অস্ট্রেলিয়ায় বেঁচে আছে মাত্র নয় হাজার কোয়ালা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পুড়ে যাওয়া কোয়ালাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, ছবি: সংগৃহীত

পুড়ে যাওয়া কোয়ালাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, ছবি: সংগৃহীত

গত সেপ্টেম্বর থেকে দাবানলে পুড়ছে অস্ট্রেলিয়া। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘর-বাড়ি, স্থাপনা, বন-জঙ্গল ও বন্য প্রাণীরা। দাবানলে পুড়ে গেছে ২৫ মিলিয়ন একর বনভূমি ও মারা গেছে ২৮ জন।

দাবানলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বন্যপ্রাণীরা। এপর্যন্ত দেশটিতে মারা গেছে প্রায় এক বিলিয়নের মত প্রাণী। যার পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিদিনই ক্ষতিগ্রস্ত প্রাণীদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পশু হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম বন্যপ্রাণী কোয়ালাও রয়েছে।

দাবানলে পুড়ছে অস্ট্রেলিয়া, ছবি: সংগৃহীত

দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রাণীদের জন্য ক্যাঙ্গারু দ্বীপের নিকটে একটি অস্থায়ী প্রাণী হাসপাতাল চালু করেছে দেশটির সরকার। এখানে প্রতিদিন কয়েক ডজন আহত কোয়ালাকে নিয়ে আসছে উদ্ধারকারীরা। এর মধ্যে বেশিরভাগই পোড়া অবস্থায় রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পশু হাসপাতালটির প্রধান ভেন সেলউড বলেন, এখানকার দাবানলটি খুব দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে আমরা আহত প্রাণীদের কম উদ্ধার করতে পেরেছি। আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিলো যে অধিকাংশ প্রাণী পুড়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, ধারণা করা হত, দাবানলের আগে এই দ্বীপে ৪৬ হাজার কোয়ালা ছিলো। কিন্তু এখন বেঁচে রয়েছে মাত্র ৯ হাজারের মত কোয়ালা। যা খুব দুঃখজনক।

আহত কোয়ালাদের চিকিৎসা দেওয়ার পর তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু উদ্ধার করা সব কোয়ালার ভাগ্য ভালো নয় বলে জানান ভেন সেলউড। তিনি বলেন, অনেক কোয়ালা অধিকতরভাবে পুড়ে গেছে।

দাবানলে মৃত বন্যপ্রাণীদের মাটিতে পুঁতে ফেলা হচ্ছে, ছবি: সংগৃহীত

দেশটির পরিবেশমন্ত্রী সুসান লে জানান, কয়েক মাস ধরে চলা দাবানলে কোয়ালার জনসংখ্যা ব্যাপক হারে কমে গিয়েছে। কোয়ালাকে প্রথমবারের মত বিপন্ন হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে। আর যা তাদের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

প্রাণীদের জন্য দেশটির সবচেয়ে সুরক্ষতি অঞ্চল ছিলো ক্যাঙ্গারু দ্বীপ। কিন্তু দাবানলে অঞ্চলটির প্রায় ৮০ শতাংশ অংশ পুড়ে গেছে। দ্বীপটিতে থাকা প্রাণীদের উদ্ধার ও তাদের চিকিৎসার জন্য কাজ করছেন উদ্ধারকর্মী ও পশু-চিকিৎসকরা।

তবে বর্তমানে পশু চিকিৎসক ও দেশটির সরকারের মূল দুশ্চিন্তা হল এসব প্রাণীকে আবার প্রাকৃতিক পরিবেশে ফেরত পাঠানো নিয়ে। কারণ তাদের বিচরণের অধিকাংশ স্থানই পুড়ে গেছে।