সাম্প্রদায়িক গোলযোগ সৃষ্টি করতে দেশবিরোধীরা ষড়যন্ত্র করছে: আল্লামা কাসেমী

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচনা সভায়  বক্তব্যে রাখছেন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, ছবি: সংগৃহীত

আলোচনা সভায় বক্তব্যে রাখছেন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, ছবি: সংগৃহীত

দেশে সাম্প্রদায়িক গোলযোগ সৃষ্টি করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের পাতানো ফাঁদে কোনোভাবেই পা দেওয়া যাবে না। যেকোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে হবে। পাশাপাশি ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের মদদদাতাদের চিহ্নিত করে জাতির কাছে মুখোশ খুলে দিতে হবে এবং এসব দেশবিরোধীদের প্রতিরোধে ব্যাপক গণসচেতনতা তৈরির মাধ্যমে সকলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে।

বুধবার (১১ নভেম্বর) জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত প্রতিরোধে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জমিয়তের সহ-সভাপতি আল্লামা আবদুর রব ইউসুফী।

সভায় আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী আরও বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদেরকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মাথা গরম করতে চাচ্ছে। কিন্তু আমরা সেই ফাঁদে পা দেব না। আমরা জানি, ষড়যন্ত্রকারীদের সংখ্যা খুব কম। এ ছাড়া বাংলাদেশের সকল ধর্ম, বর্ণ ও মতাদর্শের মানুষ মিলেমিশে চলতে অভ্যস্ত। বাংলাদেশের ৯২ ভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। আর ইসলাম সকল ধর্ম-বর্ণ ও মতাদর্শের মানুষের সঙ্গে মানবিক ও সামাজিক সদাচরণ এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে চলার শিক্ষা দিয়ে থাকে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমাদের এখন প্রধান কাজ হবে, ইসলামের সম্প্রীতি ও শান্তির বাণীর ব্যাপকভাবে প্রচার করা। ইসলামে যেকোনো মানুষের ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং ইনসাফ পাওয়ার ক্ষেত্রে ধর্ম-বর্ণ ও ভাষাগত তারতম্য দিয়ে পার্থক্য করে না। ইসলাম জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর সমর্থন করে না। ইসলাম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি শিক্ষা দেয়। ইসলামের এই বাণীগুলোর ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে এবং সে মতে চলতে হবে। তাহলে সাম্প্রদায়িক সঙ্ঘাত বাঁধিয়ে ফায়দা লুটতে তৎপর দেশবিরোধী গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যাবে।

দলের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর পরিচালনায় আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন- সহ-সভাপতি মাওলানা জহিরুল হক ভূঁইয়া, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা নাজমুল হাসান, সহকারী মহাসচিব মুফতি মাসউদুল করীম, মাওলানা সানাউল্লাহ মাহমূদী, অর্থসম্পাদক মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা বশীর আহমদ, মুফতি নাসির উদ্দীন খান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা সলিম উল্লাহ, মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা সিদ্দিকুল ইসলাম তোফায়েল, মাওলানা নূর মোহাম্মদ, মুফতি জাবের কাসেমী, মাওলানা মাহবুবুল আলম ও মাওলানা সোলাইমান প্রমুখ।