সম্মানীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ইসলামের শিক্ষা



মুফতি মো. আবদুল্লাহ, অতিথি লেখক, ইসলাম
সম্মানীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ইসলামের শিক্ষা, ছবি: সংগৃহীত

সম্মানীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ইসলামের শিক্ষা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হজরত যায়েদ ইবন হাইয়্যান রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি হুসাইন ইবন সাবুরা (রা.) ও উমর ইবন মুসলিম (রা.) একসঙ্গে হজরত ইবন আরকাম (রা.)-এর কাছে গেলাম। যখন আমরা তার কাছে বসে পড়লাম, তখন হজরত হুসাইন (রা.) তাকে বললেন, হে হুসাইন! আপনি অনেক কল্যাণকর বিষয়াদি দেখার সৌভাগ্য পেয়েছেন। হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাক্ষাৎ লাভে আপনি ধন্য হয়েছেন। মহানবী (সা.)-এর অনেক হাদিস আপনি শুনেছেন। তার সঙ্গে অনেক যুদ্ধে আপনি শরিক হয়েছেন। তার পেছনে আপনি বহু নামাজ পড়েছেন। হে জায়েদ! নিঃসন্দেহে আপনি অনেক বরকত-কল্যাণের অধিকারী হয়েছেন। আপনি আমাদের সেসব হাদিস শোনান, যা আপনি নবী করিম (সা.)-এর কাছ থেকে শুনেছেন। হজরত জায়েদ (রা.) জবাবে বললেন, হে ভাতিজা! আমার বয়স অনেক হয়েছে। দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হয়েছে। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছ থেকে শুনে যা মুখস্থ করেছিলাম তার কোনো কোনো কথা, ভুলে গেছি। তাই যা কিছু তোমাদের বয়ান করব, তা মেনে নেবে; আর যা বলব না, তেমন কিছু বলতে আমাকে বাধ্য করবে না। তার পর তিনি বললেন, এক দিন হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের উদ্দেশে ভাষণদানের লক্ষ্যে ওই পানির তীরে দাঁড়ালেন, যেটিকে ‘খুম’ বলা হয় এবং তা মক্কা ও মদিনার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। নবী করিম (সা.) আল্লাহতায়ালার হামদ ও সানা পাঠ করলেন এবং ওয়াজ-উপদেশ প্রদান করলেন। তার পর ইরশাদ করলেন- হামদ ও সানার পর, ‘হে লোকসকল! আমি একজন মানুষ। অতিসত্বর আমার প্রভুর বাহক আমাকে নিয়ে যেতে আসবে এবং আমি তার ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যাবো। আমি তোমাদের কাছে দু’টো মূল্যবান জিনিস রেখে যাচ্ছি। যার মধ্যে প্রথম বস্তুটি হলো- আল্লাহর কিতাব (কোরআন), যাতে রয়েছে হেদায়েত ও আলো। তোমরা আল্লাহর এ কিতাব গ্রহণ করো এবং তা শক্তভাবে ধরে রাখবে।’ এমনিভাবে নবী করিম (সা.) আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী আমল করার জন্য উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করলেন। অতঃপর বললেন, ‘দ্বিতীয় বস্তুটি হলো- আমার পরিবার-পরিজন। আমি তোমাদেরকে আমার ‘আহলে বায়ত’ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালাকে স্মরণ রাখতে নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছি।’

তা শুনে হজরত হুসাইন (রা.) জিজ্ঞাসা করলেন, হে জায়েদ! নবী করিম (সা.)-এর ‘আহলে বায়ত’ কারা? তার পবিত্র বিবিগণ কি ‘আহলে বায়ত’-এর অন্তর্ভুক্ত নন? হজরত জায়েদ (রা.) বললেন, নবী (সা.)-এর স্ত্রীরা তো আহলে বায়তের অন্তর্ভুক্ত আছেনই। তা ছাড়াও নবী (সা.)-এর আহলে বায়তের মাঝে সেসব লোকজনও অন্তর্ভুক্ত যাদের ক্ষেত্রে ‘সাদাকা’র সম্পদ হারাম করা হয়েছে। হজরত হুসাইন (রা.) প্রশ্ন করলেন, তারা কারা? তিনি বললেন, হজরত আলী (রা.), হজরত আকিল (রা.), হজরত জাফর (রা.), হজরত আব্বাস (রা.) ও এদের বংশধরেরা। হজরত হুসাইন (রা.) প্রশ্ন করলেন, এদের সবার জন্য সাদাকার মাল হারাম করে দেওয়া হয়েছে? হজরত জায়েদ (রা.) বললেন, হ্যাঁ।’ –সহিহ মুসলিম শরিফ: ৫/৯৫

