চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের ২ ভ্যাকসিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দুইটি ভ্যাকসিন চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালে পৌঁছেছে। আসছে জুলাই মাসেই বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা জানাবে। মানবদেহে কার্যকর প্রমাণিত হলেই সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে সারাবিশ্বে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে প্রস্তুত এ দুই সংস্থা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ম্যাসাচুসেটস বায়োটেকনোলজি সংস্থা (মর্ডানা) ও বেইজিং ভিত্তিক বায়োটেক সংস্থা সিনোভ্যাক তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালে আছে। ইতোমধ্যে বিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলেছেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়তে তাদের ভ্যাকসিন শতভাগ কার্যকরী। এখন শুধু অপেক্ষা চূড়ান্ত ট্রায়াল শেষ হবার ও অনুমোদনের। এরপরই বৃহৎ উৎপাদনের দিকে এগোবে তারা। মানবদেহে ভ্যাকসিনের কার্যকরীতা বলে দেবে কোন ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম।

মর্ডানা:
জুলাই মাসে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এ ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। এর পরই মর্ডানা একটি চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করবে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়ালে এ ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। এ ভ্যাকসিন ইঁদুরে প্রয়োগে কার্যকর ফল পাওয়া গেছে।

জানুয়ারিতে কোভিড-১৯ এর জেনেটিক সিকোয়েন্স প্রকাশের ঠিক আট সপ্তাহের মাথায় মর্ডানার এমআরএনএ-১২৭৩ ভ্যাকসিনের প্রথম ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করে। ১৮ মে প্রাথমিক পর্যায়ের ট্রায়ালে ৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবকে এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে। প্রথম পর্যায়ের এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের শরীরে ভ্যাকসিনর দু’টি ডোজ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আটজনের দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে মডার্না জানিয়েছে, প্রাথমিক ফল ইতিবাচক। ২০২১ সালের শুরু থেকে সুইডেনের ওষুধ নির্মাতা লঞ্জার সঙ্গে যৌথভাবে ১০০ কোটি ডোজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। এ ভ্যাকসিন তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে মডার্না।

সিনোভ্যাক:

সিনোভ্যাক তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের নাম দিয়েছে ‘কোরোনাভ্যাক’। চীনা সংস্থা সিনোভাক বায়োটেকের নিষ্ক্রিয় ভ্যাকসিনটি ব্রাজিলে তিন ধাপের ক্লিনিকাল পরীক্ষায় প্রবেশ করতে চলেছে। ভ্যাকসিনটি মানবদেহে কার্যকরভাবে দুই সপ্তাহের মধ্যে শরীরে কার্যকরী অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে।

সিনোভ্যাক বলছে, তাদের গবেষণাগারে তৈরি ‘কোরোনাভ্যাক’ ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। এখন শুধু গণ উৎপাদনের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আছেন তারা। সংস্থাটি জানায়, করোনা প্রতিরোধের জন্য প্রতি বছরে ১০ কোটি ডোজ উৎপাদন করতে তারা প্রস্তুত। এছাড়া ভ্যাকসিনটি বানরের উপর প্রয়োগে আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে। করোনাভাইরাস রোধে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনটির ব্যাপক উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি, অপেক্ষা শুধু অনুমোদনের।

বিশ্বব্যাপী ভাইরাসের বিরুদ্ধে ওষুধ উৎপাদন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে সিনোভ্যাকের। ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লুর টিকা বাজারজাতকারী প্রথম ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি হলো সিনোভ্যাক বায়োটেক।

   

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো রক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্রের অভাব রয়েছে ইউক্রেনের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন যে, দেশটির প্রতিরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র ফুরিয়ে যাওয়ায় কিয়েভের একটি প্রধান বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে রাশিয়া।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম পিবিএসের সঙ্গে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) কথা বলার সময় জেলেনস্কি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে তার মিত্রদের প্রতি বারবার সদয় হওয়ার পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, রাশিয়া তার দেশের অবকাঠামোগুলোতে হামলা বাড়ানোর কারণে মরিয়া হয়ে গোলাবারুদের আহ্বান জানাচ্ছে ইউক্রেন।

প্রসঙ্গত, ট্রিপিলস্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র (টিটিপিপি) কিয়েভ অঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কেন্দ্র, যেটি গত ১১ এপ্রিল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে রাশিয়া।

জেলেনস্কি পিবিএসকে বলেন, ‘ট্রিপিলস্কাতে ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলে পড়েছিল। আমরা প্রথম সাতটি ধ্বংস করেছি। কিন্তু, বাকি চারটি ট্রিপিলস্কাকে ধ্বংস করেছে। এর কারণ, সেখানে আমাদের প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ফুরিয়ে গিয়েছিল।’

আল জাজিরা জানিয়েেছে, আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠাতে রাজি করাতে যুদ্ধের শুরু থেকেই পশ্চিমা মিত্রদের আহ্বান জানিয়ে আসছে ইউক্রেন।

কিয়েভ আকাশ প্রতিরক্ষা বাড়াতে বাড়াতে চাইছে কারণ রাশিয়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তাদের বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলোতে তিনটি বড় হামলা চালিয়েছে।

কিয়েভ বলেছে, ইউক্রেনজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামোগুলোকে সঠিকভাবে সুরক্ষিত করতে তাদের ২৫টি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার প্রয়োজন।

