আলোচিত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক স্ত্রীর বদলি হজ আদায় করলেন



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আল জাজিরার ফিলিস্তিন প্রতিনিধি ওয়ায়েল হামদান ইবরাহিম আদ-দাহদুহ, ছবি: সংগৃহীত

আল জাজিরার ফিলিস্তিন প্রতিনিধি ওয়ায়েল হামদান ইবরাহিম আদ-দাহদুহ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবের রাজকীয় মেহমান হিসেবে স্ত্রীর বদলি হজ আদায় করলেন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার ফিলিস্তিন প্রতিনিধি ওয়ায়েল হামদান ইবরাহিম আদ-দাহদুহ। আরব বিশ্বে তিনি ‘আবু হামজা’ নামে পরিচিত।

সৌদি সংবাদমাধ্যমকে জানান, এ নিয়ে দুই বার হজ পালন করেছেন তিনি।

যুদ্ধের সময় ফিলিস্তিনের গাজায় দায়িত্ব পালনকালে তিনি পরিবারের অধিকাংশ সদস্য হারিয়েছেন।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালে আমি আমার স্ত্রীকে হারিয়েছি। আমার স্ত্রীর রয়ে যাওয়া ফরজ হজ আদায় করতে পেরে আমি আনন্দিত। স্ত্রীকে দেওয়া ওয়াদা রক্ষা করাটা আমার হজে বাড়তি আনন্দ যোগ করেছে। আনন্দের আরেকটি কারণ হলো, এটি পৃথিবীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গণ-জমায়েত। মুসলমানদের অধিকাংশই এক স্থানে একই সময়ে হজের উদ্দেশ্যে একত্রিত হোন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা শুরুর পর অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে সর্বশেষ আপডেট বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার জন্য তিনি পৃথিবীব্যাপী প্রসিদ্ধি লাভ করেন।

বিশ্ববাসীর সামনে গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতা তুলে ধরার জন্য তিনি একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি পান। এমনকি একবার তার অবস্থান লক্ষ্য করে হামলাও চালায় ইসরায়েলি সেনারা। গুরুতর আহত হলেও ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। এরপর লোকজন তাকে ‘গাজী’ উপাধিতে ভূষিত করে।

গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় তিনি বেঁচে গেলেও হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনির ন্যায় পৃথক পৃথক ইসরায়েলি হামলায় শহীদ হয়- তার ২ ছেলে, মেয়ে, নাতনি এবং স্ত্রী।

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে তার পরিবারের সদস্যদের লক্ষ্য করে ধারাবাহিক হামলা শুরু হলে তার বড় সন্তান সাংবাদিক হামজা আদ-দাহদুহ (২৭), ভাতিজা আহমদ (৩০) ও মুহাম্মদ আদ-দাহদুহ নির্মমভাবে প্রাণ হারান।

১৬-১৭ জানুয়ারিতে কাতার ও মিসরীয় সাংবাদিকদের সিন্ডিকেটের তৎপরতায় ওয়ায়েল আদ-দাহদুহকে গাজা থেকে প্রথমে মিসর তারপর কাতারে সরিয়ে আনা হয়। এর আগে তার অন্য ৪ সন্তানকে মিসর নেওয়া হয়।

সন্তানদের মাধ্যমে হজের স্বপ্ন পূরণ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মুহাম্মদ ইউনুস সাফওয়ান,  ছবি: সংগৃহীত

মুহাম্মদ ইউনুস সাফওয়ান, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে হজ থেকে ফেরা মুহাম্মদ ইউনুস সাফওয়ান শিশুদের মতো তার দুই ছেলেক বুকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ কেঁদে চলছেন। এ কান্না কিন্তু স্বজনদের থেকে কয়েকদিন দূরে থাকার বেদনা থেকে নয়, এটা স্বপ্ন পূরণের কান্না; আনন্দের কান্না।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে মুহাম্মদ ইউনুস বলছিলেন, ‘যৌবনে আমি হজে যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সে সময় আমার ভাগ্য সহায় ছিল না, তেমন রোজগার করতে পারতাম না। কিন্তু এই শিশুরা (বর্তমানে তরুণ) আমার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সহায়তা করেছে।’

মালয়েশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জোহরের বাসিন্দা ৬৬ বছর বয়সী মুহাম্মদ ইউনুস সাফওয়ান তার হজযাত্রার কাহিনী এভাবেই বর্ণনা করছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি অনেক কষ্টের ও সীমাবদ্ধ জীবন কাটিয়েছি। গত ৩০ বছর মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করি, বেতন খুবই সীমিত।’

