অভিশংসন তদন্ত নিয়ে পেলোসিকে ট্রাম্পের চিঠি

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, ছবি: ফক্স নিউজ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, ছবি: ফক্স নিউজ

অভিশংসন তদন্তে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ছয় পৃষ্ঠার চিঠিটি দেওয়া হয়।

বুধবার অভিশংসন তদন্তের সিনেটের ভোটাভুটির একদিন আগে চিঠিটি দেওয়া হলো। ধারণা করা হচ্ছে ভোটের ফলাফল পরিবর্তন করার আশা নিয়ে ট্রাম্প ছয় পৃষ্ঠার চিঠিটি লেখেন পেলোসির উদ্দেশ্যে।

বিজ্ঞাপন

চিঠিতে ট্রাম্প পেলোসিকে ‘আমেরিকার গণতন্ত্রের ওপর প্রকাশ্যে যুদ্ধে’ নামার জন্য দোষারোপ করেন। চিঠিতে তিনি লিখেন, অভিশংসনের (ইমপিচ) মতো সস্তা ও বিশ্রী শব্দকে কেনো আপনারা এতো গুরুত্ব দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের বিচার পরিকল্পনা প্রকাশ

বিজ্ঞাপন

চিঠিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করে বলেন, অভিশংসন তদন্তের শুরু থেকেই মৌলিক সাংবিধানিক প্রক্রিয়া থেকে তিনি বঞ্চিত। এছাড়া, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে প্রমাণ উপস্থাপনের অধিকার পাননি।

চিঠিতে ট্রাম্প তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দল ডেমোক্র্যাট, পেলোসি, বাইডেন ও এফবিআইকে আক্রমণ করে বিভিন্ন ধরনের কথা বলেন। তিনি চিঠিতে অভিশংসন তদন্তকে অবৈধ ও পক্ষপাতমূলক বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া তিনি একে জাদুকারী বলেও আখ্যা দেন।

এদিকে চিঠির প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে পেলোসি বলেন, 'তিনি ট্রাম্পের চিঠিটি পেয়েছেন। তবে কাজ থাকার কারণে চিঠিটি সম্পূর্ণ পড়তে পারেনি। তবে চিঠিটির সারমর্ম দেখেছি।' চিঠিটিকে তিনি অসুস্থতা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মনে করেন।

আরও পড়ুন: অভিশংসনের খসড়া প্রস্তুতের নির্দেশ পেলোসির

বুধবার অভিশংসন ভোটের মুখোমুখি হচ্ছেন ট্রাম্প। ব্যক্তিগত রাজনৈতিক লাভের জন্য ইউক্রেনের উপর চাপ প্রয়োগ করার ফলে তিনি এই ভোটাভুটির মুখোমুখি হন। ধারণা করা হচ্ছে সিনেটে অভিশংসনের বিচারকাজ শুরু হওয়ার পর ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করা হতে পারে। আর ট্রাম্প অভিযুক্ত হলে তিনি আমেরিকার তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিশংসিত হবেন।

অভিশংসনের দুটি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একটি হচ্ছে, অভিশংসন তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানানো, সাক্ষ্য দিতে বিরত রাখা এবং প্রমাণাদি আটকে রেখে তদন্তের কাজকে বাধাগ্রস্ত করা। আর অন্য অভিযোগটি হচ্ছে, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ফোন করে চাপ দেওয়া।

আরও পড়ুন: অভিশংসন ইস্যু: শুনানিতে যাবেন না ট্রাম্প