যানজটের শহরে পরিণত হয়েছে ইয়াঙ্গুন



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ইয়াঙ্গুনে যানজট, ছবি: সংগৃহীত

ইয়াঙ্গুনে যানজট, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুন যানজটের শহরে পরিণত হয়েছে। এখানকার বসবাসরত ৭০ লাখ মানুষ কর্মক্ষেত্রে যেতে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যয় করেন।

পাবলিক ট্রান্সপোর্ট না পেয়ে ট্যাক্সি বা রাইড শেয়ারিং-এ বেশি অর্থ খরচ করার কারণে নাগরিকদের জীবনযাপনের ব্যয় বেড়ে গেছে। তাছাড়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে থাকায় গাড়িগুলোর জ্বালানি খরচের জন্য বেশি টাকা ঢালতে হচ্ছে। মিয়ানমারের মিডিয়ায় এ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানানো হয়েছে।

শহরটির প্রতিনিধিত্বকারী নগর ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ও সংসদ সদস্যরা বলছেন, এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকারকে সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। কারণ আর্থ-সামাজিক খাতে ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। এছাড়া দূষণের কারণ এবং স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব রয়েছে, তা নিয়ে এখনও কোনো গবেষণাই হয়নি। ২০৩০ সালের মধ্যে ইয়াঙ্গুনের জনসংখ্যা এক কোটিতে পরিণত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পশ্চিম ইয়াঙ্গুনের হ্যালিং শহরের প্রতিনিধিত্বকারী এমপি ইউ আং কিউ কিউ ওও বলেন, পরিবহন ব্যয় বাড়ছে, কারণ লোকজন সময়মত কাজ করার জন্য বাসের বদলে পেট্রোল বা ট্যাক্সির জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করছে।

তবে শহরের দীর্ঘস্থায়ী ট্র্যাফিক সঙ্কটের বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট জরিপ চালানো হয়নি, নগর ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ কো অং খাঁত বলেন, সমস্যাটি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে দু’টি বিষয়ে ফোকাস করা দরকার, তা হলো রাস্তায় সময় বাঁচানো ও খরচ কমানো।

a
দুঃখের বিষয় এটির দিকে কেউ নজরই দিচ্ছেন না। যানজট পরিস্থিতির উন্নতির জন্য ইয়াঙ্গুন সরকারের একটি নির্দিষ্ট নীতি থাকতে হবে। শহরবাসী কোথা থেকে যাচ্ছেন, তা তাদের জানা দরকার, তবে বর্তমানে এটি দিক নির্দেশনা ও সমন্বয় ছাড়াই চলছে।

তিনি বলেন, ইয়াঙ্গুনের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশেরও বেশি বাস ব্যবহারকারী। সরকার রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা হ্রাস করার জন্য কার্যকর নীতি অবলম্বন করেনি। উন্নততর গণপরিবহনের জন্য প্রণোদনা বিকাশের মাধ্যমে রাস্তায় যানজট কমাতে পারে।

শ্বে লিন বান শিল্প অঞ্চলের সেক্রেটারি ইউ নায় লিন জিন বলেছেন, যানজট ইয়াঙ্গুনের একটি বড় সমস্যা। বেশিরভাগ বিদেশি বিনিয়োগকারী এ শহরেই থাকেন। যানজট মিয়ানমারে ব্যবসা করার জন্য একটি 'অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ'। কারণ হ্যালিং থারিয়ার শহরে অবস্থিত শিল্প অঞ্চলটি ইয়াঙ্গুনের পশ্চিমেই অবস্থিত।

ইউ নায় লিন জিন শহরে ব্যক্তিগত যানবাহন প্রবেশ নিষিদ্ধ করা এবং ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের জন্য আইনগুলো কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন।

তিনি ইয়াঙ্গুনের দুর্বল ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা এবং যত্রতত্র পার্কিং করার অভ্যাসকে দায়ী করেন।

যদিও নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘনের জন্য তারা পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশে সরকারি নিবন্ধিত ১০ লাখ ব্যক্তিগত যানবাহনের মধ্যে ইয়াঙ্গুনেই নিবন্ধিত রয়েছে ছয় লাখ যানবাহনের। এখানে পর্যাপ্ত রাস্তা ও পার্কিংয়ের সুবিধা না থাকায় এমন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। খুব কম আইন-প্রয়োগকারী কর্মকর্তা এবং অপ্রতুল পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম এ সমস্যার সঙ্গে পেরে উঠছে না।

তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ইয়াঙ্গুনে বসবাসরত ৭০ লাখ বাসিন্দার জন্য রয়েছে মাত্র চার হাজার বাস।

a

এদিকে, মিয়ানমার ট্র্যাফিক পুলিশ ফোর্স বলছে যে তারা যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য স্কুলগুলোতে ট্র্যাফিক পুলিশকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে। যানবাহন চলাচল মসৃণ করতে ইয়াঙ্গুনের প্রধান প্রধান ট্রাফিক সিগন্যালে সরাসরি পুলিশ ট্রাফিক কাজ করছে। তবে ইয়াঙ্গুনের মতো এত বড় শহরে মাত্র এক হাজার ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে, যা নগরীতে ট্রাফিক সুচারুভাবে চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে অপ্রতুল।

