ইসলামে জাদু কেন নিষিদ্ধ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইসলামি শরিয়তে জাদুবিদ্যার চর্চা নিষিদ্ধ, কোলাজ: বার্তা২৪.কম

ইসলামি শরিয়তে জাদুবিদ্যার চর্চা নিষিদ্ধ, কোলাজ: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাচীনকাল থেকে পৃথিবীতে জাদুবিদ্যার চর্চা হয়ে আসলেও এটা কখনো সভ্যতা-সংস্কৃতির মূলধারার কাজ বলে বিবেচিত হয়নি। বরং জাদু মানুষের ভেতরে আশা ও আস্থার পরিবর্তে ভয়ই বেশি সৃষ্টি করেছে। ইসলামি শরিয়তে জাদুবিদ্যার চর্চা নিষিদ্ধ। ইসলাম জাদুচর্চাকারীদের জন্য ইহকাল ও পরকালে কঠোর শাস্তি ঘোষণা করেছে।

কোরআন ও হাদিসের ভাষ্য মতে, জাদুবিদ্যার মূল উৎস শয়তান ও দুষ্টু জিন। তারাই মানব সমাজে জাদুবিদ্যার প্রসার ঘটিয়েছিল। জাদুকরদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আরো এই যে কতিপয় মানুষ কতক জিনের শরণাপন্ন হতো, ফলে তারা জিনদের অহংকার বাড়িয়ে দিত।’ -সুরা জিন : ৬

হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, লোকজন নবী কারিম (সা.)-কে জ্যোতিষদের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করল (যারা তৎকালীন যুগে জাদুও চর্চা করত)। তিনি বললেন, তারা মূলত কিছুই নয়। তারা জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর রাসুল! কখনো কখনো তারা তো এমন কিছু কথাও বলে ফেলে যা সত্য হয়। এতে নবী কারিম (সা.) বললেন, এসব কথা সত্য। জিনরা এসব কথা প্রথম শোনে, (মনে রেখে) পরে এদের দোসরদের কানে মুরগির মতো করকর ধ্বনিতে নিক্ষেপ করে দেয়। এরপর এসব জ্যোতিষী সামান্য সত্যের সঙ্গে শত মিথ্যার মিশ্রণ ঘটায়। -সহিহ বোখারি : ৭৫৬১

আলেমরা বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন যে, জাদু শেখা, শেখানো এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রাখা হারাম। আল্লামা ইবনে কুদামা (রহ.) লেখেন, নিশ্চয়ই জাদু শেখা এবং তা শেখানো হারাম। এই বিষয়ে আলেমদের কোনো মতভিন্নতা নেই। -আল মুগনি : ১০/১০৬

ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক ও ইমাম আহমদ (রহ.)-সহ বেশিরভাগ ইমামের মতে জাদুবিদ্যা চর্চা করা কুফরি। তারা নিম্নোক্ত আয়াত দ্বারা দলিল পেশ করেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘সোলায়মান কুফরি করেনি, কিন্তু শয়তানগুলো কুফরি করেছে। তারা মানুষকে জাদু শিক্ষা দিয়েছে।’ -সুরা বাকারা : ১০২

কোরআন ও হাদিসে জাদুর ভয়াবহতা নানাভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এর কয়েকটি হলো-

জাদু ধ্বংসাত্মক কাজ : হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) জাদু থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, তোমরা ধ্বংসাত্মক বিষয় পরিহার করো। তা হলো, আল্লাহর সঙ্গে শিরিক ও জাদু। -সহিহ বোখারি : ৫৭৬৪

জাদু কুফরি : নবী কারিম (সা.) জাদুকরের কাছে যাওয়া ও তার কথা সত্যায়ন করাকে কুফরি বলেছেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কোনো (জাদুকর) জ্যোতিষীর কাছে গেল এবং তার কথা সত্যায়ন করল, সে মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি অবতীর্ণ বিষয়গুলো অস্বীকার করল। -সুনানে ইবনে মাজাহ : ৬৩৯

