স্কুলে সমকামী সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী



সেন্ট্রাল ডেস্ক ২

  • Font increase
  • Font Decrease
স্কুলের মধ্যে সমকামী সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জী। তিনি বলেছেন, স্কুলের মধ্যে সমকামী সম্পর্ক পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি নয়। নির্দিষ্টভাবে লেসবিয়ানদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক নিয়ে তার করা এই মন্তব্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি কলকাতার মেয়েদের একটি স্কুলের কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে যে কয়েকজন ছাত্রী ক্লাসে নিজেদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক করছিল। যদিও দক্ষিণ কলকাতার মেয়েদের ওই স্কুলটির সেই কথিত লেসবিয়ান ছাত্রীরা এবং তাদের অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ জোর করে লেসবিয়ান সম্পর্কের কথা লিখিয়ে নিয়েছে ছাত্রীদের দিয়ে। বিষয়টি সামনে আসার পরে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী একটি ইংরেজি সংবাদ-পোর্টাল - দা কুইন্টকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মন্তব্য করেন যে স্কুল চত্বরে সমকামী যৌন সম্পর্ক গড়া পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি নয়। মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জীর ওই ভিডিও সাক্ষাৎকারটি ইন্টারনেটে রয়েছে, যেখানে তিনি বলছেন, "বিষয়টি নিয়ে স্কুল পরিচালন কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে এটা বলতে পারি যে স্কুলের মধ্যে লেসবিয়ানিজমের ভাবনাচিন্তা সমর্থনযোগ্য নয়।" "শুধু দুটি মেয়ের মধ্যে নয়, দুটি ছেলের মধ্যেও যদি যৌন সম্পর্ক হয় স্কুলের গণ্ডি পেরনোর আগেই সেটা সমর্থন করা যায় না। এটা তো ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়। স্কুলের ভেতরে এসব হলে অন্যরাও তো প্রভাবিত হবে। এরা টীনএজার - তারা কেন নিজেদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক করবে! এটা পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি নয়।" শিক্ষা মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এলজিবিটি এবং রূপান্তরকামী সম্প্রদায়। রূপান্তরী নারী তিস্তা দাস সেক্স রিঅ্যাসাইনমেন্ট সার্জিকাল সলিউশনসের প্রধান। তিনি বলছিলেন, "আমার তো মনে হয় ওনার নিজেরই আরও শিক্ষিত হওয়া দরকার। হতে পারে উনি ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করেছেন, যেটা উনি সভ্যতা-সংস্কৃতি বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সমকাম স্কুলে চলবে না, কিন্তু তাহলে কি বিষমকামীরা যা খুশি করতে পারে?" দক্ষিণ কলকাতার ওই স্কুলের যে ছাত্রীদের নিয়ে এই বিতর্ক, তারা বলছে ক্লাস চলছিল না, এরকম একটা সময়ে একে অন্যের কাঁধে হাত রেখে তারা গল্প করছিল - এর বাইরে কিছুই করে নি তারা। পশ্চিমবঙ্গ রূপান্তরী উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য রঞ্জিতা সিনহা বলছিলেন, আদৌ তারা লেসবিয়ান সম্পর্ক করছিল কী না সেটাই স্পষ্ট নয়। "আদৌ তারা লেসবিয়ান সম্পর্ক করছিল কী না, সেটাই স্পষ্ট নয় অথচ এরকম একটা মন্তব্য করে দেওয়া হল। লেসবিয়ান বলার আগে তো এটা দেখা উচিত ছিল যে ওরা যদি আদৌ কিছু করে থাকে, সেটাকে আমরা কীভাবে আখ্যায়িত করবো?" এলজিবিটি সম্প্রদায় শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেও কেউ কেউ ব্যাখ্যা দিচ্ছেন যে তিনি আসলে স্কুল চত্বরে কোনও ধরণের যৌন সম্পর্কের বিরুদ্ধেই মন্তব্য করেছেন। সূত্র : বিবিসি বাংলা।
   

রোমানিয়ায় কার্গো জাহাজ ডুবে নিখোঁজ ৩



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোমানিয়ার উপকূলে একটি কার্গো জাহাজ ডুবে ওই জাহাজে থাকা তিন সিরীয় নাবিক নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের খুঁজতে কৃষ্ণ সাগরে অভিযান চালাচ্ছে দেশটির নৌবাহিনী

শনিবার (১৮ মে) সকালে ‘মোহাম্মদ জেড’ নামের তানজানিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি রোমানিয়ান শহর সান্তু জর্জে থেকে ২৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ডুবে যায়। ওই সময় জাহাজটিতে ১১ জন ক্রু ছিলেন। যার মধ্যে নয়জন সিরিয়ার এবং দুজন মিসরের নাগরিক ছিলেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে রোমানিয়ার নৌবাহিনী।

তারা আরও জানিয়েছে, ভোর ৪টার দিকে দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে নৌ সেনা ও পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়। ওই সময় কাছাকাছি থাকা দুটি বাণিজ্যিক জাহাজও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।

