মিয়ানমার চীনকে অংশীদার হিসাবে নিয়েছে, প্রভু নয়
মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বলছে, মিয়ানমার চীনকে অংশীদার হিসাবে নিয়েছে, প্রভু হিসেবে নয়।
এনএলডি মুখপাত্র মনওয়া অং শিন স্থানীয় গণমাধ্যমে এসব জানান। চীন ও মিয়ানমার একইতালে ও সমমর্যাদায় এগিয়ে যাচ্ছে।
মনওয়া অং শিন বলেন, সরকার ও চীনের মধ্যকার সুসম্পর্ক অনেক দেশী-বিদেশি বিশেষজ্ঞকে অবাক করেছে, কারণ তারা মনে করেছিলেন যে এনএলডি পাশ্চাত্য দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করবে।
তিনি বলেন, আমরা চাই বা না চাই, আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
তিনি তার দলের নেত্রী অং সান সুচির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সুচি বলেছেন, আমরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঠিক না থাকলে আমাদের ঘরটি সরিয়ে নিতে পারি কিন্তু দেশ সরাতে পারিনা।
মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে প্রজা-রাজার সম্পর্ক নেই। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক হলো উইন উইন সম্পর্ক।আমরা চীনের চেয়ে নিকৃষ্ট নই।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন মিয়ানমারে শান্তি প্রক্রিয়ায় গভীরভাবে জড়িত। কাচিন স্বাধীনতা সেনা, আরাকান আর্মি, তা'আং জাতীয় মুক্তি বাহিনী, সমন্বিত উত্তর জোটের সাথে চুক্তি করার বিষয়ে চীন নাক গলিতে থাকে।
ভারত মহাসাগর এবং চীনের ইউনান প্রদেশের মধ্যে অবস্থানের কারণে মিয়ানমার চীনের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ, যা এটিকে দক্ষিণ ও এশিয়ার দেশসমূহ যেমন ভারত এবং বাংলাদেশের প্রবেশদ্বার করে তোলে এবং চীনের বেল্ট এবং রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) একটি প্রধান লিঙ্ক।
শান ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির ভাইস চেয়ারপার্সন সাই ন্যান্ট লুইন বলেন, শান স্টেটে শান্তি নিশ্চিত করা চীনের পক্ষে জরুরি। সামরিক এবং উত্তর শানের জাতিগত সশস্ত্র দলগুলোর মধ্যে ঘন ঘন সংঘর্ষ হয়। বিআরআই প্রকল্প শুরু করার জন্য এই অঞ্চলটি শান্তিপূর্ণ হওয়া দরকার।
এই মাসের গোড়ার দিকে সুচির সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি বৈঠক করেন। তখন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সরকারকে চীন-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর, যা বিআরআইয়ের একটি অংশ, প্রকল্পগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য তাগিদ দেন।