মন্দ কাজে উদ্বুদ্ধ করে : জাদুবিদ্যা অর্জন করলে তা মানুষকে মন্দ কাজে উদ্বুদ্ধ করে। যেমন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের (হারুত-মারুত) উভয়ের কাছ থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যা বিচ্ছেদ সৃষ্টি করে তা শিক্ষা করত, অথচ আল্লাহর নির্দেশ ছাড়া তারা কারো কোনো ক্ষতিসাধন করতে পারত না। তারা যা শিক্ষা করত তা তাদের ক্ষতিসাধন করত এবং কোনো উপকারে আসত না; আর তারা নিশ্চিতভাবে জানত যে ব্যক্তি তা ক্রয় করে পরকালে তার কোনো অংশ নেই। তা কত নিকৃষ্ট যার বিনিময়ে তারা স্বীয় আত্মাকে বিক্রি করেছে, যদি তারা জানত!’ -সুরা বাকারা : ১০২

দণ্ডনীয় অপরাধ : ইসলামের দৃষ্টিতে জাদু দণ্ডনীয় অপরাধ। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জাদুকরের শাস্তি হলো- তরবারির আঘাতে মৃত্যুদণ্ড। -সুনানে তিরমিজি : ১৪৬০

ইমাম শাফেয়ি (রহ.) বলেন, জাদু যদি কুফরির পর্যায়ভুক্ত হয় তবে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। আর কুফরির চেয়ে নিম্নতর হলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না। -সুনানে তিরমিজি

আমল নষ্ট করে : জাদুর সঙ্গে সম্পৃক্ত আমল নিষ্ফল করে দেয়। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি গণকের কাছে যাবে তার ৪০ দিনের আমল গ্রহণ করা হয় না। -সহিহ মুসলিম : ২২৩০

জাদু প্রকৃতপক্ষে অন্তঃসারশূন্য একটি বিষয়। যার প্রভাব সাময়িক। জাদু ও জাদুকরদের ব্যর্থতা অপরিহার্য। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা যা করেছে তা তো কেবল জাদুকরের কৌশল। জাদুকর যেখানেই আসুক সফল হবে না।’ -সুরা ত্বহা : ৬৯

তাসবিহে ফাতেমির অবাক করা ফজিলত



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
তাসবিহে ফাতেমি, ছবি: সংগৃহীত

তাসবিহে ফাতেমি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি আমল তাসবিহে ফাতেমি, যা মুমিনরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আমল করে থাকেন। তাসবিহে ফাতেমি হলো- বিশেষ কিছু জিকির, যা নবী কারিম (সা.) তার কলিজার টুকরা কন্যাকে শিক্ষা দিয়েছেন।

হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, হজরত আলী (রা.) বলেন, একবার ফাতেমা (রা.) জাঁতা (গম পেষার যন্ত্র বিশেষ) ব্যবহারে তার হাতে যে কষ্ট পেতেন তার অভিযোগ নিয়ে নবী কারিম (সা.)-এর কাছে এলেন। কেননা তার কাছে নবী (সা.)-এর নিকট কিছু দাস আসার খবর পৌঁছে ছিল।

কিন্তু তিনি নবী (সা.)-কে পেলেন না। তিনি তার অভিযোগ আম্মাজান আয়েশা (রা.)-এর কাছে বলেন। নবী কারিম (সা.) ঘরে এলে হজরত আয়েশা (রা.) বিষয়টি তাকে জানালেন।

