নাগরিকত্ব বিলে রাষ্ট্রপতির সই, বিক্ষোভ অব্যাহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভারতের রাষ্ট্রপতি  রাম নাথ কোভিন্দ, ছবি: সংগৃহীত

ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোভিন্দ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের বিতর্কিত নাগরিক সংশোধনী বিল-২০১৯ এ সই করেছেন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোভিন্দ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) তার এ সইয়ের মাধ্যমে বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে। এই বিতর্কিত আইনের আওতায় প্রতিবেশী তিন দেশ –আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অবৈধ অমসুলিম অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার।

বৃহস্পতিবার সরকারি প্রজ্ঞাপন হিসেবে আইনটি প্রকাশিত হওয়ার সময় থেকেই নতুন আইনটি কার্যকর হয়। ৯ ডিসেম্বর লোকসভা ও ১১ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় তুমুল বিতর্কের পর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি পাস হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোয় নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতেই এ বিল। কংগ্রেসসহ বিলের বিরোধীদের দাবি, এ বিলের মাধ্যমে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রে আঘাত করা হয়েছে।

বিলটি লোকসভায় উত্থাপনের দিন থেকে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী দিল্লিসহ বিভিন্ন অংশে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে চলছে সবচেয়ে ভয়াবহ বিক্ষোভ। আসামের বিক্ষোভকারীদের দাবি, এ বিলের কারণে অবৈধভাবে রাজ্যটি প্রবেশ করার বাঙালি হিন্দুরা বা কথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের‘ নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সরকারের এ পদক্ষেপে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ বাড়বে বলেও আশঙ্কা তাদের। কংগ্রেস ও বিভিন্ন বামপন্থি শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক সংগঠনও আন্দোলনে নামলেও মূলত এনআরসি সমর্থকরাই আন্দোলনের প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, রয়েছে বিজেপি সমর্থকেরাও।
আন্দোলনের ভয়াবহ রুখতে আসামে জারি করা হয়েছে কারফিউ। তবে, কারফিউ ভেঙে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ হয়েছে বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতের এ রাজ্যে। পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে ৩ বিক্ষোভকারী ও আহত হয়েছে অনেকে।

বিক্ষোভ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আসামের চার এলাকায় সেনাসদস্যও মোতায়েন করা হয়েছে। আসামে টানা দুদিনের মতো চলছে ইন্টারনেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা।

বিক্ষোভের কারণে অচল হয়ে পড়েছে রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্থবির হয়ে যাচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। বিভিন্নস্থান গামী ও আসা ফ্লাইট বাতিল করছে এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ।

একই ধরনের বিক্ষোভ চলছে ত্রিপুরা রাজ্যেও। বুধবার থেকেই রাজ্যটি চলছে ইন্টারনেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা। এদিকে আসামের সঙ্গে লাগোয় মেঘালয় রাজ্যের কিছু কিছু এলাকায় জারি করা হয়েছে কারফিউ। ওইসব এলাকায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটনার আশঙ্কা করছে রাজ্য সরকার।

   

পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিধসে ৬৭০ জনের প্রাণহানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাপুয়া নিউগিনির একটি গ্রামে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনায় ৬৭০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ভূমিধসে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া গ্রামের আরও অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।

রোববার (২৬ মে) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসিকে হতাহতের এই পরিসংখ্যান জানিয়েছেনআন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার একজন কর্মকর্তা।

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রে সংস্থাটির মিশন প্রধান সেরহান আক্তোপ্রাক বলেছেন, নতুন আনুমানিক নিহতের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে ইয়াম্বালি গ্রাম ও এনগা প্রদেশের কর্মকর্তাদের তথ্য বিবেচনায় নিয়ে।

বলা হয়েছে, গত শুক্রবারের ভূমিধসের ঘটনায় ১৫০টির বেশি বাড়ি মাটির নিচে চাপা পড়েছে।

এর আগে বলা হয়েছিল ভূমিধসে ৬০টি বাড়ি মাটির নিচে চাপা পড়েছে। কিন্তু বর্তমানের হিসাব অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ৬৭০ জনের বেশি মানুষ এখনো মাটির নিচে রয়েছেন।

আক্তোপ্রাক বলেছেন, এখনো ভূমিধস হচ্ছে। প্রবাহিত হচ্ছে পানি। এতে সেখানে ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে।

জানা গেছে, রাজধানী পোর্ট মোর্সবি থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার উত্তরের এনগা প্রদেশে মধ্যরাতে যখন ভূমিধসের ঘটনা ঘটে তখন গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন।

;

ইসরায়েলে রকেট হামলা চালাল হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস রোববার (২৬ মে) ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে। এরই মধ্যে হামলার শঙ্কায় তেল আবিবে সাইরেন বাজাতে শুরু করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ হামলার মধ্য দিয়ে চলতি মাসে এই প্রথম ইসরায়েলে কোনো হামলা চালাল হামাস।

সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ ও এবিসি নিউজের প্রতিবেদনেও এই তথ্য জানিয়েছে।

হামলার তথ্য জানাতে গিয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসেম বিগ্রেড থেকে বলা হয়, নিরপরাধ মানুষের ওপর ইহুদিদের হামলার জবাবে ক্ষেপণাস্ত্রসহ হামলা করা হলো। 

এনবিসি নিউজের প্রতিবেদক বলছেন, তিনি একটি রকেট আসতে দেখেছেন। আয়রন ডোম দিয়ে তা ভূপাতিত করা হয়।

হামাস আল আকসা টিভিতে বলা হয়, গাজা থেকে এই হামলা করা হয়েছে। তবে, কতটি রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা হয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

;

পুতিন হিংস্র ও অত্যাচারী শাসক: বাইডেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচনা করে বলেন, ‘পুতিন নিশ্চিত ছিলেন ন্যাটোতে ফাটল ধরাতে পারবেন। পুতিন এক হিংস্র ও অত্যাচারী শাসক। কিন্তু  আমরা ইউক্রেনকে ফেলে চলে যাচ্ছি না এবং চলে যাবও না।’

রোববার (২৬ মে) রুশ সংবাদমাধ্যম তাসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

ওয়েস্ট পয়েন্টে মার্কিন সামরিক একাডেমিতে স্নাতকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে জো বাইডেন বলেন, 'ইউক্রেন যুদ্ধে কোনো মার্কিন সেনা অংশ নিচ্ছে না। আমি বিষয়টাকে এরকমই রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা এমন একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি যাকে আমি বহু বছর ধরে চিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, তিনি ২০২১ সালে জেনেভায় এক বৈঠকে ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ রাখতে বা ফিনল্যান্ডের মতো করতে চাইলে এর ফল হবে সমগ্র ইউরোপ ন্যাটোতে যোগ দেবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা জোট (ন্যাটো) অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী।

পুতিনের এই বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আনতোনভ। তিনি জানান, রুশ প্রেসিডেন্টকে নিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য দিয়ে বাইডেন সমগ্র রুশ জাতিকে অপমান করেছেন।

'আমি বিশ্বাস করি এ ধরনের ব্যবহার যেকোনো দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদের ক্ষেত্রে অগ্রহণযোগ্য, বিশেষত সেই রাজনীতিবিদ যখন যুক্তরাষ্ট্রে মতো একটি দেশের নেতা', যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'রুঢ় বাক্যের ব্যবহার ও আমাদের প্রেসিডেন্টের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর প্রচেষ্টায় এটাই প্রমাণ হয়েছে যে রাশিয়ার ওপর রেগে আছে ওয়াশিংটন, কারণ দেশটি (যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত) তথাকথিত বৈশ্বিক নীতিমালার বিরুদ্ধাচারণ করেছে।'

রুশ কূটনীতিক আরও বলেন, 'মার্কিন প্রশাসনকে এটা অনুধাবন করতে হবে যে আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থ মেনে নিরপেক্ষ ও সার্বভৌম নীতি অবলম্বন করতে থাকব।'

;

পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের ১১ সদস্য নিহত 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ট্রাক ও যাত্রীবাহী ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১১ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এবং নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। 

সংবাদমাধ্যম  দ্য ডনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার (২৬ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় রাজ্যের কোট আড্ডু জেলার হাইওয়েতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের ভেতর ৫ জন পুরুষ, ৩ নারী, ২ শিশু ও এক কিশোরী রয়েছেন।

সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, মুলতান থেকে ভাক্কার যাচ্ছিল যাত্রীবাহী ভ্যানটি। এ সময় জেলার এমএম রোডে উল্টো দিক থেকে আসা ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান অনেকে।

আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ মোহসিন নাকভি।



;