বিশ্বে করোনা থেকে সেরে উঠেছে ২০ লাখ মানুষ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথম নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত চার মাসে ২০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এই মহামারি। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো বিশ্ব। বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থাও মন্দা থেকে আরও মন্দা হয়ে উঠছে।

বিশেষ করে চীনের পর ইউরোপের দেশগুলোতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে দেশটি। আশার কথা হচ্ছে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর তুলনায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সংখ্যা দিন দিন বাড়তে শুরু করেছে।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ও মিটারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে ৫০ লাখ। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজার ১৯২ জন মানুষের। তবে আশার কথা হচ্ছে, এরইমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০ লাখ ১ হাজার ২৩০ জন।

জরিপ সংস্থার তথ্যমতে, চীনে নতুন করে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ইতালি, স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। দেশগুলোতে দিন দিন বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যা। এছাড়া আমেরিকাতে মৃত্যুর সংখ্যার পাশাপাশি সুস্থতার সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

করোনা সংক্রমণ থেকে মোট আরোগ্য লাভ করাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- চীনে ৭৮ হাজার ২৪৪ জন, স্পেনে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৯৫৮ জন, জার্মানিতে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯০০ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৭২৫ জন, ইরানে ৯৮ হাজার ৮০৮ জন, ইতালিতে ১ লাখ ৩২ হাজার ২৮২ জন, তুর্কিতে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৮৭ জন, রাশিয়ায় ৮৫ হাজার ৩৯২ জন, ফ্রান্সে ৬৩ হাজার ৩৫৪ জন, ব্রাজিলে ১ লাখ ৬ হাজার ৭৯৪ জন, সুইজারল্যান্ডে ১৫ হাজার ৯০০ জন।

এদিকে, আক্রান্তের ও মৃত্যুর দিক থেকে ইতালি, স্পেন, চীনকে পেছনে ফেলে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ৭১৬ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে করোনায় আমেরিকায় প্রাণ হারিয়েছেন ৯৪ হাজার ৭১১ জন।

আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয়তে স্থান করছে রাশিয়া। দেশটিতে করোনা সংক্রমণে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৮ হাজার ৭০৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৯৭২ জনের।

মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয়তে আছে যুক্তরাজ্যের নাম। ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে ৩৫ হাজার ৭০৪ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪৮ হাজার ২৯৩ জন।

মৃত্যুর সংখ্যায় তৃতীয়তে ইতালি। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৩২ হাজার ৩৩০ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২৭ হাজার ২৬৪ জন।

আক্রান্তের সংখ্যায় তৃতীয়তে স্পেন। দেশটিতে করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫২৪ এবং মৃত্যু ২৭ হাজার ৮৮৮।

ব্রাজিলে করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত ২ লাখ ৭৫ হাজার ৩৮২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ১৩০ জনের, ফ্রান্সে আক্রান্ত ১ লাখ ৮১ হাজার ৫৭৫ জন এবং মৃত্যু ১২৮হাজার ১৩২ জনের, জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪৮৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ২৬৫ জনের।

এদিকে কিছুদিন আগেও আক্রান্তের দিক থেকে সবার শীর্ষে থাকা দেশ চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। গত কয়েকদিন ধরে দেশটিতে নতুন করে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। চীনের মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৯৬৫, মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৬ জনের।

অন্যদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ২৮ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৪৩৪ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৪৫ হাজার ৪২২ জন।

জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২৬ হাজার ৭৩৮ জনের শরীরে করোনায় শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫২০৭ জন।

উল্লেখ্য, এই নতুন ভাইরাস মূলত ফুসফুসে বড় ধরণের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষ্মণ। নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটি অনেকটাই সার্স ভাইরাসের মতো। এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক।

   

রাজহাঁসের নৌকায় ভালুকের দল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলের দক্ষিণ-পশ্চিমে বেডফোর্ডশায়ার কাউন্টিতে ওবার্ন সাফারি সম্প্রতি প্রবল বৃষ্টিতে ১৩ একর জমিতে পানি জমে সাফারি পার্কে ছোট্ট একটি হ্রদের মতো সৃষ্টি হয়েছে। এটি দেখে ওবার্ন সাফারি পার্কের তত্ত্বাবধায়কেরা ভালুকের বিচরণ এলাকায় জলের উপর একটি রাজহাঁস প্যাডালো নৌকা ভাসানোর সিদ্ধান্ত নেন। আর সেই নৌকায় চড়ে বসে একদল কালো ভালুক।

