মুসলিম ঐতিহ্যের দেশ মালি



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মালির মেয়েরা সকালের মক্তবে পড়তে যাচ্ছে, ছবি: সংগৃহীত

মালির মেয়েরা সকালের মক্তবে পড়তে যাচ্ছে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবারও আলোচনায় পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি। দেশটিতে সামরিক বাহিনীর একটি অংশের হাতে আটক হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম বোউবাকার কেইতা পদত্যাগ করেছেন। এ কারণে গণমাধ্যমে মালি। মূলতঃ যুদ্ধ, বিদ্রোহ, দাঙ্গা, সন্ত্রাসী হামলা ও অভিযান ছাড়া মালি সাম্প্রদিক সময়ে আলোচনায় আসেনি। দরিদ্র দেশ বলে কথা। তবে, মালি এখন দরিদ্র দেশ হলেও একসময় ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ও স্বচ্ছল দেশ। সেই ইতিহাস অনেকটা গল্পের মতো।

১৪ শতাব্দীতে ইউরোপে যখন দুর্ভিক্ষ আর খাদ্যাভাবে লাখ লাখ মানুষ মারা যায়, তখন খাবারের অভাব কী মালির লোকজন তা জানত না। আর ইতিহাসে গত এক হাজার বছরের মধ্যে সবচেয়ে ধনবান যে ব্যক্তিটির নাম রয়েছে, তিনি মালির মুসলিম রাজা ‘মানসা মুসা।’ মানসা মুসার ইতিহাস পরে বলছি, এর আগে মালির এখনকার অবস্থার সূচনা নিয়ে একটু আলোচনা করে নেই।

উপনিবেশ এর জন্য দায়ী। উপনিবেশ কী? যখন কোনো দেশ অপর একটি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্ষমতা করায়ত্ত করে অর্থাৎ তার অর্থনৈতিক ক্ষমতা দখল করে, সেই আক্রান্ত দেশকে উপনিবেশ বলে। একদা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপনিবেশিক শক্তি ছিলো ফ্রান্স। ১৯০৪ সালে ফরাসি সেনারা মালি দখল করে নেয়।

মালির পদত্যাগী প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম বোউবাকার কেইতা, ছবি: সংগৃহীত

পরে ১৯৬০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ফরাসি উপনিবেশের কবল থেকে স্বাধীনতা লাভ করে মালি। এরপরও ফ্রান্স মালির আর্থ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রভাব বজায় রাখে। বিশেষ করে ইউরেনিয়াম ও স্বর্ণসহ অন্যান্য খনিজ সম্পদের ভাণ্ডারের সবই যায় ফ্রান্সের গোলায়। ‘স্বাধীনতা’ লাভের পরও নানা চুক্তির আওতায় মোট জাতীয় সম্পদের ৮৫ ভাগ যায় প্যারিসে আর ১৫ ভাগ থাকে মালির জনগণের জন্য। যদি কেউ বিদ্রোহ করে? তবে মালির টাকায় পোষা ফ্রান্সের সেনাবাহিনী চলে আসে ‘কথিত সন্ত্রাসবাদ দমন’ করতে! এই হলো- রাজনীতি আর উপনিবেশবাদের ফলাফল। আর মালির দরিদ্র হওয়ার কারণ।

এবার মানসা মুসার কথা বলা যাক। একাধিক সূত্রমতে তিনি ছিলেন হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় মোয়াজ্জিন কৃষ্ণকায় সাহাবি হজরত বিলাল রাযিয়াল্লাহু আনহুর বংশধর। মালির রাজা আবু বকর আমেরিকা আবিষ্কারের মিশনে গিয়ে আর ফিরে না আসলে সিংহাসনে বসেন তার ভাই মানসা মুসা।

