কে হচ্ছেন জো বাইডেনের সহযাত্রী?



নিউ ইয়র্ক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিশেল ওবামা, কমলা হ্যারিস, গ্রেচেন হোয়াইটমায়ার, ট্যামি ডাকওয়ার্থ, এলিজাবেথ ওয়ারেন, ট্যামি বল্ডউইন, ক্রিশ্চেন সিনেমা, ভ্যাল ডেমিংস, মিশেলে লুজান গ্রিশাম, স্ট্যাসি আব্রামস, কেইসা ল্যান্স বটমস, সুসান রাইস। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী একগুচ্ছ নারীর নাম।

এর মধ্য থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কাকে বেছে নেবেন ডেমোক্রেট দল থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী জো বাইডেন? যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই এ আলোচনা জোরালো হচ্ছে। এখানে স্মরণ করা যেতে পারে, মার্চে ডেমোক্রেট দলের প্রাইমারি বিতর্কের চূড়ান্ত দিনগুলোর কথা। সেখানে জো বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেলে রানিংমেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বেছে নেবেন একজন নারীকে। এখন তার দলের মনোনয়ন নিশ্চিত। তাই তিনি কাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে বাছাই করবেন, সেই আলোচনা জোরালো হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমে এ খবর জানা গেছে।

তার চারপাশে প্রায় এক ডজন নারীর নাম। তিনি যদি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন, তাহলে এটা হবে তার দলের জন্য ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে একজন নারীকে মনোনয়ন দেয়ার তৃতীয় ঘটনা। এর চার বছর আগে প্রেসিডেন্ট পদে প্রথম নারী হিসেবে তার দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন সাবেক ফার্স্টলেডি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। আগামী আগস্টের শুরুর দিকে এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নাম ঘোষণার কথা জো বাইডেনের। তার আগ পর্যন্ত আলোচনায় থাকা নারীদের এক নজর দেখে নেয়া যাক।

কমলা হারিস: ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে সামনের সারিতে সম্ভাব্য নামগুলোর মধ্যে রয়েছেন কমলা হারিস। তিনি মার্কিন সিনেটর। ক্যালিফোর্নিয়ার এটর্নি জেনারেল এবং সান ফ্রান্সিসকোর ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার রয়েছে বৈচিত্র্যপূর্ণ ব্যাকগ্রাউন্ড। তার মা ভারতের, বাবা জ্যামাইকার। তিনি এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন চেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পরে সরে যান।

গ্রিচেন হোয়াইমায়ার: তিনি মিশিগানের গভর্নর। কয়েক মাস আগেও তাকে নিয়ে তেমন আলোচনা ছিল না। এরপরই করোনার মহামারি আঘাত করে। তার রাজ্যে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ায় তিনি হয়ে ওঠেন পরিচিত মুখ। কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনা করতে থাকেন। নিজের রাজ্যে তিনি সামাজিক দূরত্ব এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেন। তার রাজ্য করোনাভাইরাসের হটস্পট হয়ে ওঠায় এমন সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এতে তার বিরুদ্ধে রক্ষণশীলরা ক্ষুব্ধ প্রতিবাদ করতে থাকে। ফলে ডেমোক্রেটদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। তার রাজ্যে সামান্য ভোটের ব্যবধানে ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন হিলারি ক্লিনটন। এ রাজ্যকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়। যাতে আগের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেই চিন্তা করতে পারেন জো বাইডেন। ফলে তিনি বেছে নিতে পারেন হোয়াইটমায়ারকে।

ট্যামি ডাকওয়ার্থ: তিনি ইলিনয় থেকে নির্বাচিত একজন জুনিয়র সিনেটর। ইরাক যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে তার নাম। তিনি ইরাকে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার চালাচ্ছিলেন। তখন তা গুলি করে ভূপাতিত করে বিদ্রোহীরা। এতে ট্যামি ডাকওয়ার্থ তার দু’টি পা-ই হারান। সে অবস্থায়ই তিনি সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করেন। একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে অবসরে যান। এরপর তখনকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ডিপার্টমেন্ট অব ভেটেরান অ্যাফেয়ার্সে অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ছিলেন। তারপর ২০১৬ সালে সিনেট সদস্য নির্বাচিত হন। থাইল্যান্ড বংশোদ্ভূত প্রথম মার্কিন নারী হিসেবে তিনি প্রথম মার্কিন কংগ্রেসে পা রাখেন। পাশাপাশি দু’পা হারানো প্রথম নারী হিসেবে কংগ্রেসে যোগ দেন। সিনেটে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় প্রথম নারী হিসেবে ২০১৮ সালে তিনি প্রথম সন্তান প্রসব করেন। ইলিনয় হলো ডেমোক্রেটদের নিরাপদ রাজ্য। এখানে তাকে বেছে নিতে পারেন জো বাইডেন।

