আমেরিকার অধিকাংশ মুসলিম ইসলামোফোবিয়ার শিকার

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আমেরিকার অধিকাংশ মুসলিম ইসলামোফোবিয়ার শিকার

আমেরিকার অধিকাংশ মুসলিম ইসলামোফোবিয়ার শিকার

যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) সাম্প্রতিক এক জরিপে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক অপরাধ কমে আসার কথা জানালেও মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ‘মূল চিত্র তার বিপরীত। সম্প্রতি মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে চলছে।’

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামি রিলেশনসের (সিএআইআর) তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ শ’র বেশি ইসলামোফোবিক ঘটনা ঘটেছে।

বিজ্ঞাপন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বেশিরভাগ মুসলমানই ইসলাম বিদ্বেষী অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানদের ওপর চালানো এক জরিপেও এমন তথ্য ওঠে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আদারিং অ্যান্ড বিলোংগিং ইনস্টিটিউটের পরিচালিত এই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬৭.৫ ভাগ অংশগ্রহণকারী জানান, তারা কথিত ইসলামোফোবিয়ামূলক মৌখিক ও শারীরিক হামলা এবং বৈষম্যমূলক নীতির শিকার হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মোট এক হাজার ১২৩ অংশগ্রহণকারী এই জরিপে অংশ নেন। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নারীদের ৭৬.৭ ভাগ জানান, তারা ইসলামোফোবিয়ার শিকার হয়েছেন। অপরদিকে পুরুষদের মধ্যে ৫৮.৬ ভাগ পুরুষ ইসলামোফোবিয়ার শিকার হয়েছেন।

অন্য যেকোনো বয়সীদের তুলনায় ১৮-২৯ বছর বয়সীরাই বেশি ইসলামোফোবিয়ামূলক অপরাধের শিকার হন বলে জরিপে তথ্য প্রকাশ করা হয়।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১৮-২৯ বছর বয়সী তরুণরা বলেন, এই পরিস্থিতি এড়াতে তারা নিজেদের ধর্ম গোপন করেন।

জরিপে অংশ নেওয়া ৯৩.৭ ভাগ জানান, ইসলামোফোবিয়া ও মুসলিমবিদ্বেষ তাদের মানসিক অবস্থা ও মনস্তত্বের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে।

ইনস্টিটিউটের গ্লোবাল জাস্টিস প্রোগ্রামের পরিচালক আল সাদিক আল শেখ ২৯ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘(জরিপে)এতে প্রকাশিত হয়েছে, যদিও একজন মুসলিম ইসলামোফোবিয়ামূলক অপরাধে সরাসরি ভুক্তভোগী না হন, নাইন-ইলেভেনের পর আমাদের সংবাদমাধ্যম ও সংস্কৃতিতে ইসলামোফোবিয়ার বিস্তারে মুসলিমরা অনুভব করছে, তাদের কোনো না কোনোভাবে নজরদারি, অভিযুক্ত ও বঞ্চিত করা হচ্ছে।’

আল শেখ বলেন, ‘আমাদের জরিপে দেখানো হয়েছে, কি করে সমাজের সঙ্গে মার্কিন মুসলমানদের সংযোগে ইসলামোফোবিয়া গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে এবং সম্পদ অর্জনে কি ধরনের বাঁধার মুখোমুখি তারা হচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামোফোবিয়ার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং নাইন-ইলেভেনের পরই তার আবির্ভাব ঘটেনি।’

আল শেখ বলেন, ‘ইসলামোফোবিয়া শুধু মার্কিন মুসলমানদের প্রভাবিত করছে না, বরং মার্কিন সমাজকেও পূর্ণাঙ্গভাবে প্রভাবিত করছে।’