জাহাজের ৮ নাবিককে কাছে থাকা একটি বাণিজ্যিক জাহাজই উদ্ধার করে। কিন্তু তিনজন নিখোঁজ হয়ে যান। এই তিনজনের সবাই সিরিয়ার নাগরিক। কী কারণে জাহাজটি ডুবে গেলো সেই তথ্য এখনো জানা যায়নি।

;

ইরানে দুই নারীসহ ৭ জনের ফাঁসি কার্যকর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত দুই নারীসহ সাতজনের ফাঁসি কার্যকর করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান।

শনিবার (১৮ মে) তাঁদের এ দণ্ড কার্যকর করা হয়। খবর এএফপি। 

নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে আইএইচআর বলেছে, ফাঁসি কার্যকর করা দুই নারীর মধ্যে একজন হলেন পারভিন মুসাভি। ৫৩ বছর বয়সী এই নারী দুই সন্তানের জননী। তাকে মাদক-সংক্রান্ত মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। আরেক নারী হলেন ফাতেমেহ আবদুল্লাহি (২৭)। স্বামীকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মুসাভি চার বছর ধরে কারাগারে ছিলেন। মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, পাঁচ কেজি পরিমাণ মাদকের একটি প্যাকেজ বহন করার জন্য এই নারীকে ১৫ ইউরোর সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছিল।

আইএইচআর জানিয়েছে, এ বছর ইরানে এখন পর্যন্ত ২২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে চলতি মাসে অন্তত ৫০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

;

সৌদি আরবে বিকিনি পরেই হাঁটলেন মডেলরা!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রক্ষণশীলতার বেড়াজাল থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে সৌদি আরব। দেশটিতে নারীদের পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে বিধি-নিষেধও উঠছে ধাপে ধাপে।

এ বছর প্রথম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায়ও সৌদির এক মডেলকে দেখা গেছে। বোরখা খুলে বিকিনি পরেই র‌্যাম্পে হেঁটেছিলেন ২৭ বছরের রুমি আলকাহতানি।

মিন্ট জানিয়েছে, এবার এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছে পুরো বিশ্ব। সেটা হলো, এই প্রথম সেই দেশে বিকিনি পরেই ফ্যাশন শো’তে হাঁটেছেন মডেলরা।

সৌদিতে শুক্রবার (১৭ মে) রেড সি ফ্যাশন উইকের দ্বিতীয় দিন ছিল। আর সেখানেই এই বিপ্লব ঘটেছে বলে জানা গেছে। সেন্ট রেজিস রেড সি রিসর্টের সুইমিং পুলের পাশেই আয়োজন করা হয়েছিল সেই ফ্যাশন শো’র।

ওই ফ্যাশন শো’র ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মরক্কোর পোশাক ডিজাইনার ইয়াসমিনা কাঞ্জলের তৈরি রং-বেরঙের বিকিনিতে একে একে হেঁটে চলছেন সুন্দরী মডেলরা।

মডেলদের কারও কাঁধ ছিল উন্মুক্ত, কারও বক্ষখাঁজ স্পষ্ট। তবে, বিকিনি পোশাক পরলেও অনেক মডেলই ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন মাথা ঢেকে। খানিকটা হিজাবের মতো করেই মাথায় স্কার্ফ বাঁধতে দেখা গেছে তাদের।

সৌদির মাটিতে প্রথমবার বিকিনি পরিয়ে মডেলদের হাঁটানো নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ইয়াসমিনাও। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সৌদি আরব নিঃসন্দে অত্যন্ত রক্ষণশীল একটি দেশ। এই দেশে পা রেখেই বুঝেছিলাম বিকিনি ফ্যাশন শো’র দিনটি এই দেশের ইতিহাসে লেখা হবে। রক্ষণশীল সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখেই আমরা রুচিশীল বিকিনিগুলোর নকশা করেছি। এই ফ্যাশন শো’তে অংশ নিতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।’’

;

ব্রাজিলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৪



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিলের দক্ষিণের রিও গ্রান্ডে ডো সুল রাজ্যে ঝড় ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা শুক্রবার (১৭ ) জানিয়েছে, গত ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা প্রায় প্রতিদিনই বেড়েছে।

সংস্থাটির মতে, রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলের অন্তত ৪৬১টি পৌরসভায় প্রায় ২.৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং মোট ৬ লাখ ২০ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ১৯ দিনের জরুরি অবস্থার মধ্যে ৮২ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নজিরবিহীন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে রাজ্যটিতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে দক্ষিণ ব্রাজিলের ভয়াবহ বন্যা ও ঝড়ের সৃষ্টি হয়।

রাজ্যেটির রাজধানী পোর্তো আলেগ্রের সালগাদো ফিলহো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি প্লাবিত হওয়ায় সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, দেশে ভয়াবহ বন্যার কারণে চিলিতে তার রাষ্ট্রীয় সফর স্থগিত করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও দা সিলভা।

প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে গত সোমবার (১৪ মে) জানিয়েছিল যে, বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কারণে আগামী ১৭ ও ১৮ মে প্রেসিডেন্টের চিলি সফর হচ্ছে না।

ব্রাজিলের সরকারি হিসেবে বলা হয়েছে, বন্যার ফলে এখনও ১২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

;