পার্কের মাংসাশী প্রাণী বিভাগের উপপ্রধান টমি বাবিংটন বলেন, নিজেদের এলাকায় হ্রদের মধ্যে এমন রাজহাঁসের মতো নৌকা ভাসতে দেখে কৌতূহলী হয়ে মনে হয় এতে চড়ে বসেছে ভালুকের দল। এই জিনিস কী, তা জানতে এতটুকুও সময় নষ্ট করেনি তারা।

রাজহাঁসের নৌকায় কৌতূহলী ভালুক

টমি আরও বলেন, ‘এ বছর এত বেশি বৃষ্টি ছিল যে কালো ভালুকের বিচরণ এলাকায় একটি নতুন ছোট হ্রদের সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমরা এটিকে তাদের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করেছি।’

ভালুক স্বভাবজাতভাবেই বেশ উৎসুক প্রকৃতির। আর এরা যেন সেটি বজায় রাখতে পারে, সে ধরনের সব চেষ্টা করে যাবেন সাফারি কর্মীরা। সেই বোটে ওঠা চার ভালুকের মধ্যে দুটি ভাই ও দুটি বোন। এদের নাম হার্ভার্ড, ম্যাপল, কলোরাডো ও আসপেন।

উত্তর আমেরিকার বনে সচরাচর কালো ভালুক দেখা যায়। এরা দৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ ছয় ফুট তিন ইঞ্চি ও ওজনে ৩০০ কিলোগ্রাম হয়ে থাকে।

;

বাল্টিমোর ব্রিজ ধস: ডুবে যাওয়া ট্রাক থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর পোতাশ্রয়ে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজ 'দ্য ডালির' ধাক্কায় সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় ডুবে যাওয়া একটি লাল রঙয়ের ট্রাকের মধ্যে থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে অনুসন্ধানকারীরা।

বাকিদের অনুসন্ধানে উদ্ধার কাজ এখনো চলছে বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার হওয়া দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন এল সালভাদরের নাগরিক মিগুয়েল লুনা অন্যজন হন্ডুরাসের নাগরিক মেনর সুয়াজো স্যান্ডোভাল।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহাজটি যখন সেতুতে আঘাত করে তখন ওই সেতুতে আটজন নির্মাণ শ্রমিক কাজ করছিলেন। ওই দিনই ডুবুরীরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর বাকী চারজন ইতোমধ্যেই মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ নদীর ঠাণ্ডা পানিতে এত দীর্ঘসময় ধরে টিকে থাকা অসম্ভব।

এর আগে গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ) মেরিল্যান্ড স্টেট পুলিশ এক প্রেস কনফারেন্সে মৃত দুই ব্যক্তির পরিচয়ের কথা জানায়। তাদের একজন মেক্সিকান নাগরিক আলেজান্দ্রো হার্নান্দেজ ফুয়েন্তেস (৩৫) ও গুয়াতেমালার নাগরিক ডোরলিয়ান রনিয়াল ক্যাস্টিলো ক্যাব্রেরা (২৬)।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনার পর ব্রিজে থাকা অনেক যানবাহন নদীতে পড়ে যায়। ওই যানবাহনগুলোর মধ্যে অনেক মানুষ থাকতে পারে। এতে বহু ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। নদীতে এখন কংক্রিট ও সেতুর ধ্বংসাবশেষ থাকায় ডুবুরিরা আর পানিতে নিরাপদে চলাচল করতে পারছে না। তাই, তারা এখন সোনার স্ক্যান বা শব্দ সংকেত ব্যবহার করছেন। তারা মনে করছেন, সেতু ধসের সময় যে গাড়িগুলো নদীতে পড়ে গিয়েছিলো, সেগুলো সেতুর এই “সুপারস্ট্রাকচার এবং কংক্রিটে আবদ্ধ” রয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর পোতাশ্রয়ে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজ দ্য ডালির ধাক্কায় সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে উল্লেখযোগ্য বাধার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বাল্টিমোর বন্দর দিয়ে মূলত মার্কিন ব্র্যান্ডের গাড়ি, ইউকে, ইইউ ব্র্যান্ড, জেনারেল মোটরস এবং ফোর্ড থেকে (জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার), নিসান, ফিয়াট এবং অডি আমদাসি-রফতানি করা হয়েছে।

