শবে বরাত ২৫ ফেব্রুয়ারি

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ২৫ ফেব্রুয়ারি, রোববার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালন করা হবে। মুসলিম উম্মাহর কাছে রাতটি অত্যন্ত বরকত ও ফজিলতপূর্ণ।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের উপস্থিতিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

এর আগে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি ১৪৪৫ হিজরি সনের শাবান মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও শবে বরাতের তারিখ নির্ধারণে বৈঠকে বসে কমিটি। বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। সে হিসেবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।

উল্লেখ্য, শাবান মাসের ১৫তম রাতে (১৪ শাবান দিবাগত রাত) শবে বরাত পালিত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে ‘ভাগ্য রজনী’ হিসেবে পরিচিত লাইলাতুল বরাতের পুণ্যময় রাতটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াতসহ ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটান।

বিজ্ঞাপন

অনেকে গভীর রাত অবধি ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থেকে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে পরদিন নফল রোজা রাখেন। শাবান মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন মুসলমানরা। রমজানের পর শাবান মাস ইবাদাতের উত্তম সময়। শাবান মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা রাখলে আইয়ামে বিজের রোজার সঙ্গে শবে বরাতের রোজার পুণ্য হয়ে যাবে। এ ছাড়া মাসের শুরুতে, মাঝে ও শেষে রোজা রাখা ফজিলতপূর্ণ আমল।

শবে বরাতের পরের দিন বাংলাদেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকে। এবার এ ছুটি পড়েছে ২৬ ফেব্রুয়ারি (সোমবার)।

হাদিসের ভাষায় এ রাতকে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ তথা পনেরো শাবানের রাত বলা হয়। ‘শবে বরাত’ শব্দটি ফার্সি শব্দ। ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত, ‘বরাত’ অর্থ নাজাত বা মুক্তি। এই দুই শব্দ মিলে অর্থ হয় মুক্তির রজনী। এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে কোরআন মাজিদে সরাসরি নির্দেশনা না থাকলেও হাদিস শরিফে নির্ভরযোগ্য বর্ণনাসূত্রে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

বিখ্যাত সাহাবি হজরত মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহতায়ালা অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তার সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন। -ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫

শাবান মাস শেষে মুসলিমদের সবেচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আনন্দ বার্তা নিয়ে শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান।