সোলাইমানিকে হত্যা করে পথের কাঁটা সরাল যুক্তরাষ্ট্র



সাব্বির আজিম খান, আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কাসিম সোলাইমানি, ছবি: সংগৃহীত

কাসিম সোলাইমানি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষস্থানে ছিলেন কাসিম সোলাইমানি। তার সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি কুদস সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন। এছাড়াও তিনি মধ্যপ্রাচ্যে দেশের বিভিন্ন কার্যক্রমের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। দেশের শান্তি ও যুদ্ধের সময়গুলোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।

সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদের পক্ষে যুদ্ধ, ইরাকে ইরানপন্থীদের উত্থান, ইসলামিক স্টেট গ্রুপের বিরুদ্ধে লড়াই এবং এর বাইরেও অনেক লড়াইয়ে তিনি মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ছিলেন।

সহজাত দক্ষতা সম্পন্ন এবং অধরা কমান্ডার হিসেবে পরিচিত এই কাসিম সোলাইমানিকে অনেকেই সম্মান করতেন। আবার অনেকেই তাকে ঘৃণা করতেন। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তাকে নিয়ে ব্যঙ্গ ছবিও প্রকাশ হয়েছে।

তবে দিনকে দিন ইরানের প্রতিবেদন, ডকুমেন্টরি এমনকি বিভিন্ন গানের বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

দিনকে দিন ইরানের প্রতিবেদন, ডকুমেন্টরি এমনকি বিভিন্ন গানের বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিলেন তিনি

তাকে নিয়ে ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র অফিসার জন মাগুয়ের বলেছিলেন, ‘কাসিম মধ্যপ্রাচ্যের একক শক্তিশালী ব্যক্তি।’

তবে সবকিছুই যেন হঠাৎ করে এলোমেলো হয়ে গেছে। কাসিমের শেষটা পুরোপুরি হিংসাত্মক ছিল, যখন জানা গেল শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি তত্ত্বাবধানে কাসিম সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে।

ইরাকের একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মার্কিন সামরিক ঠিকাদারের মৃত্যুর পরেই এই হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। আর এই হামলার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরান এবং ইরাক সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সম্পর্ক খুব বাজেভাবে নষ্ট হয়। আর ওই হামলার জন্য আমেরিকা সরাসরি ইরানকে দায়ী করে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ঘনিষ্ঠ ছিলেন কাসিম সোলাইমানি

দায়ী করে অবশ্য চুপ থাকেনি ট্রাম্প প্রশাসন। প্রতিশোধ নিতে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া খাতাব হিজবুল্লাহর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এরপরে অবশ্য মিলিশিয়া সমর্থকরা বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায়।

আমেরিকা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশ রোধে ইরানকে চাপ প্রয়োগ করছিল। এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে অনেকদিন ধরেই উত্তেজনা বাড়ছিল। সেই সঙ্গে ইরানের ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করে যা ইরানের অর্থনীতিতে সরাসরি আঘাত হানে। তবে ইরান আমেরিকার এসব নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করেনি।

মিলিশিয়ানদের উথান

ধারণা করা হয় যে, সোলাইমানি খুব দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতাও তেমন নেই। তবে তিনি ইরানের অভিজাত ও সবচেয়ে শক্তিশালী বিপ্লবীদের মধ্য থেকেই উঠে এসেছিলেন এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

১৯৯৮ সালে কুদস ফোর্সের কমান্ডার হওয়ার পরে, সোলাইমানি গোপনীয় অভিযান পরিচালনা, মিত্রদের অস্ত্র সরবরাহ এবং ইরানের অনুগত মিলিশিয়াদের নেটওয়ার্ক বিকাশের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব প্রসারিত করার চেষ্টা করেছিলেন।

