ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে সাংবিধানিক জটিলতা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইরাকের পার্লামেন্ট, ছবি: সংগৃহীত

ইরাকের পার্লামেন্ট, ছবি: সংগৃহীত

বিক্ষোভের মুখে ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর জমা দেয়া পদত্যাগপত্র্র অনুমোদন করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। রোববার (১ ডিসেম্বর) রাজধানী বাগদাদে পার্লামেন্ট অধিবেশনে আদেল আব্দুল মাহদির পদত্যাগের বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হয়।

দেশজুড়ে কয়েক সপ্তাহব্যাপী সহিংস বিক্ষোভের মুখে গত শুক্রবার পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন আব্দুল মাহদি। বাগদাদ ও শিয়া সম্প্রদায় অধ্যুষিত নাসিরিয়া ও নাজাফ শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৫০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার ঘটনার পরপরই এ ঘোষণা দেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

তবে ২০১৮ সালের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়া আব্দুল মাহদির পদত্যাগের বিষয়টি আইনি জটিলতার সৃষ্টি করেছে।

সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলকে নতুন প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করতে আহ্বান জানাতে পার্লামেন্টের স্পিকার দেশের প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ জানাবেন।

এদিকে ইরাকের সংবিধান বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আব্দুল মাহদির সরকার আগামী ৩০ দিনের জন্য বা পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা জোট নতুন প্রধানমন্ত্রী মনোনীত না করা পর্যন্ত তত্ত্বাধায়ক সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।

বিজ্ঞাপন

আবার মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক আইনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠাতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি এমনটি করলে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল অথবা জোট (ব্লক) নতুন প্রধানমন্ত্রী মনোনীত না করা পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সংবিধানের ৮১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, এ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে।

কিন্তু আব্দুল মাহদি শনিবার পূব-ধারণকৃত বক্তব্যে পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার সময় প্রেসিডেন্টের কাছে পদ ছাড়ার বিষয়টি উল্লেখ করেননি। তিনি বলেছেন, দেশের প্রধান বিচারপতির পরামর্শে তিনি পার্লামেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ জোট কাদের রয়েছে। এখনও বিষয়টি পরিষ্কার নয়। পার্লামেন্টে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে দাবি করার বিষয়টি সুরাহা হতে অনেক সময় লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবি প্রমাণ করতে দলগুলোকে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা, প্রতিটি দলই চেষ্টা করছে নিজেদের শক্তিশালী করতে। আর এ জন্য একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় রয়েছে নিজেদের দল ভারী করা নিয়ে।

২০১৮ সালের মে মাসের নির্বাচনে কোনো দলই এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। রাজনৈতিক সংকট এড়াতে দু’টি বড় দল সাইরন ও ফাতাহ জোট গঠন করে। এ জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন আব্দুল মাহদি।