আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ কাজাখস্তান



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় হজরত সুলতান মসজিদ, ছবি: সংগৃহীত

কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় হজরত সুলতান মসজিদ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি কাজাখস্তানের রাজধানী নুর সুলতানে প্রথম পরিবেশবান্ধব সৌর মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে। সৌরশক্তির মাধ্যমে এই মসজিদের বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। মসজিদটি নির্মাণের আগে স্থানীয় কর্মকর্তারা বিদ্যুৎ বিলের ব্যয় হ্রাস করার জন্য মসজিদে সৌর প্যানেল ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন।

পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এই মসজিদের খবরটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর দেশটিতে প্রতিবছর প্রচুর মসজিদ নির্মাণ করা হলেও পুরোপুরি সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।

কাজাখস্তানে ২০১৯ সালে ৮০টি মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে। সোভিয়েত শাসনের সময় ঐতিহ্যবাহী মুসলিম দেশটির ধর্মীয় কার্যক্রমের ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং হাজার হাজার মসজিদ-মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়া ঞয়।

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরও দেশের শাসনব্যবস্থায় ধর্মবিরোধী ছাপ থেকে গেছে। তবে আশার কথা হলো, দেশটিতে ধর্মীয় অনুরাগ বাড়ছে দিন দিন। বর্তমানে দেশটির ৭০ শতাংশ জনগণ মুসলিম এবং তাদের বেশিরভাগ তুর্কি বংশোদ্ভূত।

প্রচণ্ড বরফ উপেক্ষা করে নামাজ আদায় করছেন কাজাখস্তানের মুসলমানরা, ছবি: সংগৃহীত

কাজাখস্তানের মুসলিম জনসাধারণের উদ্যোগ ও অর্থায়নে মসজিদগুলো নির্মিত হয়। তবে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। সরকারি হিসাবমতে, কাজাখস্তানে বর্তমানে দুই হাজার ৬৯১টি মসজিদ রয়েছে। আরও শতাধিক মসজিদ নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।

ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের ওপর সরকারি বিধিনিষেধ থাকায় কাজাখস্তানে মুসলিম সমাজের বেশিরভাগ কার্যক্রম মসজিদকেন্দ্রিক। মসজিদ থেকেই ধর্মীয় সচেতনতা বৃদ্ধি, ইসলামি সংস্কৃতির প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। তা ছাড়া বড় বড় মসজিদের সঙ্গে কোরআন মুখস্থ করার জন্য হেফজখানা ও উচ্চতর ইসলামি গবেষণাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার রেওয়াজ রয়েছে।

বিশুদ্ধ কোরআনচর্চার জন্য কাজাখস্তানের প্রসিদ্ধি রয়েছে। কয়েক বছর আগে শায়খুল ইসলাম আল্লামা তাকি উসমানি ধর্মীয় এক সফরে কাজাখস্তান গিয়েছিলেন। সেখানে ধর্মীয় কয়েকটি কনফারেন্সে তিনি অংশগ্রহণ করেন। সেই সফরের বৃত্তান্ত তিনি ‘সফর দর সফর’ নামক তার (তৃতীয়) ভ্রমণকাহিনিতে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।

ওই ভ্রমণকাহিনিতে তিনি লিখেন, সেখানকার (কাজাখস্তানের) কিছু উদ্যমী যুবকের মুখে আমি বিশুদ্ধ আরবি শুনে অবাক হয়েছি। জিজ্ঞেস করলে জানতে পারলাম তারা হাফেজে কোরআনও। অথচ বয়সের দিকে তাকালে বোঝা যায় যে, সোভিয়েত ইউনিয়নের শাসনকালেই তাদের বেড়ে ওঠা। কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, যেখানে দীর্ঘকাল কোরআনের কপি ঘরে রাখা অপরাধ ছিল, সেখানে আপনারা কীভাবে কোরআন হেফজ করলেন আর কেমন করেই বিশুদ্ধ আরবি শিখতে পারলেন? প্রশ্ন শুনে তাদের চোখগুলো থেকে অশ্রু ঝরতে লাগল।

তারা শোনালেন, তাদের পূর্বপুরুষ আলেমরা কীভাবে জান-মাল বিসর্জন দিয়ে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সন্তানদের এবং নতুন প্রজন্মকে ঘরে ঘরে গিয়ে গোপনে মাটির নিচে কোরআন শেখাতেন। শুধু তেলাওয়াতই নয়, আরবি ভাষা, ধর্মীয় জ্ঞান-বিজ্ঞান সবকিছুর তারা শিক্ষা প্রদান করতেন। বস্তুত তাদের ওই ত্যাগ-তিতিক্ষার বদৌলতে কাজাখস্তান স্বাধীনতা লাভের পর দ্বীনি শিক্ষার লোকের অভাব দেখা দেয়নি। আর তাদের হাতেগড়া তরুণরাই আজকের কাজাখস্তানে ধর্মীয় ক্ষেত্রে মুসলমানদের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে।

