ভারতের মুসলিম প্রধান অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপের হালচাল



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
লাক্ষাদ্বীপ দেখতে অনেকেটা ছবির মতো সাজানো, ছবি: সংগৃহীত

লাক্ষাদ্বীপ দেখতে অনেকেটা ছবির মতো সাজানো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে শনাক্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা যখন ২৩ লাখ ছুঁই ছুঁই করছে, তখন দেশটির একমাত্র যে অঞ্চল এই মরণঘাতী ভাইরাসের হানা থেকে বাঁচতে পেরেছে- সেটি হলো লাক্ষাদ্বীপ।

মূলত দ্বীপটিতে বহিরাগতদের প্রবেশ আটকে তাদের এই সাফল্য। এ ছাড়া পুলিশ সেখানে কারফিউ খুব কঠোরভাবে বলবৎ করে, লোকজন অযথা বাড়ির বাইরে বেরোয়নি।

ভারতের আরব সাগরের দ্বীপপুঞ্জ লাক্ষাদ্বীপ দেখতে অনেকেটা ছবির মতো সাজানো। বাসিন্দাদের অধিকাংশই মুসলিম। একমাত্র এমপি তিনিও মুসলিম। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে লাক্ষাদ্বীপ থেকে জয় পেয়েছেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) মোহাম্মদ ফয়জল। এখানে বিজেপিসহ প্রায় সবদলই তাদের প্রার্থী দেয় মুসলিম সম্প্রদায় থেকে।

৩৬টি দ্বীপকে নিয়ে গঠিত আরব সাগরের এই দ্বীপপুঞ্জটি ভারতের একটি মুসলিম অধ্যুষিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। যা ভারতের মূল ভূ-খণ্ড থেকে ২০০ থেকে ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে লাক্ষা সাগরের মালাবার উপকূলে অবস্থিত।

জুমা মসজিদ, লাক্ষাদ্বীপ, ভারত, ছবি: সংগৃহীত

৩২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দ্বীপটি ভারতের সবচেয়ে ছোট কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। লাক্ষাদ্বীপের রাজধানীর নাম কাভারাট্টি। সমগ্র অঞ্চলটি একটি জেলা ও ১০টি মহকুমায় বিভক্ত।

সপ্তম শতকে এই অঞ্চলে মুসলমানদের আগমন ঘটে এবং এখানে ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে লাক্ষাদ্বীপের দশটি দ্বীপে মানুষ বসবাস করেন। লাক্ষাদ্বীপের মোট ৯৬ দশমিক ২ শতাংশ মুসলিম। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে অঞ্চলটির জনসংখ্যা ৬৫ হাজারের মতো, তবে এখন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজারে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। এছাড়া হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ ধর্মাবলম্বীদের বাসও রয়েছে।

ভারতীয় মূল-ভূখন্ডের কোচি থেকে প্রতিদিনই এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট যাতায়াত করে। লাক্ষাদ্বীপের একটমাত্র এয়ারপোর্টের নাম আগাট্টি। এটি একটি দ্বীপেরও নাম। এ ছাড়া কয়েকটি জাহাজ বিভিন্ন দ্বীপে চলাচল করে।

লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের মূল আকর্ষণ নীল জলরাশি, প্রবাল প্রাচীর, সমুদ্রের নীচের প্রবাল আর প্রবালের মাঝে থাকা সামুদ্রিক জীব।

লাক্ষাদ্বীপ ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের অধীনে আসে এবং এটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলরূপে গড়ে ওঠে।

কৃষি কাজ, মাছ ধরা ও নারকেলের চাষ এখানকার অধিবাসীদের জীবিকা অর্জনের প্রধান মাধ্যম। তাছাড়া নারকেল সম্পর্কিত অনেক শিল্প এখানে গড়ে উঠেছে। পর্যটন শিল্পও তাদের আর্থিক উপার্জনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে।

লাক্ষাদ্বীপে বেশ গুরুত্ব দিয়ে রমজান, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করা হয়। এখানকার মানুষ অতি সহজ ও সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। মুসলিমরা দ্বীপটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও অন্যদের সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করেন এবং দ্বীপের উন্নতির জন্য একযোগে কাজ করেন।

মালায়লাম স্থানীয় ভাষা হিসাবে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। তবে এখন ইংরেজি ও হিন্দির প্রচলন ঘটছে। দ্বীপটিতে স্বাক্ষরতার হার ৯২.২৮ শতাংশ। সেখানকার পাঠ্যক্রমে কেরালা রাজ্যকে অনুসরণ করা হয়। শিক্ষার ক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে।

