করোনার চিকিৎসায় অ্যান্টিবডি থেরাপিতে বিস্ময়কর সাফল্য

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় অ্যান্টিবডি থেরাপি মানবদেহে এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম বলে জানিয়েছে বিজ্ঞানীরা। অ্যান্টিবডি থেরাপি নিয়ে কাজ করা বিজ্ঞানীরা এ দাবি করে বলেন, তাদের গবেষণা সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে। অ্যান্টিবডি চিকিৎসা দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব।

যুক্তরাজ্যের বৃহৎ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানায়, সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে ক্লোন অ্যান্টিবডির একটি ইনজেকশন কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই করে মানবদেহে কার্যকর ফলাফল দেখাতে পারে।

বিজ্ঞাপন

অ্যাস্ট্রাজেনেকার সিইও পাস্কাল সরিওট জানিয়েছেন, এ চিকিৎসার অগ্রগতি হলো— ‘দুটি অ্যান্টিবডির সংমিশ্রণে’ একটি ইনজেকশন ডোজের বিকাশ। এ দুই অ্যান্টিবডি শরীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলবে।

তবে ভ্যাকসিন উৎপাদনের চেয়ে অ্যান্টিবডি থেরাপি বেশি ব্যয়বহুল। এক্ষেত্রে বয়স্ক ও দুর্বলদের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কারণ তাদের শরীরে ভ্যাকসিন খুব বেশি কার্যকর নাও হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে ৪ জুন অ্যাস্ট্রাজেনেকা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের জন্য ৪০০ মিলিয়ন এবং স্বল্প-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য ১ বিলিয়নসহ মোট ২ বিলিয়ন ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে চুক্তি সম্পাদন করেছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা ২০২০ সালের মধ্যে ৪০০ মিলিয়ন শট বিতরণ করবে। স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ১ বিলিয়ন ডোজ সরবরাহের জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

ভ্যাকসিনটি মূলত অক্সফোর্ডের তৈরি। এর ভ্যাকসিনটির নাম দেওয়া হয়েছে এনকোভ-১৯ (ChAdOx1 nCoV-19)। ভ্যাকসিনটি পরীক্ষামূলক ট্রায়ালে আছে। ভ্যাকসিনটি কার্যকার কি না, তা জুন মাসেই জানা যাবে। কার্যকর প্রমাণিত হলেই যত দ্রুত সম্ভব এর অনুমোদন দেবে যুক্তরাজ্যে সরকার।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান