কবরের জীবন সহজ হওয়ার দোয়া

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জান্নাতুল বাকি, ছবি : সংগৃহীত

জান্নাতুল বাকি, ছবি : সংগৃহীত

নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কবরের আজাব দেখানো হয়েছিলো, ফলে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি কখনও কবরের চেয়ে ভয়াবহ দৃশ্য দেখিনি।’ -সুনানে তিরমিজি : ২৩০৮

নবী কারিম (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা মৃতদেরকে দাফন করা বাদ দিয়ে দেবে, এ ভয় না থাকলে আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করতাম, যেন তিনি তোমাদেরকে কবরের কিছু আজাব শুনিয়ে দেন।’ -সহিহ মুসলিম : ৭১০৬

বিজ্ঞাপন

হাদিসে এসেছে, ‘যে মুমিন ব্যক্তি মুনকার-নাকিরের প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দিতে পারবে, তাকে কবরে জান্নাতের পোশাক পরিয়ে দেওয়া হবে, তার জন্য জান্নাতের দিকে একটি দরজা খুলে দেওয়া হবে, ফলে সে জান্নাতের সিগ্ধ হাওয়া ও সুগন্ধি পেতে থাকবে।’ -সুনানে আবু দাউদ : ৪৭৫৩

এগুলো দেখার পর সে বলবে, ‘হে আল্লাহ! দ্রুত কেয়ামত সংঘটিত করুন, যাতে আমি আমার পরিবার এবং সম্পদের দিকে ফিরে যেতে পারি।’ -সহিহুল জামে : ১৬৭৬

বিজ্ঞাপন

আর কাফের-মুশরেকদের জন্য কবরকে সংকীর্ণ করে দেওয়া হবে এবং সে তার জাহান্নামের স্থানটি দেখতে পাবে। ফলে ভয়ে আল্লাহকে বলবে, ‘হে রব! কেয়ামত সংঘটিত করবেন না।’ -আল মুসনাদ : ১৮৬৩৭

এজন্য হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরের আজাব এবং ফেতনা থেকে বারবার পানাহ চাইতেন। আমরাও নবী কারিম (সা.)-এর ভাষায় এভাবে দোয়া করতে পারি-

اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُبِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল ক্বাবরি।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট কবরের আজাব থেকে আশ্রয় চাই। -সহিহ বোখারি : ৮৩২

হজরত উরওয়াহ ইবনে যুবাইর (রহ.) থেকে বর্ণিত, হজরত আয়েশা (রা.) তাকে বলেছেন যে, আল্লাহর রাসুল (সা.) নামাজে দোয়া বলতেন- (উচ্চারণ) আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল ক্বাবরি, ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিল মাসিহিদ দাজ্জালি, ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়া ফিতনাতিল মামাতি, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মাছামি ওয়াল মাগরামি।

অর্থ : হে আল্লাহ! কবরের আজাব থেকে, মাসিহে দাজ্জালের ফেতনা থেকে এবং জীবন ও মৃত্যুর ফেতনা থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ্! গোনাহ ও ঋণগ্রস্ততা থেকেও আপনার নিকট আশ্রয় চাই। তখন এক ব্যক্তি তাকে বলল, আপনি কতই না ঋণগ্রস্ততা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। তিনি (আল্লাহর রাসুল সা.) বললেন, যখন কোনো ব্যক্তি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে তখন কথা বলার সময় মিথ্যা বলে এবং ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে। -সহিহ বোখারি : ৮৩২