উজরা মসজিদ, লাক্ষাদ্বীপ, ভারত, ছবি: সংগৃহীত

লাক্ষাদ্বীপে বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় মসজিদ রয়েছে। তন্মধ্যে উজরা, জুমা মসজিদ, উবায়দুল্লাহ মসজিদ, আগাট্টি মসজিদ বেশি প্রসিদ্ধ। শুধু রাজধানী কাভারাট্টিতে ৫২টি মসজিদ রয়েছে। জনসংখ্যা অনুপাতে পৃথিবীর আর কোথাও এত বেশি মসজিদ আছে কিনা জানা নেই।

উজরা মসজিদ চত্বরে একটি কূপ রয়েছে। স্থানীয়দের বিশ্বাস এর পানি পানে বিভিন্ন রোগের নিরাময় ঘটে। উজরা মসজিদের দেয়ালে প্রাচীন রীতিতে করা আরবি ক্যালিগ্রাফির কারুকাজ দেখতে পর্যটকরা ভিড় করেন।

লাক্ষাদ্বীপের মসজিদে উবায়দুল্লাহও বেশ প্রসিদ্ধ। এখানে একজন ধর্ম প্রচারকের কবর রয়েছে। তার নামেই মসজিদটি প্রসিদ্ধ। তিনি দ্বীপটিতে প্রথম ইসলামের দাওয়াত নিয়ে আসেন।

কোরবানির ঈদে লাক্ষাদ্বীপের মুসলমানরা বকরি জবাই করে গোশত বিলি-বন্টন করেন। ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন। মসজিদ সংলগ্ন মাদরাসাগুলোতে কোরআন শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। লাক্ষাদ্বীপে রয়েছে দেওবন্দের সিলেবাস অনুসরণে পরিচালিত কয়েকটি মাদরাসাও। নারীরা হিজাব পরিধান করে ঘর-সংসারের কাজ সামাল দেন। মাতৃতান্ত্রিক সমাজ না হওয়া সত্ত্বেও অনেকে লাক্ষাদ্বীপকে নারীর রাজ্য বলে অভিহিত করেন। কারণ, সংসার দেখাশোনা থেকে শুরু করে সবকিছু নারীকেই করতে হয়। পুরুষরা কৃষিকাজ ও মাছ ধরাসহ নানা কাজে বাইরেই বেশি থাকেন।

১৮ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেন। শেষ রাতে প্রথম সেহরি খাওয়া হবে।

এই হিসেবে আগামী ১৮ এপ্রিল (২৬ রমজান) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মুসলমানদের জন্য রমজান মাস রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা বয়ে আনে। সংযমের এ মাসে মুসলিমরা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

;

রোজার পুরস্কার মিলবে যেসব আমলে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র মাহে রমজানে কোনোভাবেই আল্লাহতায়ালার অসন্তুষ্টিমূলক কোনো কাজে লিপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সর্বোপরি মাহে রমজান ও রোজা মহান মালিককে সন্তুষ্ট করার সুবর্ণ অবসর। এ জন্য আমাদের মাহে রমজান ও রোজা হওয়া চাই হারাম, কবিরা গোনাহ ও নাফরমানি মুক্ত। মিথ্যা, প্রতারণা, অন্যায়, অত্যাচার, পাপাচার, সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত হওয়া। তবেই আমরা রমজান ও রোজার পূর্ণাঙ্গ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারব।

আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার, মুত্তাকি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। এ লক্ষে রমজান মাসে কিছু বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার। এর অন্যতম হলো-

সময়ের অপচয়রোধ

জীবন সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টার সমষ্টি। এই ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র সময়ই আমার জীবন। জীবনের একটি মুহূর্ত বেখেয়াল, অবহেলায় কাটিয়ে দেওয়া মানে এই সময়টা নষ্ট করে ফেলা। সে আর কখনও ফেরত আসবে না। এক একটি মুহূর্ত জীবনে একবারই আসে। প্রত্যেকটি দিন আগমন করে আমাকে আহবান করে তাকে ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য। সে এও বলে দেয়, হিসাবের দিনেই কেবল সে আবার আমার সামনে হাজির হবে। যে ব্যক্তি সময়ের সদ্ব্যবহার করে, দুনিয়ার জীবনে সে সফলতা পায়। আমার রমজান ৩০ দিনের হলে ২৫,৯২,০০০ সেকেন্ডের সমষ্টি। রমজানের চাঁদ উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করে। আমার কাছে রমজানের প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। আমি, আপনি যদি হিসাব করে এই সেকেন্ডগুলো কাজে লাগাতে পারি, তবে আমি আপনি অবশ্যই সফল হতে পারব। একজন পরীক্ষার্থী যেমন প্রত্যেকটি সেকেন্ডের হিসাব রেখে উত্তর লিখতে থাকে। তেমনি আমার আপনারও এই মূল্যবান সময়ের যথাযথ কদর করে রোজা পালন করলে, এই বছরের রমজান আমার আপনার জীবনে এক ব্যতিক্রম রমজান মনে হবে এবং এক ব্যতিক্রম ফল বয়ে আনবে। তাই গল্পগুজব, আড্ডা, টিভি দেখা, ফেসবুক অনলাইনে সময় ব্যয়, অবসরে শুধু ঘুমানো, এখানে সেখানে ঘুরাফেরা করা ইত্যাদি কাজগুলো বর্জন করি। তবে আমার রমজান হবে প্রাণবন্ত।