কাজাখস্তানে নারীদের কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার আয়োজন ঐতিহ্যের অংশ। কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় শহর আলমাতির কেন্দ্রীয় মসজিদের সহযোগিতায় আলমাতি ও পাভলদার শহরে প্রতিবছর এ জাতীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

কিছুদিন আগে কাজাখস্তানে যাত্রা শুরু করেছে ‘মিউজিয়াম অব ইসলামিক কালচার।’ এতে ওই অঞ্চলের প্রাচীন অনেক নিদর্শন স্থান পেয়েছে। বিশেষত কাজাখ মুসলিমদের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে।

কাজাখস্তানের এই মসজিদে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হবে, ছবি: সংগৃহীত

কাজাখস্তানের বড় বড় শহরগুলোতে মুসলমানদের ধর্মীয় বিষয়াদী দেখভাল করতে ইমাম রয়েছেন। তিনি প্রধান ইমাম নামে পরিচিত। তাকে ‘ইমামে শহর’ বলা হয়। দেশটির বেশিরভাগ মানুষ ধর্মভীরু ও নামাজী। আর রোজাদারের পরিমাণ আরও বেশি। কাজাখস্তানের মুসলমানদের দৈনিক সাড়ে ১৮ ঘণ্টা রোজা রাখতে হয়। তারা গম থেকে তৈরি বিভিন্ন প্রকারের খাবার বেশি খায়।

২৭ লাখ ২৪ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশটিতে প্রায় ২ কোটি মানুষের বসবাস। আয়তনের দিক দিয়ে এটি বিশ্বের ৯ম বৃহত্তম দেশ। অষ্টম শতাব্দীতে আরবদের আগমনের ফলে এই অঞ্চলে ইসলামের প্রসার ঘটে। সোভিয়েত আমলে ধর্ম খুব বেশি গুরুত্ব না পেলেও এখন দেশটির প্রধান ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ মুসলিম। বাকী ৩০ ভাগ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।

নুর সুলতান কাজাখস্তানের রাজধানী। কিছুদিন আগেও এই শহরটির নাম ছিল আস্তানা। দেশের প্রথম প্রেসিডেন্টের সম্মানে রাজধানী আস্তানার নাম পরিবর্তন করে নুর সুলতান রাখা হয়।

আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ কাজাখস্তান। আর জনসংখ্যায় পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া।

কাজাখস্তানের মুসলমানরা ধর্মকর্ম পালন করেন বেশ ঘটা করে। ধর্ম শুধু পরিচয়ের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয় বরং ধর্মের প্রভাব দারুণভাবে উপস্থিত। দেশটির গ্র্যান্ড মুফতির নাম আবদুস সাত্তার দারবিসিল।

দেশের উল্লেখযোগ্য মসজিগুলোর অন্যতম হলো- হজরত সুলতান মসজিদ। মসজিদটি রাজধানী নুর সুলতানে (আস্তানা) অবস্থিত। এটি কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় এবং মধ্য এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ। এই মসজিদে একসঙ্গে ৫০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।

ফের বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।

সোমবার (২৭ মার্চ) নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৩৯ জন। কোটা পূরণে এখনো নিবন্ধন বাকি রয়েছে ৯ হাজার ৮৫৯। এর মধ্যে সরকারিতে ফাঁকা ৫ হাজার ১০৮, বেসরকারিতে ৪ হাজার ৭৫১।

হজ অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে কতজন হজ করতে যাবেন তা সৌদি সরকারকে জানানোর শেষ তারিখ আগামী ৯ মে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার হজের খরচ বেশি হওয়ায় শুরু থেকেই নিবন্ধনে ভাটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু তারা তো কাউকে ডেকে এনে নিবন্ধন করাতে পারেন না।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

;

১৮ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেন। শেষ রাতে প্রথম সেহরি খাওয়া হবে।

এই হিসেবে আগামী ১৮ এপ্রিল (২৬ রমজান) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মুসলমানদের জন্য রমজান মাস রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের বার্তা বয়ে আনে। সংযমের এ মাসে মুসলিমরা আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

;

রোজার পুরস্কার মিলবে যেসব আমলে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র মাহে রমজানে কোনোভাবেই আল্লাহতায়ালার অসন্তুষ্টিমূলক কোনো কাজে লিপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সর্বোপরি মাহে রমজান ও রোজা মহান মালিককে সন্তুষ্ট করার সুবর্ণ অবসর। এ জন্য আমাদের মাহে রমজান ও রোজা হওয়া চাই হারাম, কবিরা গোনাহ ও নাফরমানি মুক্ত। মিথ্যা, প্রতারণা, অন্যায়, অত্যাচার, পাপাচার, সুদ, ঘুষ ও দুর্নীতি মুক্ত হওয়া। তবেই আমরা রমজান ও রোজার পূর্ণাঙ্গ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারব।

আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার, মুত্তাকি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। এ লক্ষে রমজান মাসে কিছু বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার। এর অন্যতম হলো-

