ইসলাম ও দেশ ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে : পীর সাহেব চরমোনাই

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন পীর সাহেব চরমোনাই

সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন পীর সাহেব চরমোনাই

দেশ, ইসলাম ও মানবতা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এমতাবস্থায় দেশের জাগ্রত বিবেক আলেমদের ঐক্যবদ্ধভাবে ইসলামবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। উলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় দায়িত্ব্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশের উলামা-মাশায়েখদের জাতীয় সংগঠন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জাতীয় উলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বর্তমান সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় যেমনি দেশের ও জনগণের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি ইসলাম ও ইসলামি তাহজিবও ধ্বংসের মুখে। এজন্য দেশ ও জনগণের স্বার্থেই সরকারের পদত্যাগ আন্দোলনে সকলকে শামিল হতে হবে।

সভায় আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজীকে সভাপতি, মাওলানা গাজী আতাউর রহমানকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, মাওলানা ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইনকে সহ-সভাপতি, মুফতি রেজাউল করীম আবরারকে সাধারণ সম্পাদক, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ কাসেমিকে সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন পীর সাহেব চরমোনাই।

বিজ্ঞাপন

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শায়েখ জাকারিয়া ইসলামি রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, আল্লামা আব্দুল হক আজাদ, ড. অধ্যাপক আফম খালিদ হোসাইন, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী পীর সাহেব দেওনা, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, বরিশাল মাহমুদিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, বরেণ্য আলেম আল্লামা ইয়াহইয়া মাহমুদ, খুলনা দারুল উলূমের প্রিন্সিপাল মাওলানা মুশতাক আহমদ, বেফাকুল মাদারিসিদ দীনিয়ার মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ আলী, মুফতি তাজুল ইসলাম, ড. বেলাল নূর আজিজী, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ কাসেমি, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফি, মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফি, মুফতি রেজাউল করীম আবরার,

মাওলানা কামাল উদ্দিন সিরাজ, মুফতি আব্দুল আজিজ কাসেমি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধি মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা শাহজাহান আলহাবিবী, মাওলানা নাযীর আহমদ শিবলী, মাওলানা আশরাফ আলী নূরী, মুফতি আব্দুর রাজ্জাক কাসেমি, মুফতি ইসমাঈল হোসাইন সিরাজী, মুফতি রফিকুন্নবী হাক্কানি, হাজী শরয়াতুল্লাহর বংশধর মুফতি হানজালা, মাওলানা আলী আহমদ চৌধুরী পীর সাহেব চন্ডিবর্দী, ময়মনসিংহের শায়খুল হাদিস মাওলানা মঞ্জুরুল হক, কুড়িগ্রামের মুফদি মুজ্জামিল হক আইমানি, ফেনীর শায়খুল হাদিস মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, ভাষানটেক মাদরাসার শায়খুল হাদিস মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আনোয়ারী, যশোরের শায়খুল হাদিস মাওলানা হারুনুর রশিদ কাসেমি, খাগড়াছড়ির মুফতি ইমামুদ্দিন কাসেমি, বগুড়ার মুফতি আব্দুল মতিন, গাজীপুরের মাওলানা হাবিবুর রহমান মিয়াজী ও মুফতি ওবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ, কুমিল্লার মাওলানা মাহবুবুর রহমান আশরাফি ও মাওলানা মুসাদ্দিকুর রহমান আশরাফি, কেরাণীগঞ্জের মুফতি শফিউদ্দিন কাসেমি, মুন্সিগঞ্জের মুফতি এমদাদুল হক আরেফি, কুষ্টিয়ার মুফতি মুজ্জাম্মিল হক কাসেমি ও চাঁদপুরের মাওলানা আনসার আহমদ পীর সাহেব বাগিচাপুর প্রমুখ।

সম্মেলনে ১৫ দফা প্রস্তাবনা এবং ৩ মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। সম্মেলনে কারাবন্দী সকল মজলুম আলেমের দ্রুত মুক্তি এবং উলামায়ে কেরামের নামে দায়ের করা সকল ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।