মুমিন জননী হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসূলে আকরাম (সা.) নিজ সাহাবাদের মাঝে উপবিষ্ট ছিলেন। তার পাশে হজরত আবু বকর (রা.) ও হজরত উমর (রা.) বসা ছিলেন। সম্মুখপানে হজরত আব্বাসকে (রা.) আসতে দেখা গেল। তার জন্য হজরত আবু বকর (রা.) বসার স্থান করে দিলেন। তিনি হজরত আবু বকর ও হজরত নবী করিম (সা.)-এর মাঝখানে বসে গেলেন। তাতে নবী করিম (সা.) বললেন, ‘মর্যাদাশালীদের মর্যাদা মর্যাদাসম্পন্নরাই ভালো জানেন।’ তার পর নবী করিম (সা.) হজরত আব্বাস (রা.)-এর প্রতি মুখ ফিরিয়ে তার সঙ্গে কথাবার্তা বলতে লাগলেন। এ সময় প্রিয় নবী (সা.) স্বীয় বাক্যালাপের শব্দ অনেক নিচু করে দিলেন। তখন হজরত আবু বকর (রা.) হজরত উমরকে (রা.) বললেন, হুজুর (সা.)-এর কি কোনো কষ্ট হয়ে গেছে কি না? যে কারণে আমার মনে সংশয় জাগছে! হজরত আব্বাস (রা.) নবী করিম (সা.)-এর কাছে সেভাবেই বসা রয়েছেন। নবী করিম (সা.) যখন তার প্রয়োজন মিটিয়ে দিলেন; তিনি চলে গেলেন। তখন হজরত আবু বকর (রা.) নিবেদন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! আপনার এখন কি কোনো কষ্ট হয়েছিল? নবী করিম (সা.) বললেন, না। হজরত আবু বকর (রা.) বললেন, আমি লক্ষ করলাম, আপনার কথার স্বর একেবারে ক্ষীণ হয়ে পড়েছিল। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করলেন, ‘হজরত জিবরাইল (আ.) আমাকে নির্দেশ দিলেন, যখন হজরত আব্বাস (রা.) আসবেন, আমি যেন অনেক নিচু স্বরে কথা বলি।’ যেমনটি আমি তোমাদের নির্দেশ দিয়ে থাকি যে, তোমরা আমার কাছে বা সামনে তোমাদের কথা নিচু স্বরে বলবে। -ইবনে আসাকির সূত্রে: কানয- ৭/৬৮

ইবনে শিহাব বর্ণনা করেন, হজরত আবু বকর (রা.) ও হজরত উমর (রা.) নিজ নিজ খেলাফতকালে যখনই হজরত আব্বাস (রা.)-এর সাক্ষাৎ পেতেন আর তারা বাহনে আরোহিত অবস্থায় থাকতেন, তাৎক্ষণিক তারা হজরত আব্বাস (রা.)-এর সম্মানে বাহন থেকে নেমে যেতেন এবং বাহনের জন্তুগুলোর লাগাম হাতে ধরে রেখে তার সঙ্গে হাঁটতে থাকতেন। যখন হজরত আব্বাস (রা.) নিজ বাড়ি কিংবা গন্তব্য স্থানে পৌঁছে যেতেন, তখন তারা তার থেকে পৃথক হতেন।’ -প্রাগুক্ত: ২৯