স্থানীয় ভাষায় ‘মানসা’ অর্থ আমির বা রাজা। মালির অন্য রাজাদের থেকে মানসা মুসা একটু আলাদা। ইসলামের প্রতি তার ভালোবাসা ও একনিষ্ঠতা তাকে এই বৈশিষ্ট্য দিয়েছে। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করতেন। ভালো আরবি জানতেন ও নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করতেন। আল্লাহর দেওয়া তার বিশাল ধনভাণ্ডার তিনি খরচ করেছিলেন আফ্রিকার বুকে ইসলাম প্রচার ও প্রতিষ্ঠার জন্য। দান-খয়রাতের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন কিংবদন্তী। তিনি পশ্চিম আফ্রিকায় প্রচুর মাসজিদ নির্মাণ করেন, এসব মসজিদের অনেকগুলো ৭০০ বছর পরও টিকে আছে। দ্বীনি ইলম শিক্ষার জন্য সাম্রাজ্যজুড়ে অসংখ্য মাদরাসা তার পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত হয়।

নামাজ পড়ছেন মুসলমানরা, ছবি: সংগৃহীত

টিম্বাকতুর সাংকোরে মাদরাসাকে তিনি পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করেন। সেখানে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর পড়ালেখার সুব্যবস্থা ছিল। বিশ্বের নামিদামি শিক্ষকেরা সেখানে ক্লাস নিতেন। সেখানে ছিল আলেকজান্দ্রিয়ার পর বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লাইব্রেরি।

১৩২৪ সালে তিনি হজযাত্রা করেন বিশাল বহর নিয়ে। সে সময় ইউরোপ প্রথমবারের মতো মানচিত্রে মালির নাম যোগ করে। বলা হয়, ১২ হাজার দাসসহ প্রায় ৬০ হাজার মানুষের কাফেলা নিয়ে হজযাত্রা করেন তিনি। যাত্রাপথে গরীব মুসলমানদের প্রচুর স্বর্ণ দান-খয়রাতের পাশাপাশি অনেক মসজিদ নির্মাণ করেন। ডানে-বামে তার স্বর্ণ বিতরণের ফলে মিসর ও হেজাযে স্বর্ণ মুদ্রার মান পড়ে যায়। হজ থেকে ফেরার সময় মিসর পৌঁছে দেখেন, বেশি খরচ করার কারণে দেশে ফেরা মুশকিল। শেষ পর্যন্ত মিসর থেকে অর্থ ধার করে তাকে দেশে ফিরতে হয়।

মালির রাজধানীর নাম বামাকো। ১৯৬০ সালে মালি স্বাধীনতা লাভ করে। ১২ লাখ ৪০ হাজার ১৯২ বর্গকিলোমিটার দেশের জনসংখ্যা প্রায় দুই কোটি। মালির অধিকাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী।

১৯৬০ সালে স্বাধীন হলেও দেশটি স্বৈরশাসনের কবলে পড়ে ফ্রান্সের ইন্ধনে। ১৯৯১ সালে মালি স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত হয় সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত হয় গণতান্ত্রিক নির্বাচন। ২০১১ সালে থেকে দেশটিতে জাতিগত বিদ্রোহ দেখা দেয়। পরে নানা ঘটনা পরিক্রমা শেষে ২০১২ সালের ২২ মার্চ সামরিক শাসন জারি করা হয়। পরিস্থিতি তাতেও শান্ত হয়নি। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির দরুণ মালি সরকার ফ্রান্স সেনাবাহিনীর সাহায্য চায়, জাতিসংঘ হস্তক্ষেপ করে। বাংলাদেশ থেকেও ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে মালিতে প্রথম শান্তিরক্ষী পাঠানো হয়।

২০১৩ সালের জুলাই মাসে রাষ্ট্রপতি ও নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পদত্যাগী প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম কেইতা নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে তিনি দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হলে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। আপাতত সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে তিনিও পদত্যাগ করলেন। তবে এর সমাপ্তি কোথায় গিয়ে হবে, এই মুহূর্তে বলা মুশকিল।