এছাড়া, বাল্টিমোর তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) একটি উল্লেখযোগ্য রফতানিকারক। যার প্রভাব যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর পড়বে।প্রতি মাসে প্রায় অর্ধ মিলিয়ন টন এলএনজি বাল্টিমোর ছেড়ে যায়।

;

গাজার ২৪টি হাসপাতাল অকার্যকর: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় সংস্থা (ওসিএইচএ) বলেছে, গাজা উপত্যকার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে অন্তত ২৪টি অকার্যকর।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম তাস।

ওসিএইচএ-এর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান যুদ্ধ এবং সরবরাহ সীমাবদ্ধতার কারণে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। যার ফলে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক হাসপাতাল যা পরিষেবার বাইরে চলে গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে ২৭ মার্চ গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে ২৪টি অকার্যকর। দুটি উত্তর গাজায় ন্যূতমভাবে কার্যকরী এবং গাজায় চারটি এবং দক্ষিণ গাজায় ৬টিসহ মোট ১০টি আংশিকভাবে কার্যকরী।

আল-আকসা মসজিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসাবে হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। হামাসের এই হামলার প্রতিশোধ নিয়ে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে। ইসরায়েল ২৩ লক্ষ ফিলিস্তিনিদের আবাসস্থল গাজা উপত্যকায় সম্পূর্ণ অবরোধ ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি লেবানন ও সিরিয়ার কিছু অংশে বিমান হামলা শুরু করে।

;

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। উইন রোজারিও (১৯) নামের ওই যুবককে নিজ বাসায় গুলি করে পুলিশ।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২৭ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুরে নিউইয়র্কের কুইন্স শহরে নিজ বাসায় পুলিশ রোজারিও নামের ওই যুবককে গুলি করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

রোজারিও মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। তার পরিবার ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হয়েছিল।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গুলিতে নিহত হওয়ার আগে ওই যুবক সাহায্যের জন্য ৯১১ নম্বরে ফোন করেছিলেন। পরে পুলিশ সেখানে গেলে ওই যুবক কাঁচি নিয়ে পুলিশ অফিসারদের দিকে তেড়ে আসেন। পরে আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিল, দুজন কর্মকর্তা মানসিক সমস্যায় ভোগা এক ব্যক্তির ৯১১ নম্বরে ফোনকল পেয়ে প্রতিক্রিয়ায় অ্যাপার্টমেন্টে যায়। সেখানে পরিস্থিতি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ এবং বিপজ্জনক ছিল। অ্যাপার্টমেন্টে যাওয়ার পর পুলিশ কর্মকর্তারা রোজারিওকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি ড্রয়ার থেকে কাঁচি বের করে কর্মকর্তাদের দিকে ধেয়ে আসেন। পরে কর্মকর্তারা রোজারিওর ওপর গুলি করেন। এই পরিস্থিতেতে আত্মরক্ষা করার জন্য গুলি করা ছাড়া উপায় ছিল না।

নিহত রোজারিওর ভাই ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি বলেন, মা রোজারিওকে আটকাচ্ছিলেন, কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তাদের গুলি করার দরকার ছিল না। প্রথমত, দুজন পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন। আমার মা আগে থেকেই আমার ভাইকে ধরে রেখেছিলেন, তাই তিনি তাদের ওপর আক্রমণ করতে পারতেন না। আমি মনে করি না একটি কাঁচি দুজন পুলিশ কর্মকর্তার জন্য হুমকি ছিল।

তিনি আরও বলেন, তার ভাই দুই বছর আগে ওজোন পার্কের জন অ্যাডামস হাই স্কুল থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন এবং সম্প্রতি মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছিলেন।

;