কথা হোক কম

যখন আপনি আমি কথা কম বলব, তখন অনেক অনর্থক এমন কি ফাহেশা কথা থেকে বেঁচে যাব। জীবনের অনেক সময়ও বেঁচে যাবে। বেশি কথা বললে, গীবত, পরনিন্দা, মিথ্যা এ ধরণের অনেক কথা মুখ ফঁসকে বেরিয়ে যেতে পারে। যে সময় আমি অযথা গল্প কথায় লিপ্ত হব, এই সময়টাকে আমি কোরআন তেলাওয়াত, তাফসির অধ্যয়ন, হাদিস পাঠ, বিভিন্ন মাসনুন দোয়া, ইস্তেগফার, দরুদ শরিফ পাঠ, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো বিভিন্ন জিকিরে মশগুল হতে পারি। অনায়াসে অনেক বরকতের ভাগিদার হতে পারি।

কাজে গতিময়তা

কাজ ছাড়া জীবন অচল, আমরা কেউ চাকুরি করি, কেউ ব্যবসা, কেউ কৃষিকাজ ইত্যাদি। এই রমজানে আমার কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। কাজের গতি বাড়িয়ে দেই। কাজের গতি বাড়িয়ে কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। এই বেঁচে যাওয়া সময়টিকে আমি ইবাদত-বন্দেগি, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ, ইস্তেগফার পাঠে ব্যয় করি। তাহলে দেখা যাবে কাজের এই গতিময়তা পুরো বছর আমাকে বরকত দেবে। আমার অনেক সময় হাতে থাকবে, বিশেষভাবে মাওলাকে ডাকার জন্য আমার সময়ের অভাব হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া বর্জন

রমজান মাস আমার জন্য আমার মহান রবের এক মহান উপহার। এই মাস সওয়াব কামাইয়ের মাস। এই মাস সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকার মাস নয়। আপনার বিশেষ কোনো প্রয়োজনে আপনি নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, ইউটিউভ ইত্যাদি মাধ্যমগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। আপনি হয়তো ভালো কিছু দেখতে চান, ভালো কিছু শুনতে চান। এই ভালো দেখার সঙ্গে, ভালো শোনার সঙ্গে কিছু খারাপও আপনার নজরে এসে যাবে। এই সময় আমি আপনি নেটওয়ার্কহীন অন্য ইবাদতে মশগুল হই। যার নেটওয়ার্ক আমার আর আমার রবের সঙ্গে সংযোগ করে দেবে- ইনশাআল্লাহ।

;

শুক্রবার থেকে রোজা শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ কথা জানায়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে রমজান মাস গণনা। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দেশের মসজিদগুলোতে বাদ এশা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র রমজানের কার্যক্রম শুরু করবেন। এরপর ওই দিন দিবাগত ভোররাতে সাহ্‌রি খেয়ে প্রথম রোজা রাখতে হবে।

;

রোজা শুরু কবে, জানা যাবে সন্ধ্যায়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে পবিত্র রমজান মাস কবে থেকে শুরু হবে এবং কোন রাতে খেতে হবে সেহেরি- তা জানা যাবে আজ সন্ধ্যায়।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পর্যালোচনা করে রোজা শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি মো. ফরিদুল হক খান ওই সভায় সভাপতিত্ব করবেন বলে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বুধবার বাংলাদেশের আকাশে কোথাও নতুন চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ নম্বরে ফোন করে কিংবা ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে জানাতে অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চাঁদ দেখার তথ্য জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

বুধবার চাঁদ দেখা গেলে বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে। মুসলমানরা বুধবার রাতে তারাবি নামাজ পড়ে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখবেন।

আর বুধবার চাঁদ দেখা না গেলে বৃহস্পতিবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। রমজান মাস গণনা শুরু হবে শুক্রবার থেকে এবং বৃহস্পতিবার রাতে হবে প্রথম তারাবি, শেষ রাতে সেহেরি খেতে হবে।

;