মালির একটি বাজারে নারীরা, ছবি: সংগৃহীত

মালি মুসলিম ঐতিহ্যের দেশ। এর প্রতিটা শহরেই রয়েছে নান্দনিক মসজিদ। সব মসজিদেরই রয়েছে ঐতিহাসিক গৌরবময় অধ্যায়। যেমন মালির ডিজেনি শহরে ১২০০ থেকে ১৩০০ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে তৈরি হয়েছিল বড় মসজিদ নামে পরিচিত মাটির মসজিদটি। এটি আফ্রিকার অন্যতম নির্দশন। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় থাকা এই শহরের মসজিদগুলো বেশ জনপ্রিয়। ইট-কাদার তৈরি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদ এটি।

মালিতে প্রতি চারজনে তিনজন বাস করেন দরিদ্রসীমার নীচে। গড়ে প্রতি চারজনে তিনজন অশিক্ষিত। আয়তনে বাংলাদেশের আটগুণ হলেও মালিতে বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র একটি। কয়েকশ বছর আগে মুসলিম শাসনের সময় ছিল কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়।

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, সবচেয়ে ধনী থেকে সবচেয়ে দরিদ্র এলাকায় পরিণত হলো কেন? উত্তরটা আগেই দিয়েছি। ফরাসি সাম্রাজ্যবাদীরা এ জন্য দায়ী।

তবে আফ্রিকায় ইসলামের প্রচার-প্রসারে মালির গুরত্ব ও অবদান অপরিসীম। এখন দরিদ্র হলেও এর ইতিহাস হারিয়ে যায়নি। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিমদের জীবনে এই ইতিহাস এখনও জিইয়ে আছে এবং বিশ্বে মালি যে ঐতিহ্য সৃষ্টি করেছে তা আজও অব্যাহত।

ফের বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।

সোমবার (২৭ মার্চ) নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৩৯ জন। কোটা পূরণে এখনো নিবন্ধন বাকি রয়েছে ৯ হাজার ৮৫৯। এর মধ্যে সরকারিতে ফাঁকা ৫ হাজার ১০৮, বেসরকারিতে ৪ হাজার ৭৫১।

হজ অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে কতজন হজ করতে যাবেন তা সৌদি সরকারকে জানানোর শেষ তারিখ আগামী ৯ মে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার হজের খরচ বেশি হওয়ায় শুরু থেকেই নিবন্ধনে ভাটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু তারা তো কাউকে ডেকে এনে নিবন্ধন করাতে পারেন না।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

;

১৮ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেন। শেষ রাতে প্রথম সেহরি খাওয়া হবে।

এই হিসেবে আগামী ১৮ এপ্রিল (২৬ রমজান) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মুসলমানদের জন্য রমজান মাস রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা বয়ে আনে। সংযমের এ মাসে মুসলিমরা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

;

রোজার পুরস্কার মিলবে যেসব আমলে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র মাহে রমজানে কোনোভাবেই আল্লাহতায়ালার অসন্তুষ্টিমূলক কোনো কাজে লিপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সর্বোপরি মাহে রমজান ও রোজা মহান মালিককে সন্তুষ্ট করার সুবর্ণ অবসর। এ জন্য আমাদের মাহে রমজান ও রোজা হওয়া চাই হারাম, কবিরা গোনাহ ও নাফরমানি মুক্ত। মিথ্যা, প্রতারণা, অন্যায়, অত্যাচার, পাপাচার, সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত হওয়া। তবেই আমরা রমজান ও রোজার পূর্ণাঙ্গ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারব।

আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার, মুত্তাকি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। এ লক্ষে রমজান মাসে কিছু বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার। এর অন্যতম হলো-