এলিজাবেথ ওয়ারেন: এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলের মনোনয়ন লাভের ফ্রন্টরানার ছিলেন শুরুর দিকে। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বিভিন্ন জনমত জরিপে তিনি ছিলেন সবাইকে ছাড়িয়ে শীর্ষে। প্রথম দিকে প্রাইমারি নির্বাচন এবং জনতার সমর্থন তাকে স্বস্তিদায়ক একটি অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল। এরপরই তার সমর্থন কমতে থাকে। সমর্থন যেতে থাকে সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের পক্ষে। উঠে আসতে থাকেন পিটি বুটিগিগ। অনেক উদারপন্থি আশা করতে থাকেন যে তিনি স্যান্ডার্সকে অনুমোদন দিন। একপর্যায়ে মার্চের শুরুতে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যান। এখন তার মতো একজন ঝানু রাজনীতিককে জো বাইডেনের রানিংমেট হিসেবে দেখতে চাইতে পারেন ডেমোক্রেটরা।

ট্যামি বল্ডউইন: চার বছর আগে নির্বাচনের সময় কখনোই উইসকনসিনে নির্বাচনী প্রচারণা চালাননি বলে কড়া সমালোচনা আছে হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে। এর ফলে তিনি ডেমোক্রেটিকদের নিরাপদ ঘাঁটি বলে পরিচিত এ গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে পরাজিত হন বলে অভিযোগ আছে। ডেমোক্রেটরা এবার সেই ভুল না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা এ রাজ্য থেকে ট্যামি বল্ডউইনকে বেছে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে এ রাজ্যের একজন সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ১৪ বছর এ রাজ্য থেকে প্রতিনিধি পরিষদের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাকে যদি মনোনয়ন দেয়া হয়, তাহলে তা হবে ঐতিহাসিক। কারণ তিনি প্রকাশ্যে একজন সমকামী। তাকে মনোনয়ন দেয়া হলে তিনি হবেন একটি বড় দল থেকে প্রথম সমকামী নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।

কিশ্চেন সিনেমা: তিনি অ্যারিজোনার। এ রাজ্যটি নির্বাচনে জয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জো বাইডেন রাজনৈতিক যে উদারতা দেখিয়েছেন, অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে তার যে পার্থক্য, তাতে এ রাজ্যটি ডেমোক্রেটদের দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে মনে হয়। এক্ষেত্রে একটি কৌশল হতে পারে, এ রাজ্য থেকে একজনকে ভাইস প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন দেয়া। সেক্ষেত্রে ক্রিশ্চেন সিনেমা হতে পারেন উত্তম বাছাই। ২০১৮ সালে অ্যারিজোনায় প্রথম ডেমোক্রেট হিসেবে এ রাজ্যে ৩০ বছরের মধ্যে প্রথম ডেমোক্রেট হিসেবে সিনেটর নির্বাচিত হন। তিনি তরুণ, বুদ্ধিদীপ্ত, রাজনৈতিক প্রজ্ঞাময়।
ভ্যাল ডেমিংস: তিনি কংগ্রেসে ডেমোক্রেট দলের ব্যাকবেঞ্চার হিসেবে পরিচিত। গত বছরও তিনি খুব কম পরিচিত ছিলেন। এরপরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিবাসন প্রক্রিয়ায় তাকে ম্যানেজার হিসেবে বেছে নেন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। ফলে সবার নজরে পড়ে যান তিনি। রাতারাতি তিনি সুপরিচিত হয়ে ওঠেন। কৃষ্ণাঙ্গ ভ্যাল ডেমিংস এক সময় ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোর পুলিশ প্রধান ছিলেন। জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ড নিয়ে যখন যুক্তরাষ্ট্র উত্তাল, তখন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে তিনি হয়তো জো বাইডেনের রাডারে ধরা পড়ে যেতে পারেন।

