস্থার ওপর নজর রাখা হবে। গত মাসেও একবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ।
সেসময় রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বাদশাহ সালমান তার হার্টের পেসমেকারের ব্যাটারি প্রতিস্থাপনের জন্য রাজধানী রিয়াদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার আগে ২০২০ সালে গলব্ল্যাডার অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করেছিলেন তিনি। সেই সময় তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিভিন্ন ধরেনের জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে।
ইয়েমেন উপকূলে তেল ট্যাঙ্কারে হামলা
ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে ইয়েমেন উপকূলে গ্রীকের একটি তেল ট্যাঙ্কার লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে জাহাজটির সামান্য ক্ষতি হলেও কেউ হতাহত হয়নি। মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড এ কথা জানিয়েছে।
বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় সেন্টকম বলেছে, ১৮ মে রাত ১টার (সানা সময়) দিকে ইরান-সমর্থিত হুতিরা লোহিত সাগরে গ্রীক মালিকানাধীন একটি তেল ট্যাঙ্কার লক্ষ্য করে জাহাজ বিধ্বংসী একটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। জাহাজটি পানামা পতাকাবাহী ছিল।
সেন্টকমের বার্তায় বলা হয়, জাহাজটি সম্প্রতি রাশিয়ায় নোঙর করে চীনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল।পরে জাহাজটি ফের যাত্রা শুরু করে।
এরআগে মেরিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রে এ হামলার কথা জানিয়ে বলেছিল, ইয়েমেনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় মোখা নগরী উপকূলে জাহাজটিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।