আলেকজান্ডারের দেশে সাহসের সঙ্গে পথ চলছে মুসলমানরা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মেসিডোনিয়ার মসজিদে নামাজ আদায় করছেন মুসলিমরা, ছবি: সংগৃহীত

মেসিডোনিয়ার মসজিদে নামাজ আদায় করছেন মুসলিমরা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মহাবীর আলেকজান্ডার। বিশ্ববাসী তাকে এক নামে চেনেন। এখন থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে খ্রিস্টপূর্ব ৩৫৬ অব্দে গ্রিসের অতিক্ষুদ্র এক রাজ্য মেসিডোনিয়ার রাজপরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ইতিহাসের এই কিংবদন্তি।

মেসিডোনিয়াকে বলা হয় আলেকজান্ডারের দেশ। ১৯৯১ সালে সাবেক যুগোস্লাভিয়া থেকে বের হয়ে এসে স্বাধীনতা ঘোষণা করে মেসিডোনিয়া।

মুশকিল হলো, গ্রিসের একটি অঞ্চলের নামও মেসিডোনিয়া। গ্রিসের সবচেয়ে জনবহুল অংশ সেটি। অন্যদিকে দুই মেসিডোনিয়াই একসময় রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল, তাই নাম নিয়ে তাদের বিবাদ বহুকালের। দুই মেসিডোনিয়াই দাবি করে, তারা আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের উত্তরাধিকারী।

অনেক গ্রিকবাসীর কাছে নামটি বেশ স্পর্শকাতর। তারা মনে করেন, মেসিডোনিয়া শুধু গ্রিকের থাকবে। অতএব এই নামে আপত্তি গ্রিসের। শেষমেষ চুক্তি, আলোচনা ও গণভোটে ফায়সালা হয় মেসিডোনিয়া নাম বদলে ‘রিপাবলিক অব নর্থ মেসিডোনিয়া’ করবে। ২৮ বছরের বিবাদ শেষে ২০১৮ সাল থেকে মেসিডোনিয়ার সাংবিধানিক নাম ‘রিপাবলিক অব নর্থ মেসিডোনিয়া’ বা উত্তর মেসিডোনিয়া প্রজাতন্ত্র।

২৫ হাজার ৭১৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশ মেসিডোনিয়ার জনসংখ্যা ২৫ লাখের কাছাকাছি। রাজধানী স্কোপজে। যুগোস্লাভিয়া থেকে স্বাধীন হওয়ার পর দেশটি এখনও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেনি। গ্রিসের সঙ্গে ভাষা, ঐতিহ্য এমনকি চার্চ বিষয়ে মেসিডোনিয়ার বিরোধ দীর্ঘদিনের। তবে মেসিডোনিয়া নিজের মতো করে নিজ দেশের পরিচিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে।

মেসিডোনিয়ার একটি মসজিদ, ছবি: সংগৃহীত

দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ মুসলিম। এদের বেশিরভাগ আলবেনিয়ার নাগরিক। তা ছাড়া তুর্কি, বসনিয়া ও রুমানিয়ার অধিবাসীও রয়েছে।

রাজনৈতিক উত্থান-পতন থাকলেও দেশটিতে মুসলমানের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষার হার ও রাজনীতিতে মুসলমানদের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো। পিউ ফোরাম রিসার্চ সেন্টারের দাবি, ২০৫০ সালে ৫৬.২ শতাংশে উন্নীত হবে মুসলমানরা।

দেশটিতে ৫৮০টি মসজিদ এবং একাধিক ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। উসমানীয় শাসনামলে গড়ে তোলা পাঁচ শতাধিক মসজিদ রয়েছে মেসিডোনিয়ায়। সেন্টার জুপা, দেবার, স্ট্রুগা ও প্লাসনিকাসহ দেশটির উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিমের কিছু অঞ্চলে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিদ্যমান।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, স্পেনে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মুসলিম ধর্ম প্রচারকরা ছড়িয়ে পড়েন। তন্মধ্যে মেসিডোনিয়ায় সর্বপ্রথম ইসলামের প্রচার ঘটে। মুসলিম ধর্ম প্রচারকরা সেখানে মসজিদ ও ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

মেসিডোনিয়ার হজযাত্রী, ছবি: সংগৃহীত

১৩৮২ খ্রিস্টাব্দে উসমানীয় শাসকরা মেসিডোনিয়া বিজয় করেন এবং তাদের সহযোগিতায় সেখানে দ্রুত ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় পাঁচশ’ বছর তা তুর্কি শাসনাধীন ছিল।

১৯১২ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত প্রথম বলকান যুদ্ধ পর্যন্ত তুর্কিরা কার্যত মেসিডোনিয়া শাসন করে। উসমানীয় শাসকরা মেসিডোনিয়ায় বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

