লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ২২৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও)।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
ডব্লিউএইচও -এর প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছর ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে হামলার পর গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকে লেবাননে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৩০ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছে।
ডব্লিউএইচও'র প্রতিনিধি আবদিনাসীর আবু বাকার বলেছেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত লেবাননের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে মোট ১৮৭টি হামলা হয়েছে। এতে নিহত হয়েছেন ২২৬ জন, আহত হয়েছেন আরও ১৯৯ জন।
তিনি আরও বলেছেন, নিহতদের ৭০ শতাংশের মৃত্যুই গত বছরের সেপ্টেম্বরের পরবর্তী সময়ে হয়েছে। বিশেষ করে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর– এই তিন মাস ছিল আসলে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক সময়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) লেবাননে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি সংঘর্ষ চলাকালে ৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাবি করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
উল্লেখ, লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৬৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৫ হাজার ৩৫৫ জন।
এছাড়া, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৪ হাজার ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৪ হাজার ২৮৬ জন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছে। বন্দি রয়েছে ২০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নাগরিক।