ন্যাটো সম্মেলন: কাদা ছোড়াছুড়ির পর মিলন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

লন্ডনে ন্যাটো সামিট

লন্ডনে ন্যাটো সামিট

বিভক্তির সুরটাকে বেশি দীর্ঘায়িত হতে দিল না নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো)। জোটের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদযাপনের আগমুহূর্তে কালো মেঘের উদয় হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও শেষটা হলো শুভ-সফেদ মেঘ দেখে।

‘একের জন্য সবাই, সবার জন্য প্রত্যেকে’- ন্যাটো নিয়ে সম্মেলনের শুরুতে বলেছিলেন জোটের মহাসচিVব জেন্স স্টলটেনবার্গ। বিশেষ এ সম্মেলনের সমাপ্তিতে সেটিই দেখা গেলো।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এ সম্মেলন হয় লন্ডনের ওয়াটফোর্ডে।

সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগের দিন ও শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত সদস্য দেশগুলো একে অপরের প্রতি কাদা ছোড়াছুড়ি করলেও সম্মিলিত বৈঠকে মিত্রতা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শেষ হয়েছে। সম্মেলনের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সদস্য দেশের নেতারা সামরিক জোটকে শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিজ্ঞাপন

সম্মেলনের আয়োজক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ন্যাটোকে ‘মিত্রতার এক বড় ঢাল‘ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, ন্যাটো ২৯টি দেশের প্রায় একশো কোটি মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকার একটি জোট।

বরিস জনসন বলেন, ‘আমরা যতক্ষণ একসাথে থাকব, কেউ আমাদের পরাজিত করার কথাও ভাবতে পারবে না।’

জনসনের পাশাপাশি উদ্বোধনী বক্তব্যে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘যে মতপার্থক্যই থাকুক না কেন, আমরা একত্রিতভাবে একে অপরকে রক্ষা করব।’

তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বাল্টিক অঞ্চলে ন্যাটোর পরিকল্পনা নিয়ে তুরস্কের আপত্তিরও সুরাহা হয়েছে— বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সম্মেলনের আগে তুরস্ক জানায়, তারা বাল্টিক অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে ন্যাটোর পরিকল্পনা তারা মঞ্জুর করবে না। দেশটি জানায়, তুরস্কের সরকারবিরোধী সশস্ত্র কুর্দি ওয়াইপিজিকে ন্যাটো সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত না করলে তারা বাল্টিকের নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিরোধিতা করবে।

সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়াইরত ওয়াইপিজিকে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার নেতৃত্বাধীন জোট। ফ্রান্সসহ ন্যাটোর বিভিন্ন সদস্য বলেছে, তুরস্কের সন্ত্রাসবাদের সংজ্ঞার সঙ্গে তারা একমত নয়।

তবে কোন শর্তে তুরস্ক তার আপত্তি থেকে সরে এসেছে সেটি নিয়ে বিস্তারিত জানায়নি বিবিসি।

আগের নিউজ: ন্যাটোয় বিভক্তির সুর, মাক্রোঁ’র সমালোচনায় ট্রাম্প