তিনি ইরাকের শিয়া মুসলিম ও কুর্দি গোষ্ঠীগুলোর সহায়তাকারী হিসেবে সাবেক স্বৈরশাসক সাদ্দাম হুসেনের বিপক্ষে যুদ্ধ করেছেন। পাশাপাশি লেবাননের শিয়া জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লাহ এবং ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে ইসলামি সংগঠন হামাসসহ এই অঞ্চলের অন্যান্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।

২০০৩ সালে আমেরিকা যখন ইরাক আক্রমণ করে তখন তিনি জঙ্গিগোষ্ঠীদের মার্কিন সেনা ও তাদের ঘাঁটির ওপর হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। এতে শতাধিক সেনা নিহত হয়।

তিনি ইরানের অভিজাত ও সবচেয়ে শক্তিশালী বিপ্লবীদের মধ্য থেকেই উঠে এসেছিলেন

২০০৩ সালে আমেরিকা ইরাক আক্রমণ করার পরে তিনি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে মার্কিন সেনা ও ঘাঁটির বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানোর নির্দেশনা দেওয়া শুরু করে এবং শতাধিক মার্কিন সেনাকে হত্যা করে।

২০১১ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে যেই বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল সেখানে রাশিয়ার বিমান বাহিনী ও ইরানের সহায়তায় সেই জোয়ার বদলাতে তিনি দারুণ ভূমিকা পালন করেন। এর ফলে ওই বিদ্রোহ সরকারের অনুকূলে আসতে থাকে এবং মূল শহরগুলো পুনরায় দখল করতে সক্ষম হয় বাশার সরকার।

পতনের শুরু

গত বছরের এপ্রিল মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পে ইরানের বিপ্লবী গার্ডস এবং কুদস ফোর্সকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন বলেন, কুদস ফোর্স মধ্য প্রাচ্যের মার্কিন মনোনীত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে তহবিল, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র এবং সরঞ্জাম সরবরাহ করেছিল যেখানে হিজবুল্লাহ আন্দোলন এবং গাজায় অবস্থিত ফিলিস্তিনি ইসলামি জিহাদগোষ্ঠীর মতো জঙ্গি সংগঠন ছিল।

ড্রোন হামলায় নিহত হন কাসিম সোলাইমানি

এদিকে, এক বিবৃতিতে পেন্টাগন বলেছে যে, সোলাইমানি ইরাকের অঞ্চলজুড়ে আমেরিকান কূটনীতিক এবং বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী সদস্যদের আক্রমণ করার জন্য সক্রিয়ভাবে পরিকল্পনা তৈরি করছিলেন।

‘জেনারেল সোলাইমানি এবং তার কুদস ফোর্স কয়েকশো আমেরিকান ও জোট বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যুর জন্য এবং আরও কয়েক হাজার আহত হওয়ার জন্য দায়ী ছিলেন।’

   

ব্রাজিলে গেস্টহাউসে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ ব্রাজিলের পোর্তো অ্যালেগ্রে শহরে গৃহহীনদের অস্থায়ী আশ্রয় হিসাবে ব্যবহৃত একটি গেস্টহাউসে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আগুন লেগে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ড এবং হতাহতের খবর রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের ফায়ার বিভাগ বলেছে, উদ্ধারকর্মীরা সেখান থেকে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যের ফায়ার বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ক্ষতিগ্রস্তদের সনাক্ত করতে এবং আগুনের কারণ অনুসন্ধান করতে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর তাকে গভীরভাবে বিচলিত করেছে।

তিনি এক্স-এ লিখেছেন, ‘ফায়ার ডিপার্টমেন্ট আগুন নেভাতে পাঁচটি ট্রাক এবং কয়েক ডজন অগ্নিনির্বাপক কর্মী প্রেরণ করেছে।’

তিনি আর লিখেছেন, ‘আমরা এই ট্র্যাজেডির কারণ অনুসন্ধানে কাজ চালিয়ে যাব। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।’

ব্রাজিলের মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, তিন তলা ভবনটি আগুনে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে এবং য়ায়ার সার্ভিসকর্মীরা আগুন নেভানোর জন্য লড়াই করছে।

