দুদিনের ধর্মঘট শুরু করল ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের পাইলটরা



ফিচার ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেনা-পাওনা নিয়ে চলমান বিতর্কের জের ধরে দুদিনের ধর্মঘট শুরু করেছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের পাইলটরা।

এই বিবাদে বাধাগ্রস্ত হয়ে ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে ১,৭০০টি ফ্লাইট। হাজার হাজার যাত্রীকে এয়ারপোর্টে না আসতে বলা হচ্ছে।

পাইলটদের সংগঠন বালপা’র অভিযোগ, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ব্যবস্থাপকদের ব্যয় সঙ্কোচন ও ব্র্যান্ডকে সহজলভ্য করে তোলার ব্যাপারটি কমিয়ে দিয়েছে এয়ারলাইন্সের আত্মবিশ্বাস।

কিন্তু ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের প্রধান অ্যালেক্স ক্রুজ বলেছেন, বিমান পরিচালনার জন্য এত বড় বিনিয়োগ এর আগে আর হয়নি।

উভয় পক্ষই বলছে সংলাপ চালানোর ব্যাপারে তারা অত্যন্ত আগ্রহী। কিন্তু এনিয়ে কোনো তারিখ এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। দাবি পূরণ না হলে পাইলটরা ২৭ সেপ্টেম্বরে আরেকবার ধর্মঘটে যাওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে।

বালপা’র সাধারণ সম্পাদক ব্রায়ান স্টার্টন বলেন, “মধ্যস্থতায় ফিরে গিয়ে বিবাদ নিরসনে ভালো একটি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করার সময় এখন।”

কিন্তু তিনি বিবিসিকে জানিয়েছেন, যেখানে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ জনসম্মুখে বলছে তারা কথা বলতে আগ্রহী, সেখানে বাস্তবে তারা কথা বলতে বা মধ্যস্থতায় আগ্রহী নয়।

তিনি আরো বলেন, “যদিও বিবাদের বিষয় দেনা-পাওনা, কিন্তু এয়ারলাইন্সের কর্ম প্রক্রিয়া নিয়েও বিরাজ করছে ব্যাপক অসন্তোষ।”

এয়ারলাইন্স পরিচালনায় দায়িত্বরতরা কাস্টমার ও স্টাফদের কাছ থেকে শেষ টাকা-কড়িটাও চেপে বের করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তবে, পাইলটদের এই দাবি নাকচ করে দিয়ে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে বলছে, পাইলটদেরকে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বমানের বেতন।

   

মানবপাচারে ভিন্ন কৌশল, ভিয়েতনাম হয়ে মালয়েশিয়া



মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সাউথ-ইস্ট এশিয়া ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবপাচারের নতুন নতুন পথ ধারাবাহিক ভাবে সৃষ্টি করেন পাচারকারীরা। বিভিন্ন দেশের সীমান্তের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ইমিগ্রেশনকে ফাঁকি দিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথ তৈরি করছে পাচারকারীরা। পূর্বে কম্বোডিয়া থেকে থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়া পাচার করা হতো বাংলাদেশিদের। তবে সম্প্রতি ভিয়েতনাম থেকে থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়া প্রবেশ করানো হচ্ছে।

সম্প্রতি মানবপাচারের শিকার একজন নারীর সঙ্গে কথা হয় বার্তা২৪.কম এর। তিনি জানান, প্রথমে থাইল্যান্ড নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দালাল। সেখানে ৩ দিন রেখে পাঠানো হবে ভিয়েতনাম। এরপর সেখান থেকে মালয়েশিয়া প্রবেশ করানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এ বাবদ দালালকে ৪ লাখ টাকা দেয়া হলেও, থাইল্যান্ড ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত পাঠানো হয় ওই তরুণীকে।

গত রোববার (১৯ মে) মালয়েশিয়ায় উদ্ধার করা হয় ৫ জন বাংলাদেশিকে। এদেরকে থাইল্যান্ড হয়ে ভিয়েতনাম বিমানে নেওয়া হয়। এরপর আবারো থাইল্যান্ডে প্রবেশ করানোর পর নদী পথে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করানো হয়।

ভিয়েতনাম হয়ে মানবপাচারের এই চক্রটি বড় বলেই ধারনা করছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ। কুয়ালালামপুরের জালান সুলতান ইসমাইল থেকে মানবপাচারের এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ৮ জনকে আটক করা হয়।

মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে একটি পার্কিং এরিয়াতে পাচারে ব্যবহৃত গাড়িকে অনুসরণ করা হচ্ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়িটি পালাতে চেষ্টা করে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে গাড়িটি আটক করতে সক্ষম হয় তারা।

রুসলিন জানান, গাড়িটির চালক একজন ৩০ বছর বয়সী বাংলাদেশি, যে কিনা পাচার করা মানুষদের কুয়ালালামপুর নিয়ে এসেছে। গাড়ির ভেতর পাচার হওয়া ২ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়।

জালান সুলতান ইসমাইলের পেরাডুয়া মাইভি পার্কিং স্টেশনটি মানবপাচারের হস্তান্তর এলাকা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সময় অভিযানে সেখান থেকে আরও ৫ জনকে আটক করা হয়। এছাড়াও ১০টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট এবং নগদ ৫০০ রিঙ্গিত বা ১২ হাজার টাকা পাওয়া যায় চক্রটির কাছে।

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, পাচারকারীরা এই বাংলাদেশিদের ভিয়েতনাম থেকে থাইল্যান্ড নেওয়ার পর সেখান থেকে কেলানতানে প্রবেশ করানো হয় নদী পথে। এরপর গণপরিবহন ব্যবহার করে তাদেরকে কুয়ালালামপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।

সব মিলিয়ে ২ মাসের এই পাচার কাজের জন্য শিকার ব্যক্তিদের কাছ থেকে সাড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেওয়া হয়।

;

১৬০টিরও বেশি ভূমিকম্পে কাঁপল ইতালির নেপলস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় নেপলসে ১৬০টিরও বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় ও রাতে এ ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়।

এদিকে ভূমিকম্পের পর ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। নেপলসের আশপাশের এলাকায় অনেকগুলো বাড়িঘর খালি করা হয়েছে এবং অনেক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ ইতালির নেপলসের আশপাশের এলাকায় একের পর এক ভূমিকম্পের পর বাড়িঘর খালি করা হয়েছে এবং অনেক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় এবং রাতে সেখানে ১৬০ টিরও বেশি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ৪.৪ মাত্রার কম্পনটি পোজুলি শহরের কাছে স্থানীয় সময় রাত ৮টার কাছাকাছি হয়। ইতালির ভূপদার্থবিদ্যা ও আগ্নেয়গিরির জাতীয় ইনস্টিটিউট আইএনজিভি বলেছে, গত ৪০ বছরের মধ্যে এটি এ অঞ্চলে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।

নেপলসের মেয়র গাইতানো মানফ্রেদি স্বীকার করেছেন, একের পর এক কম্পনে বাসিন্দারা আতঙ্কিত হতে পারেন। তবে তিনি বলেছেন, কর্মকর্তারা তাদের বিষয়ে দেখছেন।

ভূমিকম্পের পর পোজুলিতে শতাধিক তাঁবু তৈরি করা হয় এবং কিছু বাসিন্দা রাতের অধিকাংশ সময় রাস্তায় কাটায়। কেউ কেউ আবার অন্যত্র আত্মীয়দের কাছে চলে যায়।

এছাড়া স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে যে নিম্নস্তরের ভূমিকম্প হয়েছে তার কারণে বেশ কয়েকটি পরিবার পুরোপুরি এলাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবছে। 

;

গাজায় সাহায্য কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে সমর্থন রাশিয়ার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় সকল সাহায্য কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আহ্বানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া।

এ তথ্য রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘে রাশিয়ার দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া।

কেবলমাত্র রাফাহ শহরের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে নেবেনজিয়া বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের প্রতি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের বিধানগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার দাবি জানাই এবং ওই এলাকায় কর্মরত জাতিসংঘের এবং সাহায্য কর্মীদের ওপর ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে বেঁচে থাকা ফিলিস্তিনিদের সহায়তায় এগিয়ে আসা সকল সাহায্য কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার আন্তর্জাতিক ও স্বাধীন তদন্তের মহাসচিবের আহ্বানকে সমর্থন করি।’

ওই কূটনীতিক বলেন, ‘এই ছিটমহলে মানবিক সহায়তা প্রবেশের কোনো স্থিতিশীল চ্যানেল নেই। গত দুই সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী রাফাহ এবং কেরেম শালোম চেকপয়েন্ট দিয়ে ছিটমহলের বাসিন্দাদের জন্য মানবিক সাহায্য নিয়ে আসা ৩ হাজার ট্রাকের প্রবেশ ঠেকিয়ে দিয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘গাজা উপত্যকার দক্ষিণ এবং মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলের বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।’

তিনি আবারো ছিটমহলে ফিলিস্তিনিদের সাতটি গণকবর আবিষ্কারের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা একটি স্বাধীন তদন্তের ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছি। এই ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ তাদের এক বিবৃতিতে এমন তদন্তের দাবি করেছিল।’

;

নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ৪০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর-মধ্য নাইজেরিয়ার খনি শ্রমিকদের উপর হামলা চালিয়ে প্রায় ৪০ জনকে হত্যা করেছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা।

নাইজেরিয়ার স্থানীয় সরকার মঙ্গলবার (২১ মে) জানিয়েছে, মোটরসাইকেলে চড়ে আসা বন্দুকধারীরা খনি শ্রমিকদের এলাকার বাসিন্দাদের উপর গুলি চালায় এবং বাড়িঘরে আগুন দেয়।

প্লেটিউ রাজ্যের ওয়াসে জেলায় সোমবার (২০ মে) এই হামলা সংঘটিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এই এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরেই সম্পদ নিয়ে বিরোধ এবং আন্তঃসাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের জন্য আলোচনায় রয়েছে।

প্লেটিউ রাজ্যের তথ্য কমিশনার মুসা ইব্রাহিম আশোমস টেলিফোনে এএফপিকে বলেছেন, ‘সশস্ত্র ব্যক্তিরা জুরাক সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ করেছে। বন্দুকধারীরা বিক্ষিপ্তভাবে গুলি করেছে এবং বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রায় ৪০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।’ তবে স্থানীয় যুবনেতা শাফি সাম্বোও বলেন, ‘হামলায় অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছে।’

ওয়েসে জিঙ্ক এবং সীসার খনি রয়েছে এবং এই প্লেটিউ রাজ্য টিনের খনি শিল্পের জন্য সুপরিচিত।

প্রসঙ্গত, উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর-মধ্য নাইজেরিয়ার অংশগুলোতে সশস্ত্র অপরাধী চক্র রয়েছে, যারা মুক্তিপণের জন্য ব্যাপক অপহরণ এবং লুটপাট করার জন্য গ্রামগুলোতে হামলা চালায়।

গত জানুয়ারিতে প্লেটিউ রাজ্যের মাঙ্গু শহরে মুসলিম এবং ক্রিস্টানদের মধ্যে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ শুরু হয়। যার ফলে অনেক গির্জা ও মসজিদ পুড়ে যায়। ওই সংঘর্ষে ৫০ জনেরও বেশি নিহত হয় এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।

;