সময়ের অপচয়রোধ

জীবন সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টার সমষ্টি। এই ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র সময়ই আমার জীবন। জীবনের একটি মুহূর্ত বেখেয়াল, অবহেলায় কাটিয়ে দেওয়া মানে এই সময়টা নষ্ট করে ফেলা। সে আর কখনও ফেরত আসবে না। এক একটি মুহূর্ত জীবনে একবারই আসে। প্রত্যেকটি দিন আগমন করে আমাকে আহবান করে তাকে ভালোভাবে ব্যবহার করার জন্য। সে এও বলে দেয়, হিসাবের দিনেই কেবল সে আবার আমার সামনে হাজির হবে। যে ব্যক্তি সময়ের সদ্ব্যবহার করে, দুনিয়ার জীবনে সে সফলতা পায়। আমার রমজান ৩০ দিনের হলে ২৫,৯২,০০০ সেকেন্ডের সমষ্টি। রমজানের চাঁদ উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে শুরু করে। আমার কাছে রমজানের প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। আমি, আপনি যদি হিসাব করে এই সেকেন্ডগুলো কাজে লাগাতে পারি, তবে আমি আপনি অবশ্যই সফল হতে পারব। একজন পরীক্ষার্থী যেমন প্রত্যেকটি সেকেন্ডের হিসাব রেখে উত্তর লিখতে থাকে। তেমনি আমার আপনারও এই মূল্যবান সময়ের যথাযথ কদর করে রোজা পালন করলে, এই বছরের রমজান আমার আপনার জীবনে এক ব্যতিক্রম রমজান মনে হবে এবং এক ব্যতিক্রম ফল বয়ে আনবে। তাই গল্পগুজব, আড্ডা, টিভি দেখা, ফেসবুক অনলাইনে সময় ব্যয়, অবসরে শুধু ঘুমানো, এখানে সেখানে ঘুরাফেরা করা ইত্যাদি কাজগুলো বর্জন করি। তবে আমার রমজান হবে প্রাণবন্ত।

কথা হোক কম

যখন আপনি আমি কথা কম বলব, তখন অনেক অনর্থক এমন কি ফাহেশা কথা থেকে বেঁচে যাব। জীবনের অনেক সময়ও বেঁচে যাবে। বেশি কথা বললে, গীবত, পরনিন্দা, মিথ্যা এ ধরণের অনেক কথা মুখ ফঁসকে বেরিয়ে যেতে পারে। যে সময় আমি অযথা গল্প কথায় লিপ্ত হব, এই সময়টাকে আমি কোরআন তেলাওয়াত, তাফসির অধ্যয়ন, হাদিস পাঠ, বিভিন্ন মাসনুন দোয়া, ইস্তেগফার, দরুদ শরিফ পাঠ, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো বিভিন্ন জিকিরে মশগুল হতে পারি। অনায়াসে অনেক বরকতের ভাগিদার হতে পারি।

কাজে গতিময়তা

কাজ ছাড়া জীবন অচল, আমরা কেউ চাকুরি করি, কেউ ব্যবসা, কেউ কৃষিকাজ ইত্যাদি। এই রমজানে আমার কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। কাজের গতি বাড়িয়ে দেই। কাজের গতি বাড়িয়ে কাজের সময়কে কমিয়ে আনি। এই বেঁচে যাওয়া সময়টিকে আমি ইবাদত-বন্দেগি, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ, ইস্তেগফার পাঠে ব্যয় করি। তাহলে দেখা যাবে কাজের এই গতিময়তা পুরো বছর আমাকে বরকত দেবে। আমার অনেক সময় হাতে থাকবে, বিশেষভাবে মাওলাকে ডাকার জন্য আমার সময়ের অভাব হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া বর্জন

রমজান মাস আমার জন্য আমার মহান রবের এক মহান উপহার। এই মাস সওয়াব কামাইয়ের মাস। এই মাস সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকার মাস নয়। আপনার বিশেষ কোনো প্রয়োজনে আপনি নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম, ইউটিউভ ইত্যাদি মাধ্যমগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। আপনি হয়তো ভালো কিছু দেখতে চান, ভালো কিছু শুনতে চান। এই ভালো দেখার সঙ্গে, ভালো শোনার সঙ্গে কিছু খারাপও আপনার নজরে এসে যাবে। এই সময় আমি আপনি নেটওয়ার্কহীন অন্য ইবাদতে মশগুল হই। যার নেটওয়ার্ক আমার আর আমার রবের সঙ্গে সংযোগ করে দেবে- ইনশাআল্লাহ।

;

শুক্রবার থেকে রোজা শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বুধবার দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী শুক্রবার থেকে রোজা শুরু হচ্ছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ কথা জানায়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, বাংলাদেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে রমজান মাস গণনা। সে ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার দেশের মসজিদগুলোতে বাদ এশা তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র রমজানের কার্যক্রম শুরু করবেন। এরপর ওই দিন দিবাগত ভোররাতে সাহ্‌রি খেয়ে প্রথম রোজা রাখতে হবে।

;