আলোচিত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক স্ত্রীর বদলি হজ আদায় করলেন
সৌদি আরবের রাজকীয় মেহমান হিসেবে স্ত্রীর বদলি হজ আদায় করলেন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার ফিলিস্তিন প্রতিনিধি ওয়ায়েল হামদান ইবরাহিম আদ-দাহদুহ। আরব বিশ্বে তিনি ‘আবু হামজা’ নামে পরিচিত।
সৌদি সংবাদমাধ্যমকে জানান, এ নিয়ে দুই বার হজ পালন করেছেন তিনি।
যুদ্ধের সময় ফিলিস্তিনের গাজায় দায়িত্ব পালনকালে তিনি পরিবারের অধিকাংশ সদস্য হারিয়েছেন।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালে আমি আমার স্ত্রীকে হারিয়েছি। আমার স্ত্রীর রয়ে যাওয়া ফরজ হজ আদায় করতে পেরে আমি আনন্দিত। স্ত্রীকে দেওয়া ওয়াদা রক্ষা করাটা আমার হজে বাড়তি আনন্দ যোগ করেছে। আনন্দের আরেকটি কারণ হলো, এটি পৃথিবীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গণ-জমায়েত। মুসলমানদের অধিকাংশই এক স্থানে একই সময়ে হজের উদ্দেশ্যে একত্রিত হোন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা শুরুর পর অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে সর্বশেষ আপডেট বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার জন্য তিনি পৃথিবীব্যাপী প্রসিদ্ধি লাভ করেন।
বিশ্ববাসীর সামনে গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতা তুলে ধরার জন্য তিনি একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি পান। এমনকি একবার তার অবস্থান লক্ষ্য করে হামলাও চালায় ইসরায়েলি সেনারা। গুরুতর আহত হলেও ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। এরপর লোকজন তাকে ‘গাজী’ উপাধিতে ভূষিত করে।
গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় তিনি বেঁচে গেলেও হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনির ন্যায় পৃথক পৃথক ইসরায়েলি হামলায় শহীদ হয়- তার ২ ছেলে, মেয়ে, নাতনি এবং স্ত্রী।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে তার পরিবারের সদস্যদের লক্ষ্য করে ধারাবাহিক হামলা শুরু হলে তার বড় সন্তান সাংবাদিক হামজা আদ-দাহদুহ (২৭), ভাতিজা আহমদ (৩০) ও মুহাম্মদ আদ-দাহদুহ নির্মমভাবে প্রাণ হারান।
১৬-১৭ জানুয়ারিতে কাতার ও মিসরীয় সাংবাদিকদের সিন্ডিকেটের তৎপরতায় ওয়ায়েল আদ-দাহদুহকে গাজা থেকে প্রথমে মিসর তারপর কাতারে সরিয়ে আনা হয়। এর আগে তার অন্য ৪ সন্তানকে মিসর নেওয়া হয়।