কিন্তু আমার একটাই স্বপ্ন ছিল, অবসরের আগে হজ করা। শুরুতে মনে হয়েছিল, এক থেকে দুই বছরের মধ্যে হজের টাকা জোগাড় করব। হজের জন্য আবেদন জমা দিয়েছিলাম কিন্তু সংসারের খরচ এবং জীবনের চাহিদা পূরণের জন্য আমাকে ২০ বছর ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমার সমস্ত সঞ্চয় ব্যয় হয়ে যায়। পরে ভাবি, অবসরে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে হজের ফরজ আদায় করব।

মুহাম্মদ ইউনুস আরও বলেন, এই বছরের শুরুতে একটি ভালো খবর পাই। মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ আমার হজের অনুরোধ অনুমোদন করেন।

‘আমি এই খবরে খুশি হই, কিন্তু আমার হৃদয় বিষণ্ণ ছিল। কারণ অর্থ সংগ্রহ করা হয়নি, এমতাবস্থায় আমার সন্তানরা এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাকে সমর্থন করেছে এবং এক লাখেরও বেশি সৌদি রিয়াল দিয়ে আমাকে অবাক করেছে।’

মালয়েশিয়ান এই হাজি বলেন, মক্কায় পৌঁছে কাবার সামনে সন্তানদের কল্যাণের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করে। তারা আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছা পূরণে সহায়তা করেছে, তাদেরও স্বপ্ন পূরণে আল্লাহ সহায়তা করবেন।

তিনি বলেন, পরিবারের ঐক্য ও শক্তির সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা হয় না এবং এই সুখের কোনো তুলনা নেই।

;

নেকি লাভ ও গোনাহ মাফ হয় দরুদ পাঠে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, ছবি: সংগৃহীত

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দরুদ এমন একটি আমল, যার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর করুণা লাভে ধন্য হয়। বান্দা যদি আল্লাহর হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি একবার দরুদ পেশ করে আল্লাহতায়ালা এর প্রতিদানে তার প্রতি দশ বার রহমত বর্ষণ করেন।

নবী কারিম (সা.) বলেন, যে আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করে আল্লাহ তার প্রতি দশবার রহমত বর্ষণ করেন। -সহিহ মুসলিম : ৪০৮

এ জন্য বুজুর্গানে দ্বীন বলে থাকেন, যেকোনো মুশকিল বিষয় সামনে আসলে দরুদের প্রতি মনোযোগী হওয়া চাই। এতে আল্লাহর রহমত বান্দার প্রতি ধাবিত হয়।

দরুদের মাধ্যমে যেভাবে আল্লাহর রহমত লাভ হয় তেমনি এর মাধ্যমে অর্জিত হয় বহু নেকি, মাফ হয় বান্দার গোনাহ। পাশাপাশি বুলন্দ হতে থাকে বান্দার মর্তবাও। হাদিস শরিফে এসেছে, আমার যে উম্মত আমার প্রতি অন্তর থেকে একবার দরুদ পেশ করবে আল্লাহতায়ালা এর বিনিময়ে তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করবেন। তার মর্তবা দশ স্তর পর্যন্ত উন্নীত করবেন। তাকে দশ নেকি দান করবেন এবং তার দশটি গোনাহ মাফ করে দেবেন। -সুনানে নাসায়ি : ১২৯৭

নবীজীর শানে দরুদ প্রেরণের মাধ্যমে এভাবে বান্দার সগিরা গোনাহগুলো ঝরতে থাকে, নেকি বৃদ্ধি পেতে থাকে, দারাজাত বুলন্দ হতে থাকে। তার দেহমন পুত-পবিত্র হয় এবং আত্মিক উৎকর্ষ সাধিত হয়। এক বর্ণনায় এসেছে, তোমরা আমার প্রতি দরুদ পেশ করো। কেননা এটা তোমাদের জন্যে জাকাতস্বরূপ। আর আমার জন্য আল্লাহর নিকট উসিলা তলব (অন্বেষণ) করো। কেননা এটা হচ্ছে জান্নাতের সর্বোচ্চ একটি মাকাম। যা কেবল একজনই লাভ করবে। আমি আশা করি, আমিই হব সেইজন। -মুসনাদে আহমাদ : ৮৭৭০

মোটকথা, জাকাত যেভাবে সম্পদের ময়লা দূর করে তার প্রবৃদ্ধি ঘটায় তেমনি দরুদের আমলও মুমিনের দ্বীন-ঈমানকে কলুষমুক্ত করে তাতে নুর এনে দেয় এবং ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করে। তার পাপগুলো মোচন করে দেয়।

;

যেভাবে সহজ হলো তুর্কি বৃদ্ধ নারীর হজযাত্রা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
৭১ বছর বয়সী তুর্কি নারী গুলশান তোসুন, ছবি: সংগৃহীত

৭১ বছর বয়সী তুর্কি নারী গুলশান তোসুন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘এই বয়সে আমি একা একা ভ্রমণের জন্য গভীর দুশ্চিন্তায় ছিলাম, কিন্তু বিমানবন্দরে পৌঁছে আমার মনে হলো- আমি একা নই। মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের আয়োজন আর অন্য যাত্রীদের আন্তরিকতা আমার হজযাত্রাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে।’

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭১ বছর বয়সী নারী গুলশান তোসুন হজ শেষে নিজ দেশে ফিরে এভাবেই হজযাত্রা নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করছিলেন।

তিনি বলেন, ‘এখন আর কোনো চিন্তা নেই, কারণ আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, সবকিছু ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন তাদের কারও কোনো সমস্যা হয়নি।’

তুর্কি এই নারী স্থানীয় হজ এজেন্সিকে প্রায়ই বলতেন, ‘আমি কি হজে যেতে পারব? এই বয়সে আমি কিভাবে হজের কাজগুলো সম্পাদন করব? তারা আমাকে সাহস জুগিয়েছে, সহযোগিতা করেছে, আমার একাকীত্বকে অনুভব করতে দেয়নি।’

‘আমি হজ পালনের জন্য অস্থির হয়েছিলাম। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে হজের জন্য আবেদন করছিলাম; কিন্তু কোটা জটিলতায় আমাকে ডাকা হয়নি। এই সময়ের মধ্যে আমার স্বামী মারা যায়, আমি একা হয়ে যাই। আর এবারই আমার নাম আসে হজের জন্য’- যোগ করেন তুর্কি ওই নারী।

তিনি বলেন, ‘অবশেষে আমি এক বন্ধুর সঙ্গে হজে যেতে চাই, তবে হজযাত্রার কয়েকদিন সে অসুস্থ হয়ে যায়। আমার মন ভেঙে যায়, আত্মীয়-স্বজনরা আমাকে হজযাত্রা থেকে বিরত থাকতে বলে, কিন্তু আমি এই পবিত্র যাত্রা করতে চাই। তবে চিন্তা ছিল, এই বয়সে ভ্রমণের কষ্ট কিভাবে সইবো। পরে এজেন্সির লোকজন আমার কথা শুনে আমাকে তাদের গ্রুপে নিয়ে নেয়।’

তার প্রতিক্রিয়া, ‘হজের যাত্রা এত সহজ হয়ে যাবে ভাবতেও পারিনি।’

গুলশান বলতে থাকেন, ‘আমি ধন্য। আমার জন্ম স্বার্থক। আমি নিজ চোখে কাবা দেখেছি, রাসুলের রওজায় সালাম দিয়েছি। আমার মনের ঝড় থেমে গেছে। আল্লাহর তার বান্দার ইচ্ছা পূরণ করেছেন।’

;

মসজিদের ইমাম থেকে সংসদ সদস্য



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
লোকসভায় শপথ নিচ্ছেন মুহিব্বুল্লাহ নদভি, ছবি: সংগৃহীত

লোকসভায় শপথ নিচ্ছেন মুহিব্বুল্লাহ নদভি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোমবার (২৪ জুন) দুপুর ১টা। ভারতের পার্লামেন্ট ভবনের বিপরীতে অবস্থিত মসজিদে মুসল্লিরা এসেছেন জোহরের নামাজের জন্য, অথচ ইমামের দেখা নেই; তার রুমেও তালা ঝুলছে। অপেক্ষমান মুসিল্লদের মাঝে চলছিল কৌতূহলী আলোচনা, ‘ইমাম সাহেব কি আজ নামাজের ইমামতি করার সময় পাবেন?’

আলোচনা শেষ হতে না হতেই দেখা গেল, ৪৮ বছর বয়সী ইমাম মাওলানা মহিব্বুল্লাহ নদভি মসজিদে হাজির। নির্ধারিত সময়েই নামাজ শুরু হয়। নামাজ শেষে ইমাম সাহেব আবার চলে যান পার্লামেন্ট ভবনে।

সেই মসজিদের ইমাম এবার লোকসভার সদস্য হয়েছেন। মাওলানা মহিব্বুল্লাহ নদভি ভারতের উত্তর প্রদেশের রামপুর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় প্রথম সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে ব্যস্ত ছিলেন। সমাজবাদী পার্টির সাইকেল প্রতীকে তিনি বিজেপির এমপি ঘনশ্যাম লোধিকে ৮৭ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত করে সংসদে এসেছেন।

দিল্লির সংসদ ভবনের ঠিক উল্টো দিকের মসজিদটি সংসদ মার্গ বা সংসদওয়ালি মসজিদ নামে পরিচিত। মুঘল আমলে নির্মিত মসজিদটি আয়তনে বড় হলেও সেটিতে লোকজনের আনাগোনা কম। এলাকার হাতেগোনা কয়েকজন ব্যবসায়ী শুক্রবার জুমার নামাজে শরিক হন, অন্যান্য দিন মুসল্লির সংখ্যা খুব হয় না।

এই মসজিদে নামাজ পড়েছেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি জাকির হোসেন, ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ এবং এপিজে আব্দুল কালাম। প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি মুহাম্মদ হামিদ আনসারিসহ বিভিন্ন সময় মন্ত্রী-এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারীরা। এমনকি বিদেশি মুসলিম অতিথিরাও এই মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করেন।

বিজেপির টিকিটে বহু হিন্দু সাধুসন্ত সংসদ সদস্য হয়েছেন। তারা গেরুয়া পোশাক পরেই সংসদে যান। কেউ কেউ মন্ত্রী। এবারও জিতেছেন বেশ কয়েকজন গেরুয়াবসনধারী। সেই ভিড়ে ভিন্ন চেহারা, ভিন্ন পোশাকে দেখা যাবে মাঝবয়সি ইমাম নদভিকে।

সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বারক ও অখিলেশ যাদবের মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, ছবি: সংগৃহীত

রামপুরের সুয়ার অঞ্চলের রাজানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন, মাওলানা মহিব্বুল্লাহ লখনউর দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামায় যাওয়ার আগে জেলার জামেউল উলুম ফুরকানিয়া থেকে কোরআনের হাফেজ হন। পরে দিল্লিতে চলে যান, যেখানে তিনি আরবি ভাষায় স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং ২০০৫ সালে পার্লামেন্ট স্ট্রিট মসজিদে ইমামের চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া থেকে ইসলামিক স্টাডিজে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

ইমাম হয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে কীভাবে আসলেন, এমন প্রশ্নে মাওলানা নদভি জানান, সমাজবাদী পার্টির পাঁচবারের সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বারক এই মসজিদে নিয়মিত নামাজে আসতেন। তিনি আমাকে গত জানুয়ারিতে লখনউতে সমাজবাদী পার্টির সদর দফতরে সভাপতি অখিলেশ যাদবের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এর কিছু দিন পর সম্বলের সংসদ সদস্য বারক ইন্তেকাল করেন। কিন্তু অখিলেশের সঙ্গে আমার যোগযোগ থাকে। তিনি আমাকে রামপুর থেকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেন। আমিও রাজি হয়ে যাই।

ভবিষ্যত নিয়ে সংসদ সদস্য মাওলানা মহিব্বুল্লাহ বলেন, আগামী পাঁচ বছর সংসদে রামপুরের বেকারত্ব, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলব। তার মতে, ‘আমার ফোকাস থাকবে এই তিনটি বিষয়ে। এ জন্য ইউপির মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হলে, তাও করব।

এখনও কি মসজিদে ইমামতিও চালিয়ে যাবেন? ‘নামাজে খুব কম সময় লাগে। আর সংসদ ভবন এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে আমার বাসভবনের দূরত্ব মাত্র ৫০ গজ। সোমবার সংসদের প্রথম দিন ছিল, আমি নামাজের ইমামতিও করেছি এবং সংসদেও উপস্থিত ছিলাম’ তিনি বলেছিলেন।

সোমবার বিকাল সোয়া পাঁচটায় মাওলানা মহিব্বুল্লাহ আবার সংসদ ভবন থেকে বের হয়ে রাস্তা পার হয়ে আসরের নামাজ পড়তে মসজিদে প্রবেশ করেন। মঙ্গলবার তিনি এমপি হিসেবে শপথ নেন। শপথ নিয়ে ফিরে এসে কথা দিয়েছেন, ‘ইমামের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সংসদ এবং রামপুরের প্রতিও কর্তব্য পালন করবেন।’

;