১৯২১ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত মুসলিম জনসংখ্যা ৩১ শতাংশ থেকে ২৪ শতাংশে নেমে আসে। ১৯৭১ সাল থেকে মুসলিম জনসংখ্যা আবারও বাড়তে থাকে।

মেসিডোনিয়া ইউরোপিয়ান দেশ হলেও এখানকার মুসলিম জীবনে তুর্কি সংস্কৃতির প্রভাব বেশি। খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে ধর্মীয় আচার-আচরণ পালন পর্যন্ত সব কিছুতেই তারা তুর্কি সংস্কৃতির অনুসারী। দীর্ঘদিন তুর্কি শাসনাধীন থাকাই এর প্রধান কারণ। দেশটির মুসলিমদের এক-তৃতীয়াংশই ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলেন, হিজাব পরিধান করে রাস্তায় নারীরা চলাফেরা করেন। প্রতি ফেব্রুয়ারি মাসে বেশ ঘটা করে পালিত হয়- হিজাব দিবস। আলাদা কোরআন শিক্ষার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কয়েকশ মানুষ প্রতিবছর হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গমন করেন।

দেশটির মুসলিম জনগণের সর্বোচ্চ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দারুল ইফতা মেসিডোনিয়া। সরকার ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কিংবা সংস্থায় দারুল ইফতা মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারীদের বিভিন্ন সেবাও এই সংস্থাটি দিয়ে থাকে।

ঋতু ও রূপবৈচিত্র্যের কারণে ইউরোপীয় পর্যটকদের কাছে মেসিডোনিয়া বেশ প্রিয়। দেশটির প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনগুলো দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে। দেশটিতে আছে বিভিন্ন ধর্মের অসংখ্য প্রাচীন নিদর্শন।

মেসিডোনিয়ায় হিজাব দিবসের অনুষ্ঠানে এক নারী, ছবি: সংগৃহীত

মেসিডোনিয়া উচ্চ ভূমিকম্পপ্রবণ একটি দেশ। তবে দেশটির প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম। সারি সারি পর্বতমালাকে কেন্দ্র করে গাছগাছালিতে তৈরি হয়েছে এক মায়াময় পরিবেশ। গ্রীষ্মকাল বেশ উষ্ণ এবং শুকনো আবহাওয়া। শীতের তীব্রতা খুব বেশি না হলেও তুষারপাত হয় ব্যাপক।

প্রাচীনকালে মেসিডোনিয়া নামে এই ছোট রাজ্যটিই গ্রাস করে নিয়েছিল পৃথিবীর প্রায় পুরো ভূভাগ। সেই ইতিহাস গড়েছিলেন আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট। ইতিহাসের সবচেয়ে সফল এই সমরনায়কের কোনো যুদ্ধে হেরে যাওয়ার নজির নেই। মৃত্যু অবধি একে একে রাজ্য জয় করে চলেছিলেন তিনি।

আলেকজান্ডারের হার না মানা ইতিহাসকে সামনে রেখে নানা ঘাত-প্রতিঘাত সত্ত্বেও এগিয়ে চলছেন মেসিডোনিয়ার মুসলমানরা। স্বাধীনভাবে ধর্ম চর্চার ধারা তারা অব্যাহত রেখেছেন। ধর্মীয় সংঘাত এড়িয়ে নতুন উদ্যামে মেসিডোনিয়ার মুসলমানদের পথচলা নিকটবর্তী দেশের মুসলমানদের জন্য আশাব্যঞ্জক খবর।

   

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না বলে আশাবাদী বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।

ভিসা না হওয়া হজযাত্রীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। তবে বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, চলতি হজ মৌসুমে নিবন্ধিত সবার ভিসা হবে বলে আমি আশাবাদী। কয়েকটি এজেন্সির হজযাত্রী নিয়ে জটিলতা হচ্ছে, তার অর্ধেকই ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। বাকি কাজ সমাধানের পথে।

জিলহজ মাসে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে ৯ মে শুরু হওয়া হজফ্লাইট শেষ হবে ১০ জুন। এই সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। ইতোমধ্যে ২৮ হাজার ৪ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। ৮২ হাজার ১০০ জনের ভিসা ভিসা হয়েছে। এখনও বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত ৩ হাজার ৩৩৬ জনের ভিসা হয়নি।

মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, পরিচালক, হজ অফিস, ছবি: বার্তা২৪.কম