হজরত আলী (রা.) বলেন, রাতে আমরা যখন শুয়ে পড়েছিলাম, তখন তিনি (নবীজি) আমাদের কাছে এলেন। আমরা উঠতে চাইলাম, কিন্তু তিনি বলেন, তোমরা উভয়ে নিজ স্থানে থাকো। তিনি এসে আমার ও ফাতেমার মাঝখানে বসলেন। এমনকি আমি আমার পেটে তার দুই পায়ের শীতলতা উপলব্ধি করলাম। তারপর তিনি বললেন, তোমরা যা চেয়েছ তার চেয়ে কল্যাণকর বিষয় সম্পর্কে তোমাদের কি জানাবো না? তোমরা যখন তোমাদের শয্যাস্থানে যাবে, অথবা বললেন, তোমরা যখন তোমাদের বিছানায় যাবে, তখন তেত্রিশবার ‘সুবহানাল্লাহ’, তেত্রিশবার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ এবং চৌত্রিশবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে। এটা খাদেম অপেক্ষা তোমাদের জন্য অধিক কল্যাণকর। -সহিহ বোখারি : ৫৩৬১

সুবহানাল্লাহ, এই বিশেষ জিকিরগুলো, বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে করার নির্দেশনা হাদিসে পাওয়া যায়, প্রতিটিতেই এই আমলটির বিশেষ ফজিলত আছে। যেমন প্রতি নামাজের পর এই আমল করলে সাগরের ফেনা পরিমাণ গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি ওয়াক্ত নামাজের শেষে তেত্রিশবার আল্লাহর তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ) বা পবিত্রতা বর্ণনা করবে, তেত্রিশবার আল্লাহর তামহিদ (আলহামদুলিল্লাহ) বা আল্লাহর প্রশংসা করবে এবং তেত্রিশবার তাকবির বা আল্লাহর মহত্ত্ব (আল্লাহু আকবার) বর্ণনা করবে আর এভাবে নিরানব্বইবার হওয়ার পর শততম পূর্ণ করতে বলবে ‘লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারিকা লাহু লাহুল মুল্কু ওয়ালাহুল হাম্দু ওয়াহুওয়া আলা-কুল্লি শাইয়িন্ ক্বাদির’ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক ও তার কোনো অংশীদার নেই।

সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী একমাত্র তিনিই। সব প্রশংসা তারই প্রাপ্য। তিনি সব কিছু করতে সক্ষম- তার গোনাহসমূহ সমুদ্রের ফেনারাশির মতো অসংখ্য হলেও ক্ষমা করে দেওয়া হয়। -সহিহ মুসলিম : ১২৩৯

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত কাব ইবনে উজরা (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, এমন কতগুলো তাসবিহ রয়েছে যার পাঠকারী তার সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে না। প্রত্যেক নামাজের পর সে সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার এবং আল্লাহু আকবর ৩৪ বার বলবে। -সুনানে নাসায়ি : ১৩৪৯

;

মদিনার আল-সাফিয়া জাদুঘর দেখতে হাজিদের ভিড়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আল-সাফিয়া জাদুঘর মদিনা, ছবি: সংগৃহীত

আল-সাফিয়া জাদুঘর মদিনা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র হজ শেষে হাজিদের অনেকেই মদিনা সফর করছেন। মদিনায় ঐতিহাসিক জায়গাগুলো ঘুরে দেখার পাশাপাশি তারা দেখছেন আল সাফিয়া জাদুঘর ও পার্ক।

মদিনায় অবস্থিত আল সাফিয়া জাদুঘর ও পার্কটি ইতিহাস সন্ধানী দর্শনার্থীদের মনোযোগের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। জাদুঘরের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ এবং দর্শনার্থীদের জন্য শিক্ষা ও বিনোদনমূলক নানা কার্যক্রম দেখতে অনেকেই ছুটে আসেন মদিনায়।

পবিত্র নগরীর ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জাদুঘরটি স্থাপত্য নকশা করা হয়েছে। রয়েছে একটি বড়সড় প্রদর্শনী হল, আকর্ষণীয় ফোয়ারা, সাংস্কৃতিক উদ্যান, কৃত্রিম জলপথ, শপিং সেন্টার, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে এবং অন্যান্য বিনোদনমূলক ব্যবস্থা। জাদুঘরটি ৪ হাজার ৪০০ বর্গমিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে নির্মিত ভবনে মদিনার মসজিদে নববির দক্ষিণে অবস্থিত।