এদিকে জার্মানি গত শনিবার বলেছে, তারা ইউক্রেনে তৃতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহ করবে। যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্ররা অবশ্য এর আগেই প্যাট্রিয়ট সিস্টেম এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে।

ইউক্রেনের ন্যাশনাল গ্রিড অপারেটর ইউক্রেনারগো চলতি মাসের শুরুতে সতর্ক করে বলেছিল যে, বারবার হামলার কারণে দেশের জ্বালানি ব্যবস্থার নিশ্চিত সুরক্ষা প্রয়োজন।

অন্যদিকে মস্কো বলেছে, তাদের হামলার লক্ষ্য ইউক্রেনের যুদ্ধ করার ক্ষমতা হ্রাস করা এবং রাশিয়ার অভ্যন্তরে সাম্প্রতিক হামলার প্রতিশোধ নেওয়া।

;

জাপানের কূটনীতিককে তলব করেছে দক্ষিণ কোরিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাপানের ‘ব্লুবুক’ শীর্ষক বার্ষিক কূটনৈতিক নীতি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ দিনের আঞ্চলিক বিরোধের কেন্দ্রস্থলের দ্বীপগুলোকে নিজেদের বলে দাবির প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপের বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

ব্লুবুক নামের জাপানের ওই কূটনৈতিক নীতির প্রতি অসম্মতি জানাতে সিউলে জাপানি দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন তাইসুকে মিবাইকে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করেছ বলে জানা গেছে।

এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রক ঘোষণা করেছিল যে, তারা কূটনৈতিক ব্লুবুকে জাপানের দাবির কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কারণ, ওই ডোকডো দ্বীপগুলো ঐতিহাসিকভাবে এবং ভৌগলিকভাবে সিউলের সার্বভৌম ভূখণ্ডের অংশ।

উল্লেখ্য, ওই ডোকডো দ্বীপগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর চলমান অবস্থানের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার কার্যকর কর্তৃত্ব রয়েছে।

কিন্তু, ডোকডো দ্বীপগুলো ২০২৪ সালের কূটনৈতিক ব্লুবুকে অন্তর্ভুক্ত করে মন্ত্রিসভায় জমা দিয়েছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া।

জাপান এই বছরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, দক্ষিণ কোরিয়া ডোকডোতে তার অবৈধ দখল ধরে রেখেছে এবং এলাকাটি ঐতিহাসিক ও আইনগতভাবে জাপানি এলাকা।

;

ইউক্রেনের চিড়িয়াখানায় মর্মান্তিক আগুন, ২০০ প্রাণী নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিমিয়ার সমুদ্রতীরবর্তী শহর ইয়েভপাটোরিয়াতে ট্রপিক পার্ক চিড়িয়াখানায় মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২০০টিরও বেশি প্রাণী মারা গেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম নোভিনাইট ডট কমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

চিড়িয়াখানার একজন মুখপাত্র বলেছেন, এটি একটি ভয়াবহ ট্র্যাজেডি এবং হৃদয়বিদারক ঘটনা। এ ট্র্যাজেডিতে চিড়িয়াখানার প্রায় সমস্ত প্রাণী মারা গেছে। এখানে ২০০ টিরও বেশি প্রাণী ছিল। আমি এতোটাই মর্মাহত যে, এরচেয়ে আর বিশদভাবে বর্ণনা করতে পারবো না।

এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে আশার বাণী হলো- চিড়িয়াখানার কর্মীদের সাহসী প্রচেষ্টায় ধোঁয়ায় ভরা এলাকা থেকে দুটি ভালুককে অলৌকিকভাবে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল।

প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে- শর্ট সার্কিটের ফলে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

বৈচিত্র্যময় এ চিড়িয়াখানায় লেমুর, তোতা, কচ্ছপ, সাপ, বানর এবং অন্যান্য অসংখ্য প্রজাতির পশুপাখি ছিল।

;

ইরান তার আত্মরক্ষায় কাজ করছে : রাইসি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, তার দেশের নজিরবিহীন ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে যদি তেল আবিব সামান্য পদক্ষেপও নেয়, তবে তারা বেদনাদায়ক প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, গত ১ এপ্রিল ইসরায়েলে প্রথম সরাসরি আক্রমণ চালিয়েছে তেহরান।

হামলাটি সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে হামলা চালিয়ে ৭ জন বিপ্লবী গার্ড কমান্ডারকে হত্যার প্রতিক্রিয়া বলে দাবি করেছে ইরান।

রাইসি সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে ফোন কলে বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করছি যে, ইরানের বিরুদ্ধে সামান্যতম পদক্ষেপ অবশ্যই কঠোর, ব্যাপক এবং বেদনাদায়ক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেবে।’

রাইসির অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ সময় তিনি থানিকে পুনর্ব্যক্ত করেন যে, ‘ইরান তার আত্মরক্ষায় কাজ করছে।’

তিনি ইসরায়েলকে সমর্থনের জন্য কিছু পশ্চিমা দেশের সমালোচনা করেন।

এদিকে, ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি সোমবার (১৫ এপ্রিল) নজিরবিহীন হামলার জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

হ্যালেভি ইরানের গত শনিবার রাতের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে সেনাদের বলেছেন, ‘ইসরায়েলের ভূখণ্ডে এতগুলো ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া জানাবে তেল আবিব।’

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্রদের সহায়তায় বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন গুলি ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে ওই আক্রমণে সামান্য ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

;