আজ থেকে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল
সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিলের পর আনুষ্ঠানিকভাবে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে আলাদা করল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এখন থেকে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি পাবে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় রাতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) আর কে মাথুর লাদাখের এবং গিরিশচন্দ্র মুর্মু জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসনিক দায়িত্ব নিতে শপথ গ্রহণ করবেন।
তবে অঞ্চলটিতে পূর্বের কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা তাদের চাকরিতে বহাল থাকবেন বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীর থেকে লাদাখকে আলাদা করার ঘোষণা দেন।
এর ফলে জম্মু-কাশ্মীরে থেকে লাদাখ পৃথক প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত হলো। আর কেন্দ্র সরকার থেকে দু’টি অঞ্চলকে শাসন করা হবে বলে জানা যায়।
গত আগস্টে ভারতের সংবিধানে কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা সংক্রান্ত ৩৭০ ধারা বাতিল করার ঘোষণা দেয় বিজেপি সরকার। এর ফলে রাজ্য সরকারের ক্ষমতার বিলুপ্তি ঘটে।
দীর্ঘকাল ধরে বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক এবং সামরিক অঞ্চল হিসেবে জম্মু-কাশ্মীরকে ভাবা হয়। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই কাশ্মীরকে নিজেদের দাবি করে। আর কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী মানুষ নিজেদের আলাদা রাষ্ট্রের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৪ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করে বিজেপি সরকার। ফলে অঞ্চলটিতে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। আর বিক্ষোভের সন্দেহে কারফিউ জারি করা হয়। অঞ্চলটির টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। মর্যাদা বাতিলের পর থেকেই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়।
এমনকি পাকিস্তান থেকে পরমাণু হামলা করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। পাক সেনার হামলায় ভারতের ৬০ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন বলে দাবি করে পাকিস্তান। অন্যদিকে পাকিস্তানের হামলায় গত দুই সপ্তাহে ভারতের ১১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানান দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান।