শাবান মাসের ফজিলত

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

২৫ ফেব্রুয়ারি রোববার দিবাগত শবেবরাত পালিত হবে, ছবি : সংগৃহীত

২৫ ফেব্রুয়ারি রোববার দিবাগত শবেবরাত পালিত হবে, ছবি : সংগৃহীত

শুরু হয়েছে পবিত্র শাবান মাস। মুসলিম বিশ্বে শাবান মাস এলে চারদিকে ইবাদত-বন্দেগির সুবাতাস বইতে শুরু করে। শাবান মাস থেকেই রমজানের আবহ শুরু হয়। বাংলাদেশে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি রোববার দিবাগত শবেবরাত পালিত হবে।

হাদিসে এ মাসকে ফজিলত ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে অভিহিত করা হয়েছে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) রজবের চাঁদ উঠলে দোয়া করতেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রামাজান।’

বিজ্ঞাপন

অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন। ‘আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন’- এ কথার অর্থ হচ্ছে, রমজান পর্যন্ত আমাদের জীবন দান করুন। যেন আমরা রমজান মাস পেয়ে অধিকহারে ইবাদত-বন্দেগি, রোজা, তারাবি, লাইলাতুল কদরে ইবাদত ও ইতিকাফ ইত্যাদির মাধ্যমে পবিত্র রমজান মাসের ফজিলত লাভে ধন্য হই। এ জন্য রজব মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর রমজানের চাঁদ দেখা পর্যন্ত দোয়াটি পাঠ করা সুন্নত।

যেহেতু রমজান বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ মাস, সেহেতু আগে থেকেই এ মাসের ইবাদত-বন্দেগির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া একজন মুমিনের কর্তব্য। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উপরোক্ত দোয়াই প্রমাণ করে, তিনি রজব মাস শুরু থেকেই রমজানের জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকতেন।

বিজ্ঞাপন

বিভিন্ন হাদিস থেকে প্রমাণিত হয়, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব ও শাবানে রমজানের পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। রমজানে অধিক ইবাদতের জন্য সময়-সুযোগ বের করতেন। মানসিকভাবে তৈরি হতেন। আর এ কারণেই তিনি শাবানের দিন ও তারিখ গুরুত্বসহকারে হিসাব রাখতেন।

হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবানের (দিন, তারিখ হিসাবের) প্রতি এত অধিক লক্ষ্য রাখতেন যা অন্যকোনো মাসের ক্ষেত্রে রাখতেন না। -সুনানে আবু দাউদ : ১/৩১৮

এ কারণে শাবান মাসের দিন-তারিখের হিসাব রাখা সুন্নত এবং মুমিনদের জন্য করণীয়।

শাবান মাসে অধিকহারে নফল রোজা রাখা উত্তম। এ প্রসঙ্গে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। হজরত উন্মে সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী কারিম (সা.)-কে শাবান ও রমজান ব্যতীত দুই মাস একাধারে রোজা রাখতে দেখিনি। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি নবী কারিম (সা.)-কে শাবান মাসের মতো এত অধিক (নফল) রোজা রাখতে আর দেখিনি। এ মাসের অল্প কিছুদিন ব্যতীত বরং বলতে গেলে সারা মাস তিনি নফল রোজা রাখতেন। -জামি তিরমিজি : ১/১৫৫

শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত। অর্থাৎ পনেরো শাবান রাত হচ্ছে পবিত্র শবেবরাত। এ রাতের অশেষ ফজিলত হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। বছরের শ্রেষ্ঠ পাঁচটি রজনীর অন্যতম এ রাত। এ রাতের করণীয় সম্পর্কে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, পনেরো শাবান রাতে (শবেবরাত) তোমরা জেগে থেকে ইবাদত কর এবং পরদিন রোজা রাখ। এ জন্য শবেবরাতে জেগে থেকে ইবাদত করা এবং পরদিন রোজা রাখা উত্তম।