সময়ের অপচয়রোধ

জীবন সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টার সমষ্টি। এই ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র সময়ই আমার জীবন। জীবনের একটি মুহূর্ত বেখেয়াল, অবহেলায় কাটিয়ে দেওয়া মানে এই সময়টা নষ্ট করে ফেলা। সে আর কখনও ফেরত আসবে না। এক একটি মুহূর্ত জীবনে একবারই আসে। প্রত্যেকটি দিন আগমন করে আমাকে আহবান করে তাকে ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য। সে এও বলে দেয়, হিসাবের দিনেই কেবল সে আবার আমার সামনে হাজির হবে। যে ব্যক্তি সময়ের সদ্ব্যবহার করে, দুনিয়ার জীবনে সে সফলতা পায়। আমার রমজান ৩০ দিনের হলে ২৫,৯২,০০০ সেকেন্ডের সমষ্টি। রমজানের চাঁদ উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করে। আমার কাছে রমজানের প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। আমি, আপনি যদি হিসাব করে এই সেকেন্ডগুলো কাজে লাগাতে পারি, তবে আমি আপনি অবশ্যই সফল হতে পারব। একজন পরীক্ষার্থী যেমন প্রত্যেকটি সেকেন্ডের হিসাব রেখে উত্তর লিখতে থাকে। তেমনি আমার আপনারও এই মূল্যবান সময়ের যথাযথ কদর করে রোজা পালন করলে, এই বছরের রমজান আমার আপনার জীবনে এক ব্যতিক্রম রমজান মনে হবে এবং এক ব্যতিক্রম ফল বয়ে আনবে। তাই গল্পগুজব, আড্ডা, টিভি দেখা, ফেসবুক অনলাইনে সময় ব্যয়, অবসরে শুধু ঘুমানো, এখানে সেখানে ঘুরাফেরা করা ইত্যাদি কাজগুলো বর্জন করি। তবে আমার রমজান হবে প্রাণবন্ত।

কথা হোক কম

যখন আপনি আমি কথা কম বলব, তখন অনেক অনর্থক এমন কি ফাহেশা কথা থেকে বেঁচে যাব। জীবনের অনেক সময়ও বেঁচে যাবে। বেশি কথা বললে, গীবত, পরনিন্দা, মিথ্যা এ ধরণের অনেক কথা মুখ ফঁসকে বেরিয়ে যেতে পারে। যে সময় আমি অযথা গল্প কথায় লিপ্ত হব, এই সময়টাকে আমি কোরআন তেলাওয়াত, তাফসির অধ্যয়ন, হাদিস পাঠ, বিভিন্ন মাসনুন দোয়া, ইস্তেগফার, দরুদ শরিফ পাঠ, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো বিভিন্ন জিকিরে মশগুল হতে পারি। অনায়াসে অনেক বরকতের ভাগিদার হতে পারি।

কাজে গতিময়তা

কাজ ছাড়া জীবন অচল, আমরা কেউ চাকুরি করি, কেউ ব্যবসা, কেউ কৃষিকাজ ইত্যাদি। এই রমজানে আমার কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। কাজের গতি বাড়িয়ে দেই। কাজের গতি বাড়িয়ে কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। এই বেঁচে যাওয়া সময়টিকে আমি ইবাদত-বন্দেগি, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ, ইস্তেগফার পাঠে ব্যয় করি। তাহলে দেখা যাবে কাজের এই গতিময়তা পুরো বছর আমাকে বরকত দেবে। আমার অনেক সময় হাতে থাকবে, বিশেষভাবে মাওলাকে ডাকার জন্য আমার সময়ের অভাব হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া বর্জন

রমজান মাস আমার জন্য আমার মহান রবের এক মহান উপহার। এই মাস সওয়াব কামাইয়ের মাস। এই মাস সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকার মাস নয়। আপনার বিশেষ কোনো প্রয়োজনে আপনি নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, ইউটিউভ ইত্যাদি মাধ্যমগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। আপনি হয়তো ভালো কিছু দেখতে চান, ভালো কিছু শুনতে চান। এই ভালো দেখার সঙ্গে, ভালো শোনার সঙ্গে কিছু খারাপও আপনার নজরে এসে যাবে। এই সময় আমি আপনি নেটওয়ার্কহীন অন্য ইবাদতে মশগুল হই। যার নেটওয়ার্ক আমার আর আমার রবের সঙ্গে সংযোগ করে দেবে- ইনশাআল্লাহ।

;

শুক্রবার থেকে রোজা শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ কথা জানায়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে রমজান মাস গণনা। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দেশের মসজিদগুলোতে বাদ এশা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র রমজানের কার্যক্রম শুরু করবেন। এরপর ওই দিন দিবাগত ভোররাতে সাহ্‌রি খেয়ে প্রথম রোজা রাখতে হবে।

;