পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে চলা ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) তাদের বিক্ষোভ স্থগিত করেছে। এর আগে গত তিন দিন রাজধানীতে দলটি বিক্ষোভ করেছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) পিটিআই-এর কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায়। খবর জিও নিউজ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, "সরকারের বর্বরতা এবং নিরস্ত্র নাগরিকদের জন্য ফেডারেল রাজধানীকে "কসাইখানা"তে পরিণত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তাই আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সাময়িক স্থগিত করার ঘোষণা করছি।"
ইমরান খানের নির্দেশনা অনুযায়ী দলটি আগামী কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলেও জানানো হয়।
এ বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত আটজন শহীদ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মুখপাত্র। এক বিবৃতিতে বলা হয়, শহীদদের মধ্যে রয়েছেন আনিস শেহজাদ সাত্তি, মালিক মোবিন আওরঙ্গজেব, আবদুল কাদির, মালিক সাফদার আলী, আহমদ ওয়ালি, মোহাম্মদ ইলিয়াস এবং আবদুল রশিদ।
জিও নিউজ জানায়, সব বাধা উপেক্ষা করে গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ইসলামাবাদে প্রবেশ করেন পিটিআিইয়ের হাজার হাজার নেতাকর্মী। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা রেড জোন এলাকায় পৌঁছালে তাদের কঠোরভাবে দমন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দমন-পীড়নের মুখে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। এমনকি এই সময় খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গন্ডাপুর এবং পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি বিক্ষোভস্থল থেকে পালিয়ে যান। তারপরই বিক্ষোভ স্থগিতের ঘোষণা আসে।
পিটিআই নেতা শের আফজাল মারওয়াত জিও নিউজকে বলেন, তিনি এবং গন্ডাপুর পিটিআইয়ের বিক্ষোভকে ডি-চকে প্রবেশ করানোর পক্ষে ছিলেন না। খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন নেতাকর্মীরা যেন কুলসুম হাসপাতালের সীমানা অতিক্রম না করে।