যেভাবে সহজ হলো তুর্কি বৃদ্ধ নারীর হজযাত্রা

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

৭১ বছর বয়সী তুর্কি নারী গুলশান তোসুন, ছবি: সংগৃহীত

৭১ বছর বয়সী তুর্কি নারী গুলশান তোসুন, ছবি: সংগৃহীত

‘এই বয়সে আমি একা একা ভ্রমণের জন্য গভীর দুশ্চিন্তায় ছিলাম, কিন্তু বিমানবন্দরে পৌঁছে আমার মনে হলো- আমি একা নই। মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের আয়োজন আর অন্য যাত্রীদের আন্তরিকতা আমার হজযাত্রাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে।’

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭১ বছর বয়সী নারী গুলশান তোসুন হজ শেষে নিজ দেশে ফিরে এভাবেই হজযাত্রা নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করছিলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘এখন আর কোনো চিন্তা নেই, কারণ আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, সবকিছু ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন তাদের কারও কোনো সমস্যা হয়নি।’

তুর্কি এই নারী স্থানীয় হজ এজেন্সিকে প্রায়ই বলতেন, ‘আমি কি হজে যেতে পারব? এই বয়সে আমি কিভাবে হজের কাজগুলো সম্পাদন করব? তারা আমাকে সাহস জুগিয়েছে, সহযোগিতা করেছে, আমার একাকীত্বকে অনুভব করতে দেয়নি।’

বিজ্ঞাপন

‘আমি হজ পালনের জন্য অস্থির হয়েছিলাম। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে হজের জন্য আবেদন করছিলাম; কিন্তু কোটা জটিলতায় আমাকে ডাকা হয়নি। এই সময়ের মধ্যে আমার স্বামী মারা যায়, আমি একা হয়ে যাই। আর এবারই আমার নাম আসে হজের জন্য’- যোগ করেন তুর্কি ওই নারী।

তিনি বলেন, ‘অবশেষে আমি এক বন্ধুর সঙ্গে হজে যেতে চাই, তবে হজযাত্রার কয়েকদিন সে অসুস্থ হয়ে যায়। আমার মন ভেঙে যায়, আত্মীয়-স্বজনরা আমাকে হজযাত্রা থেকে বিরত থাকতে বলে, কিন্তু আমি এই পবিত্র যাত্রা করতে চাই। তবে চিন্তা ছিল, এই বয়সে ভ্রমণের কষ্ট কিভাবে সইবো। পরে এজেন্সির লোকজন আমার কথা শুনে আমাকে তাদের গ্রুপে নিয়ে নেয়।’

তার প্রতিক্রিয়া, ‘হজের যাত্রা এত সহজ হয়ে যাবে ভাবতেও পারিনি।’

গুলশান বলতে থাকেন, ‘আমি ধন্য। আমার জন্ম স্বার্থক। আমি নিজ চোখে কাবা দেখেছি, রাসুলের রওজায় সালাম দিয়েছি। আমার মনের ঝড় থেমে গেছে। আল্লাহর তার বান্দার ইচ্ছা পূরণ করেছেন।’