হজরত আনাস (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) মসজিদে বসা ছিলেন এবং সাহাবাগণ চার দিকে তাকে ঘিরে বসে অবস্থান করছিলেন। এমতাবস্থায় সামনের দিক থেকে হজরত আলী (রা.) এসে পৌঁছালেন এবং সামনে দাঁড়িয়ে মজলিসে বসার স্থান লক্ষ করছিলেন। নবী করিম (সা.) নিজ সাহাবাদের প্রতি তাকাচ্ছিলেন, তাদের কেউ তাকে বসার স্থান করে দিচ্ছেন কি না? হজরত আবু বকর (রা.) নবী করিম (সা.)-এর ডানে বসা ছিলেন। তিনি নিজ স্থান থেকে কিছুটা সরে গিয়ে বললেন, হে আবুল হাসান! আপনি এখানে এসে বসে পড়ুন। আর এভাবেই হজরত আলী (রা.) এসে নবী করিম (সা.) ও হজরত আবু বকর (রা.)-এর মাঝামাঝি বসে পড়লেন। তখন আমরা দেখতে পেলাম, নবী করিম (সা.)-এর চেহারা মোবারকে অত্যন্ত খুশির ছাপ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এর পর নবী করিম (সা.) হজরত আবু বকর (রা.)-এর প্রতি তাকিয়ে ইরশাদ করলেন, ‘হে আবু বকর! ‘সম্মানী লোকের কাছ থেকেই সম্মানজনক ব্যবহার প্রকাশ পায়।’ –আল বিদায়া: ৭/৩৫৮

লেখক: মুফতি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।

   

সৌদিতে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমে হজ পালন করতে গিয়ে মো. মোস্তফা (৮৯) নামে আরও এক হজ যাত্রী মারা গেছেন। শনিবার (১৮ মে) মক্কায় মারা যান তিনি।

রোববার (১৯ মে) রাত ২টার হজ পোর্টালের আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, গত বুধবার (১৫ মে) চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবের প্রথম বাংলাদেশি এক হজযাত্রী মারা যান। মো. আসাদুজ্জামান নামের ওই ব্যক্তি মদিনায় মৃত্যুবরণ করেন।

এ দিকে পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত (১৮ মে রাত ১টা ৫৯ মিনিট) সৌদি পৌঁছেছেন ২৮ হাজার ৭৬০ জন হজযাত্রী। মোট ৭২টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২৫ হাজার ১৩ জন। এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ৮৬২টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।

হেল্প ডেস্কের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত মোট ৭২টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২৮টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৬টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত মধ্যরাত পর্যন্ত ৮১ হাজার ৮৬২ জন হজযাত্রীর ভিসা ইস্যু হয়েছে। সে হিসেবে এখনো ৩ হাজার ৩৯৫ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি। সর্বশেষ শনিবার (১৮ মে) মো. মোস্তফা নামের ৮৯ বছর বয়সী হজযাত্রী মক্কায় মারা যান।

;

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না বলে আশাবাদী বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।

ভিসা না হওয়া হজযাত্রীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। তবে বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, চলতি হজ মৌসুমে নিবন্ধিত সবার ভিসা হবে বলে আমি আশাবাদী। কয়েকটি এজেন্সির হজযাত্রী নিয়ে জটিলতা হচ্ছে, তার অর্ধেকই ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। বাকি কাজ সমাধানের পথে।

জিলহজ মাসে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে ৯ মে শুরু হওয়া হজফ্লাইট শেষ হবে ১০ জুন। এই সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। ইতোমধ্যে ২৮ হাজার ৪ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। ৮২ হাজার ১০০ জনের ভিসা ভিসা হয়েছে। এখনও বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত ৩ হাজার ৩৩৬ জনের ভিসা হয়নি।

মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, পরিচালক, হজ অফিস, ছবি: বার্তা২৪.কম

জানা গেছে, যথাসময়ে ভিসার আবেদন না করায় ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ৫৭০, যাত্রী সংখ্যা ২৮৬), আনসারি ওভারসিস (লাইসেন্স ৬০১, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি (লাইসেন্স ৬৭২, যাত্রী সংখ্যা ৪৪৪), মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ১০২৫, যাত্রী সংখ্যা ৩৭৫), নর্থ বাংলা হজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স ১০৮৬, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস (লাইসেন্স ১৪৬২, যাত্রী সংখ্যা ২৫০) কে ধর্ম মন্ত্রণালয় শোকজ করে। এসব এজেন্সির মাধ্যমে ১ হাজার ৮৭৫ জনের চলতি বছর হজে যাওয়ার কথা রয়েছে।