মেয়র সেবাস্তিয়াও মেলো এক্স-এ লিখেছেন, একাধিক আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আহতদের সংখ্যা ১১ জন বলে জানানো হয়েছে।

;

ছয় বছরে বিজেপির গুগলে বিজ্ঞাপন খরচ ১০০ কোটি রুপি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুগল এবং ইউটিউবে ১০০ কোটি রুপির বেশি বিজ্ঞাপন দিয়েছে বিজেপি। এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতে এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল এত টাকার রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিল।

২০১৮ সালের মে মাস থেকে বিজ্ঞাপনের ‘ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে গুগল। তাতে দেখা গেছে, কংগ্রেস, ডিএমকে, রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি (আই-প্যাক) মোট যত টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছে, তারচেয়ে বেশি টাকার বিজ্ঞাপন একাই দিয়েছে বিজেপি। সেটি ১০১ কোটি রুপিও বেশি।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ৩১ মে থেকে ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে যত খরচ করা হয়েছে, তার ২৬ শতাংশই করেছে বিজেপি। ছয় বছরে মোট ৩৯০ কোটি রুপি খরচ করা হয়েছে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে।

গুগলের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বলতে শুধু রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপনকেই বোঝায় না। এই তালিকায় রয়েছে সংবাদ মাধ্যম, সরকারের প্রচার বিভাগ, এমনকি রাজনীতিক, অভিনেতাদের দেওয়া বিজ্ঞাপনও।

গুগলের পরিসংখ্যান বলছে, ছয় বছরে দুই লাখ ১৭ হাজার ৯৯২টি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে এক লাখ ৬১ হাজারটি বিজেপির।

এর মধ্যে আবার দলের সব থেকে বেশি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে কর্নাটকের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্য করে। কর্নাটকের বাসিন্দাদের উদ্দেশে গুগলে প্রকাশ করা হয় ১০ কোটি ৮০ লাখ রুপির বিজ্ঞাপন। তার পরেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ।

সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য ১০ কোটি ৩০ লাখ টাকার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। তারপরের স্থানে রয়েছে রাজস্থান ও দিল্লি। এমনিতে গুগলে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ুর উদ্দেশে। তারপরে রয়েছে তেলঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ।

গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপির পর রয়েছে কংগ্রেস। ছয় বছরে ৪৫ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। এই সময়ে মোট ৫,৯৯২টি বিজ্ঞাপন দিয়েছে তারা। তাদের লক্ষ্য ছিল মূলত কর্নাটক এবং তেলঙ্গানা। দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্যই ৯.৬ কোটি রুপি করে খরচ করেছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশের জন্য ৬.৩ কোটি রুপি খরচ করেছে।

কংগ্রেসের পর রয়েছে ডিএমকে। গুগলে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়ার নিরিখে তারা তৃতীয় স্থানে। ২০১৮ সালের মে মাস থেকে গুগলে বিজ্ঞাপন দিয়ে ৪২ লাখ রুপি খরচ করেছে তারা। তার মধ্যে ১৬.৬ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা।

তামিলনাড়ুর বাইরে কর্নটকে ১৪ কোটি রুপি এবং কেরলে ১৩ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে এমকে স্ট্যালিনের দল। ভারত রাষ্ট্রসমিতি (বিআরএস) ২০১৩ সালের নভেম্বরে তেলঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনের সময় ১২ কোটি রুপি খরচ করেছে। আইপ্যাক তৃণমূলের জন্য পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে গুগলে ৪.৮ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে।

লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে গুগলে বিজ্ঞাপন দিতে রাজনৈতিক দলগুলো যে পরিমাণ টাকা খরচ করেছে, তা জানলে বিস্মিত হতে হয়।

এ ক্ষেত্রে বিজেপিকে পিছনে ফেলেছে কংগ্রেস। ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিল কংগ্রেস গুগলে ৫.৭ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আর বিজেপি দিয়েছে ৫.৩ কোটি রুপির।