জানা গেছে, যথাসময়ে ভিসার আবেদন না করায় ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ৫৭০, যাত্রী সংখ্যা ২৮৬), আনসারি ওভারসিস (লাইসেন্স ৬০১, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি (লাইসেন্স ৬৭২, যাত্রী সংখ্যা ৪৪৪), মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ১০২৫, যাত্রী সংখ্যা ৩৭৫), নর্থ বাংলা হজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স ১০৮৬, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস (লাইসেন্স ১৪৬২, যাত্রী সংখ্যা ২৫০) কে ধর্ম মন্ত্রণালয় শোকজ করে। এসব এজেন্সির মাধ্যমে ১ হাজার ৮৭৫ জনের চলতি বছর হজে যাওয়ার কথা রয়েছে।

আর আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সির নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কারও ভিসা না করায় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়ার দেশত্যাগ স্থগিত ও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সিসহ অভিযুক্ত এজেন্সির মালিকদের নিয়ে আমরা বসে, পয়েন্ট পয়েন্ট ধরে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেছি। ইতোমধ্যে হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস, ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এবং মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্যদেরও হয়ে যাবে। নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালন থেকে বঞ্চিত হবেন না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এমন আশাবাদী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাব সভাপতি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব অংশে যে পরিমাণ অর্থ প্রেরণ করা দরকার এজেন্সিগুলো তা পাঠিয়েছে। আর যতটুকু সমস্যা রয়েছে, আশা করি তা সমাধান করা যাবে।

এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ছবি: বার্তা২৪.কম

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি এবার হজে কোনো লোক পাঠাইনি। আকবর হজ গ্রুপের মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী তার লাইসেন্সে সমস্যা হওয়ায় আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে ৪৪৮ জন হজযাত্রী পাঠাচ্ছে। চলতি সমস্যা নিয়ে হাব সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে মুফতি লুৎফর রহমান সৌদি থেকে ফোনে কথা বলেছেন, তিনি আশ্বস্থ করেছেন; আজকালের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ জনের ভিসা হয়ে যাবে। আর আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে সবার ভিসা হয়ে যাবে। তিনি মদিনার বাড়ি ভাড়া করেছেন, মক্কার বাড়িও ভাড়া হওয়ার পথে।’

;

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগমুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মৃত্যদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে দিলেন বাবা। শেষ সময়ে জন্মদাদা বাবার এমন উদারতা দেখে উপস্থিত কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবে। খবর গালফ নিউজের।

আল হুমাইদি আল হারবি নামের ওই বাবা হঠাৎ করে দণ্ড কার্যকরের স্থানে যান। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেন, ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। ওই হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে আল হুমাইদি আল হারবির কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা।

কিন্তু ওই সময় তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। নিজ ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন ওই বাবা। সে অনুযায়ী, বিনা শর্তে তিনি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেন। এতে করে সেখানে থাকা সবাই বেশ অবাক হন।

আল হারবি জানিয়েছেন, ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও প্রথমে হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের মন পরিবর্তন করেন। ছেলের হত্যারকারীকে ক্ষমা করা ওই বাবার এমন উদারতার প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা এটিকে ক্ষমার একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

খবরে প্রকাশ, নিজ গোত্রের প্রতিবেশীর বন্ধুর ছেলের হাতে তার ছেলে খুন হন। দেশটির আইন অনুযায়ী বিচার শেষে হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। সৌদি আরবের আইনে রক্তপণ নিয়ে কিংবা অভিভাবক হিসেবে খুনিকে ক্ষমা করে দেওয়ার বিধান রয়েছে।

সে হিসেবে তিনি ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক আজও আগের মতো।’

তার স্পষ্ট কথা, আমি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করেছি। এ বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষমার কথা বললেও তার পরিবার ক্ষমা প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আমাদের সম্পর্ক গত ছয় দশকের মতোই আজও আছে। ছেলের খুনের পর যেমন ছিল, এখনও সম্পর্ক তেমনি আছে।

হত্যাকারীর বাবা আবদুল মাজিদ আল হারবি বলেন, আমি নিহতের বাবাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা করি এবং সম্মান করি, তিনি আমার ভাইয়ের চেয়েও বেশি।

;

সৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে মো. আসাদুজ্জামান নামের এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এটিই এবারের হজে প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু।

শনিবার (১৮ মে) হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ১৫ মে আসাদুজ্জামান মদিনায় মসজিদে নববীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পরেন। পরে তাকে কিং সালমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ৭ নম্বর মাসকা ইউনিয়নের সাতাশী গ্রামের বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান।

এদিকে শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

;

সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ হজযাত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ থেকে চলতি মৌসুমে হজ পালন করতে ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২০ হাজার ৪৮৯ জন। এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৯০১টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

বুলেটিনে জানানো হয়, এ পর্যন্ত ৬১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

হেল্পডেস্ক থেকে পাওয়া তথ্য মতে, হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

;