সড়ক যানজট হ্রাস করতে সরকার বর্তমানে ইয়াঙ্গুন বাস ব্যবস্থার উন্নতি ও প্রসারিত করতে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) সঙ্গে সহযোগিতা করছে।

ইয়াঙ্গুনের মেয়র ইউ মাউং মাংসো যানজট কমাতে ব্যবসায়ীদের তাদের প্রতিষ্ঠান শহরতলির বাইরে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

মিয়ানমারের ৪০ শতাংশ অর্থনীতি এককভাবে ইয়াঙ্গুন যোগান দেয়। যানজট সমস্যা হ্রাস করার দিকে মনোনিবেশ না করলে চরম মূল্য দিতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।

   

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যু ‘বড় ক্ষতি’: শি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি’র মর্মান্তিক মৃত্যুকে ইরানের জনগণের জন্য একটি ‘বড় ক্ষতি’ অভিহিত করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। খবর এএফপি’র।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এক প্রেস ব্রিফিং-এ বলেন, শি ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে তার ‘আন্তরিক সমবেদনা’ পাঠিয়েছেন।

শি বলেছেন, 'রাইসির মর্মান্তিক মৃত্যু ইরানের জনগণের জন্য একটি বড় ক্ষতি এবং চীনা জনগণ একজন ভাল বন্ধুকে হারিয়েছে। চীন ইরানের ঘনিষ্ঠ ও বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার এবং তার অনুমোদিত তেলের শীর্ষ ক্রেতা।'

প্রেসিডেন্ট রাইসি ইরানের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে, জাতীয় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং চীন-ইরান ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে সুসংহত ও বিকাশের জন্য সক্রিয় প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।

তিনি বলেন, চীন ইরান সরকার ও জনগণকে সমস্ত প্রয়োজনীয় সমর্থন ও সহায়তা দিবে এবং তাদের স্বাধীনতা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন রক্ষায় সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

ওয়াং বলেন, হেলিকপ্টারে থাকা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুতেও চীন ‘গভীর দুঃখ’ প্রকাশ করেছে।

;

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাইসির স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের স্মরণে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা এক মিনিট নীরবতা পালন করেছেন।

রোববার (২০ মে) জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই পরিষদের অধিবেশনে রাইসি ও তার সঙ্গীদের স্বরণে নীরবতা পালন করা হয়। খবর আল জাজিরার।

মোজাম্বিকের রাষ্ট্রদূত পেদ্রো কমিসারিও আফনসো, যিনি মে মাসের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি অধিবেশনের শুরুতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্মরণে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের দাঁড়িয়ে এক মিনিটের জন্য নীরবতা পালনের আহ্বান জানান। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সদস্যরা দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

উল্লেখ্য, রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ দেশটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। এ ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সব আরোহী নিহত হয়েছেন।

;

রাইসির মৃত্যু গুরুতর ঘটনা, তবে দেশ এগিয়ে যাবে: মোখবার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুকে গুরুতর ঘটনা বলে মন্তব্য করে ইরানের নতুন অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার বলেছেন, তার মৃত্যুতে আমাদের কাজে কোন ব্যাঘাত ঘটবে না। দেশ এগিয়ে যাবে।

প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুর পর সোমবার (২০ মে) প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ইরানের নব-নিযুক্ত অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন।

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তকে একটি গুরুতর ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু সত্ত্বেও দেশ এগিয়ে যাবে। এজন্য প্রত্যেকেরই তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত। এই মর্মান্তিক ঘটনা কোনোভাবেই আমাদের দেশের সরকার পরিচালনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে না।

রাইসির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির জানাজা মঙ্গলবার (২১ মে) তাবরিজে অনুষ্ঠিত হবে। ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে তাসনিম আরও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি নিহত সফরসঙ্গীদেরও জানাজা হবে সেখানে। তার আগে, মরদেহগুলো তাবরিজের ফরেনসিক বিভাগে রাখা হবে।

উল্লেখ্য, রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ দেশটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। এ ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সব আরোহী নিহত হয়েছেন।

;

রাইসির মৃত্যুতে খামেনির কান্না, বললেন দেশ একজন সেবককে হারাল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন ।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর কাছ থেকে এসেছি এবং তার কাছেই ফিরে যাব। দেশ একজন আন্তরিক ও মূল্যবান সেবককে হারাল। খবর রয়টার্সের।

খামেনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের সাথে জানাচ্ছি, আমাদের একনিষ্ঠ (ধর্মীয়) আলেম, জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট, ইমাম রেজা (আঃ)-এর সেবক ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গীদের শাহাদাতের তিক্ত সংবাদ পেলাম। আল্লাহ তাদের আশীর্বাদ করুন এবং শান্তি দান করুন।

তিনি বলেন, এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটল তখন তিনি জাতির সেবক হিসেবে কাজ করছিলেন। রাইসি ছিলেন একজন মহৎ ব্যক্তি যিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার স্বল্প সময়ে জনগণ, দেশ ও ইসলামের সেবায় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। তার কাছে জনগণের কল্যাণ ও সন্তুষ্টি সবকিছুর ওপরে ছিল।

উল্লেখ্য, রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ দেশটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। এ ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সব আরোহী নিহত হয়েছেন।

;