মিশেলে লুজান গ্রিশাম: প্রাইমারি নির্বাচনের সময় হিস্প্যানিকরা জো বাইডেনের ভোটিং ব্লকের দুর্বল জায়গা হয়ে ওঠে। ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস ও নেভাদার মতো রাজ্যগুলোতে বার্নি স্যান্ডার্স টপকে যান জো বাইডেনকে। এ রাজ্যগুলো হয়ে উঠতে পারে নভেম্বরের নির্বাচনে ব্যাটলগ্রাউন্ড। যদি এসব রাজ্যে সমর্থন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন জো বাইডেন, তাহলে তিনি বেছে নিতে পারেন নিউ মেক্সিকোর প্রথম মেয়াদের গভর্নর মিশেলে লুজান গ্রিশামকে।
স্ট্যাসি আব্রামস: আলোচনায় রয়েছেন স্ট্যাসি আব্রামস। তিনি ১০ বছর ধরে প্রতিনিধি পরিষদে জর্জিয়া থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

কেইশা ল্যান্স বটমস: তিনি আটলান্টার মেয়র। জর্জ ফ্লয়েড মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যখন উত্তাল চারদিক, তখন তিনি সবকিছু ম্যানেজ করেছেন সমতার ভিত্তিতে।

সুসান রাইস: বিস্ময়করভাবে এ তালিকায় স্থান পেয়েছে সুসান রাইসের নাম। তিনি নির্বাচিত কোনো পদে দায়িত্ব পালন করেননি। এমনকি কোনো সাধারণ প্রচারণার অভিজ্ঞতা নেই তার। তুলনামূলকভাবে তিনি মার্কিনিদের কাছে কম পরিচিত। তার পরিচয় তিনি একজন কূটনীতিক। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অধীনে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রথমে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, পরে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন। তাকে বেছে নিলে পররাষ্ট্র নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন।

মিশেল ওবামা: সাবেক ফার্স্টলেডি। তার প্রতি মার্কিন জনগণের বিপুল সমর্থন ও ভালোবাসা আছে। তিনি বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত মানুষ। তাকে বাছাই করা হলে, তিনি জো বাইডেনের চেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেন।

 

   

ফেসিয়াল করে এইডসে আক্রান্ত ৩ নারী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রে স্পাতে গিয়ে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন তিন নারী। এ ফেসিয়ালে ইনজেকশনের ব্যবহার রয়েছে।

আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকার কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিডিসি বলছে, নিউ মেক্সিকোর একটি স্পাতে গিয়ে এইডসে আক্রান্ত হন ওই তিন নারী। তারা তিন জনই ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করান। 

ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়ালের সময় একজন ব্যক্তির শরীর থেকে রক্ত ​​নেওয়া হয় এবং তারপরে প্লাটিলেট আলাদা করা হয়। পরে মাইক্রোনিডল ব্যবহার করে তা মুখে দেওয়া হয়। যদিও অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে এই ফেসিয়াল করা হলে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আলবুকার্কের ভিআইপি স্পাতে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করা এক নারীর এইডসে আক্রান্ত হওয়ার খবর ২০১৮ সালে প্রথমে সামনে আসে। তখনই নড়েচড়ে প্রশাসন। মুখে রক্ত মেখে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করিয়েছিলেন ওই নারী। পরে তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জানা যায়, যে সরঞ্জাম একবারই ব্যবহার হওয়ার কথা, সেই সরঞ্জাম একাধিকবার ব্যবহার করা হত ওই স্পাতে। বাদ যেত না লেবেলবিহীন রক্তের শিশিও।

ঠিক কীভাবে ওই নারী সংক্রমিত হলেন? তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে তিনি একা নন, ওই স্পাতে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করানোর পর এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও দুজন। আরও যারা গ্রাহক ছিলেন, তাদেরও এইচআইভি পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য় দপ্তরের কর্মকর্তা। তবে এখনও পর্যন্ত নতুন কোনো এইডসে আক্রান্তের সন্ধান মেলেনি।

স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, অভিযুক্ত স্পার মালিক ২০২২ সালে লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এর দায়ে তাকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

;

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চায় চীন: ব্লিঙ্কেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন নির্বাচনে চীন হস্তক্ষেপ করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চীন সফরের শেষ দিন মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ অভিযোগ করেন। 

ব্লিঙ্কেন জানান, আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার ও হস্তক্ষেপ করার চীনা প্রচেষ্টার প্রমাণ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। যদিও এর আগে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

ব্লিঙ্কেন যখন সিএনএনকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন তখনও শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তারা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ বিভিন্ন চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে বৈঠক করছিলেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি বিষয় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাত ও মস্কোকে চীনের সমর্থন।  

সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা দেখেছি যে, আমাদের নির্বাচনে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা চলছে; সম্ভবত হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা চলছে। আমরা এ প্রচেষ্টা দ্রুত বন্ধ হওয়া নিশ্চিত করতে চাই। আমরা খুব সাবধানে নির্বাচনে চীনের হস্তক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করছি। এটি আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বছরের কম সময়ের মধ্যে এ নিয়ে দুবার চীন সফর করলেন। গত বছরের নভেম্বরে সান ফ্রান্সিসকোতে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জিনপিং। তখন চীনের প্রেসিডেন্ট প্রতিশ্রুতি দেন, তাঁর দেশ আমেরিকার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে না। 

;

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকে গাজা নিয়ে কথা বলবে আরব-ইইউ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শীর্ষ আরব ও ইইউ কূটনীতিকরা সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে রোববার (২৮ এপ্রিল) দু‘দিনব্যাপী বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন। কূটনৈতিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা র্অথনৈতিক শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি গাজার চলমান যুদ্ধ নিয়ে বৈঠক করবেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) অর্থনৈতিক ফোরামের বিশেষ বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে গাজা নিয়ে আলোচনা হবে। এতে যোগ দিচ্ছেন ফিলিস্তিনের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোস্তফা, মিসরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবৌলি এবং গাজা উপত্যকার জন্যে জাতিসংঘের ত্রাণ সমন্বয়কারী সিগ্রিড কাগ।

ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে ফরাসী পররাষ্ট্র মন্ত্রী স্টিফেন সেজার্ন গাজা যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার জন্যে রিয়াদ সফরে আসছেন। এছাড়া তার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সফরেরও পরিকল্পনা রয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এক কূটনৈতিক সূত্রে বলা হয়েছে, রিয়াদে গাজা ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপীয়ান, আমেরিকান ও আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এদিকে মুখপাত্র সেবাস্তিয়ান ফেশার বলেছেন, জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী আনালিনা বায়েরবক সোমবার রিয়াদে এসে পৌঁছাবেন এবং কাগ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানসহ অন্যান্যদের সাথে বৈঠকে যোগ দেবেন।

বার্লিনে ফেশার সাংবাদিকদের বলেছেন, বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সংকট, উত্তেজনা হ্রাস ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হবে।
উল্লেখ্য সৌদি আরব কখনই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলার আগে মার্কিন প্রশাসনের প্রচেষ্টায় ইসরায়েল ও সৌদি আরর এক ঐতিহাসিক চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল।

ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের  হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং ২৫০ জিম্মিকে আটক করে। এখনও তাদের কাছে ১৫০ জিম্মি আটক রয়েছেন।

এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৪ হাজার ৩৫৬ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছেন। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।

;

বেইজিংয়ে ঐক্য সংলাপে বসছে ফাতাহ-হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেইজিংয়ে ঐক্য সংলাপে বসতে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনের দুই প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস ও ফাতাহের প্রতিনিধিরা। শিগগিরই এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন হামাস ও ফাতাহর নেতৃবৃন্দ এবং চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐক্য সংলাপে বসার উদ্দেশে ফিলিস্তিনের দুই প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস ও ফাতাহের প্রতিনিধিরা শুক্রবার বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সংলাপে ফাতাহের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন গোষ্ঠীটির জ্যেষ্ঠ নেতা আজাম আল আহমেদ, আর হামাসের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবেন ওই গোষ্ঠীর জ্যেষ্ঠ নেতা মুসা আবু মারজুক।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখাপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনের জাতীয় কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী দেখতে চাই এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী যেসব রাজনৈতিক পক্ষ সংলাপ এবং আলোচনার মাধ্যমে ঐক্য স্থাপন করতে চায়, তাদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে কূটনৈতিক কর্মকর্তা ওয়াং কেজিয়ান হামাসের প্রেসিডেন্ট ইসমাঈল হানিয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সে সময় বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এই শান্তি সংলাপের প্রস্তাব দেন ওয়াং কেজিয়ান এবং হানিয়েও তাতে সম্মতি দেন।

শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে ওয়াং ওয়েনবিন জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনের প্রতিপক্ষ দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্য স্থাপনই সংলাপের মূল উদ্দেশ্য।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে মধ্যপ্রাচ্যে গভীর প্রভাব বিস্তারকারী চীনের এ বিষয়ে অতীত সাফল্যের রেকর্ড রয়েছে। ২০২৩ সালে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে শান্তি স্থাপনে নেতৃত্ব দিয়েছিল বেইজিং। মধ্যপ্রাচ্যের এ দুই নেতৃস্থানীয় দেশের মধ্যে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বৈরিতা চলছিল।

;