;

ক্যাম্পাসের বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য: অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।’

তবে, তিনি ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে দেশটির শিক্ষার্থীদের নীরবতার সমালোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এদিকে, হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কখনও কখনও রাসায়নিক টেজার ব্যবহার করছে। ফলে, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে।

বিক্ষোভকে স্তব্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বড় আকারের গ্রেফতার অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ।

চীনের উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একদিনের বৈঠকের পর বেইজিংয়ে বক্তৃতাকালে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এই ধরনের বিক্ষোভ আমাদের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নাগরিকরা যেকোনো সময় তাদের মতামত, উদ্বেগ এবং ক্রোধ প্রকাশ করতে পারে, যা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে চীন।’

ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমি মনে করি, এই ধরনের বিক্ষোভ একটি দেশের শক্তিকে প্রতিফলিত করে।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদকারীরা হামাসের নিন্দা করেনি, যারা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অভূতপূর্ব হামলা চালিয়েছিল।’

গাজা যুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, যুদ্ধ গতকাল শেষ হতে পারতো, এটি আগামীকালও শেষ হতে পারে। যদি হামাস তার অস্ত্র নামিয়ে বেসামরিকদের পেছনে লুকিয়ে থাকা বন্ধ করে জিম্মিদের মুক্তি দেয়। তবেই শান্তি ফিরবে।’

তিনি বলেন, ‘তবে হামাস সেটি না করে যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছে।’

;

মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের প্রস্তাবে রাশিয়ার ভেটো 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১৩টি দেশই ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। একমাত্র দেশ হিসেবে ভেটো দেয় রাশিয়া। অপর দেশ চীন ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেনি। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তির ওপর ভিত্তি করে নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান একটি খসড়া প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। খসড়াটিতে বলা হয়, ‘ক্ষমতাধর দেশের পাশাপাশি সব রাষ্ট্রকে মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার এবং এতে অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখার আহ্বান জানানো হচ্ছে।’

খসড়ায় ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তি সমর্থনের জন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মহাকাশে কোনো ধরনের গণবিধ্বংসী অস্ত্র বহনকারী কোনো বস্তুকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন না করতে সম্মত হয়েছিল এতে স্বাক্ষরকারী সব দেশ।

বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবটিতে একমাত্র দেশ হিসেবে রাশিয়ার ভেটো দেওয়ার সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এমন পদক্ষেপকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড। তিনি বলেন, সহজবোধ্য প্রস্তাবটি এ ধরনের প্রতিযোগিতা বন্ধে আইনগত বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করত। তবুও এতে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। অথচ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রকাশ্যে বলেছিলেন, মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের কোনো ইচ্ছা নেই মস্কোর।

লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘আজকের ভেটো প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। যদি আপনি নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে আপনি কি এমন একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করবেন না, যা সে নিয়মগুলো মেনে চলাকেই নিশ্চিত করে? আপনি কী লুকাতে চান?’ অন্যদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, প্রস্তাবটির পেছনে ‘গোপন ও নিষ্ঠুর’ উদ্দেশ্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি দাবি করেন, মহাকাশভিত্তিক একটি অ্যান্টি-স্যাটেলাইট পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে রাশিয়া। পরে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে মস্কো দাবি করে, ১৯৬৭ সালের মহাকাশ চুক্তির প্রতি তারা দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বিষয়টি নিয়ে নিজ দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে মস্কোর অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট।

বিবিসির খবরে বলা হয়, বৈশ্বিক নজরদারি, মার্কিন সামরিক অভিযান থেকে শুরু করে জিপিএস সিস্টেম, আর্থিক লেনদেনের মতো বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই স্যাটেলাইট যোগাযোগের ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তাদের স্যাটেলাইটগুলোকে টার্গেট করা হলে রীতিমতো অচল হয়ে পড়বে দেশটি।

;