জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ড: পুলিশ ভ্যান ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
কারাগারে অন্যায়ভাবে জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শহরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত দশ হাজারেরও বেশি মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে।
শনিবার (৩০ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, বিক্ষোভকারীরা ফোর্ট গ্রিন পার্কে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। কয়েকশ প্রতিবাদকারী ক্লিনটন হিলের ৮৮ তম এলাকা ঘিরে ফেলে। পুলিশ অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
বিক্ষোভকারীরা দোকান ও ভবনে ভাঙচুর করছে। ভবন ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ নিয়ন্ত্রণে আনতে মিনিয়াপোলিস ও সেইন্ট পল শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মিনিয়াপোলিস পুলিশ বিভাগের চার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপরেও বিক্ষোভ আরও বড় আকার ধারণ করে দেশটির ছোট-বড় শহরে ছড়িয়ে পড়েছে।
সোমবার (২৫ মে) কারাগারে নিরস্ত্র জর্জ ফ্লয়েডকে খুনের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এ থেকেই মূলত আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।
খুনের দুই দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনোপোলিস শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে ২৭ মে বিক্ষোভকারীরা থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের বিরুদ্ধে পুলিশি বর্বরতার প্রতিবাদে নিউইয়র্ক, ডেনভার, শিকাগো এবং ওকল্যান্ডসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অঞ্চলে বিক্ষোভ ছটিয়ে পড়েছে।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এটি কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি সহিংসতা। যদিও বিক্ষোভে শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ উভয়েয় অংশ নিয়েছে। এখন বিক্ষোভটি আরও বড় হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডকে অন্যায়ভাবে পুলিশ সদস্যরা হত্যা করে। এ সময় জর্জ ফ্লয়েড নিরস্ত্র ছিলেন। হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরা হয়। সে বারবার নিশ্বাস নেবার জন্য আর্তনাদ করতে থাকে এবং বাঁচার আর্জি জানায়। অন্যায়ভাবে ফ্লয়েডকে মৃত্যুর ঘটনায় কৃষ্ণাঙ্গরা বিক্ষোভ শুরু করলেও এখন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।