আর আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সির নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কারও ভিসা না করায় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়ার দেশত্যাগ স্থগিত ও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সিসহ অভিযুক্ত এজেন্সির মালিকদের নিয়ে আমরা বসে, পয়েন্ট পয়েন্ট ধরে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেছি। ইতোমধ্যে হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস, ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এবং মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্যদেরও হয়ে যাবে। নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালন থেকে বঞ্চিত হবেন না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এমন আশাবাদী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাব সভাপতি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব অংশে যে পরিমাণ অর্থ প্রেরণ করা দরকার এজেন্সিগুলো তা পাঠিয়েছে। আর যতটুকু সমস্যা রয়েছে, আশা করি তা সমাধান করা যাবে।

এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ছবি: বার্তা২৪.কম

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি এবার হজে কোনো লোক পাঠাইনি। আকবর হজ গ্রুপের মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী তার লাইসেন্সে সমস্যা হওয়ায় আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে ৪৪৮ জন হজযাত্রী পাঠাচ্ছে। চলতি সমস্যা নিয়ে হাব সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে মুফতি লুৎফর রহমান সৌদি থেকে ফোনে কথা বলেছেন, তিনি আশ্বস্থ করেছেন; আজকালের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ জনের ভিসা হয়ে যাবে। আর আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে সবার ভিসা হয়ে যাবে। তিনি মদিনার বাড়ি ভাড়া করেছেন, মক্কার বাড়িও ভাড়া হওয়ার পথে।’

;

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগমুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মৃত্যদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে দিলেন বাবা। শেষ সময়ে জন্মদাদা বাবার এমন উদারতা দেখে উপস্থিত কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবে। খবর গালফ নিউজের।

আল হুমাইদি আল হারবি নামের ওই বাবা হঠাৎ করে দণ্ড কার্যকরের স্থানে যান। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেন, ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। ওই হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে আল হুমাইদি আল হারবির কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা।

কিন্তু ওই সময় তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। নিজ ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন ওই বাবা। সে অনুযায়ী, বিনা শর্তে তিনি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেন। এতে করে সেখানে থাকা সবাই বেশ অবাক হন।

আল হারবি জানিয়েছেন, ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও প্রথমে হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের মন পরিবর্তন করেন। ছেলের হত্যারকারীকে ক্ষমা করা ওই বাবার এমন উদারতার প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা এটিকে ক্ষমার একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

খবরে প্রকাশ, নিজ গোত্রের প্রতিবেশীর বন্ধুর ছেলের হাতে তার ছেলে খুন হন। দেশটির আইন অনুযায়ী বিচার শেষে হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। সৌদি আরবের আইনে রক্তপণ নিয়ে কিংবা অভিভাবক হিসেবে খুনিকে ক্ষমা করে দেওয়ার বিধান রয়েছে।

সে হিসেবে তিনি ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক আজও আগের মতো।’

তার স্পষ্ট কথা, আমি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করেছি। এ বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষমার কথা বললেও তার পরিবার ক্ষমা প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আমাদের সম্পর্ক গত ছয় দশকের মতোই আজও আছে। ছেলের খুনের পর যেমন ছিল, এখনও সম্পর্ক তেমনি আছে।

হত্যাকারীর বাবা আবদুল মাজিদ আল হারবি বলেন, আমি নিহতের বাবাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা করি এবং সম্মান করি, তিনি আমার ভাইয়ের চেয়েও বেশি।

;

সৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে মো. আসাদুজ্জামান নামের এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এটিই এবারের হজে প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু।

শনিবার (১৮ মে) হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ১৫ মে আসাদুজ্জামান মদিনায় মসজিদে নববীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পরেন। পরে তাকে কিং সালমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ৭ নম্বর মাসকা ইউনিয়নের সাতাশী গ্রামের বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান।

এদিকে শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

;