জাদুঘরের বিভিন্ন পয়েন্টে সাউন্ড সিস্টেমসহ বড় পর্দা বসানো হয়েছে দর্শনার্থীদের আনন্দের জন্য। সারা বিশ্ব থেকে আসা দর্শনার্থীরা মদিনায় অবস্থানকালে আল সাফিয়া জাদুঘর পরিদর্শন করে জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে পারেন।

জাদুঘরে দর্শনার্থীদের ভিড়, ছবি: সংগৃহীত

এই জাদুঘরের বিশেষত্ব হলো- মহাবিশ্বের সূচনাসহ সৃষ্টিজগতের ওপর বহু ভাষার ডকুমেন্টারি। এ ছাড়া রয়েছে নবী-রাসুলদের গল্প। মহাবিশ্বের সূচনা সম্পর্কে একাধিক ভাষার প্রতিবেদন। বিস্তৃত ডিসপ্লেতে উপস্থাপিত এসব ডকুমেন্টারি আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানকার প্রদর্শনীতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

মদিনা অঞ্চল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টায় স্থাপিত প্রকল্পটি দর্শনার্থীদের জন্য ধর্মীয় ঐতিহ্যের জ্ঞান বৃদ্ধির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আগ্রহ বাড়ায়।

চলতি বছরের মার্চ মাসে জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন মদিনার গভর্নর এবং মদিনা অঞ্চল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এমডিএ) চেয়ারম্যান প্রিন্স সালমান বিন সুলতান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবের হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রী তওফিক আল-রাবিয়া, মদিনার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স সৌদ বিন খালিদ আল-ফয়সাল।

জাদুঘর উদ্বোধনকালে মদিনার গভর্নর বলেন, আল-সাফিয়া জাদুঘর সভ্যতা ও জ্ঞানের একটি নতুন উৎস এবং মদিনার ইতিহাসে একটি স্বতন্ত্র চিহ্নের প্রতিনিধিত্ব করে। এটা দর্শনার্থীদের ধর্মীয় অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ ও গভীর করতে বিশাল ভূমিকা রাখবে।

;

এখনও এমন প্রতিবেশী আছে!



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নিমার্ণকাজের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে টানানো সাইনবোর্ড, ছবি: সংগৃহীত

নিমার্ণকাজের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে টানানো সাইনবোর্ড, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আমার প্রিয় প্রতিবেশী! নবী মুহাম্মদ (সা.) প্রতিবেশীদের অধিকার সম্পর্কে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন। বাড়ির নির্মাণ কাজের জন্য আপনাদের যে ঝামেলা হচ্ছে, যেসব অসুবিধার মুখোমুখি হতে হচ্ছে- সে জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আশা করি, নিমার্ণকাজ কাজ শিগগিরই শেষ হবে এবং আমি আবার আপনার সুন্দর এলাকায় থাকতে পেরে সম্মানিতবোধ করব। কোনো অভিযোগ থাকলে আমার দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। আপনার ভাই, সালমান আল-সুলামি।’

সৌদি আরবের এক ব্যক্তি তার নির্মাণাধীন বাড়ির সামনে এমন একটি ব্যানার লাগিয়েছেন তার প্রতিবেশীদের উদ্দেশে। যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, বাড়ির নির্মাণ কাজ চলাকালে উচ্চ আওয়াজসহ নানা রকম সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে প্রতিবেশীদের। এর ফলে, ইসলাম ঘোষিত প্রতিবেশীর অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে। এ জন্য এভাবে বাড়ি নির্মাতা ক্ষমা চেয়েছেন অন্য প্রতিবেশীদের কাছে।

এ ঘটনাকে অনেকে বিরল বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই সাইনবোর্ডের ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

তবে ঘটনাটি সৌদি আরবের কোন অঞ্চলের তা জানা যায়নি।

একজন লিখেছেন, যেকোনো বিষয়ে ক্ষমা বা দুঃখ প্রকাশ অবশ্যই আন্তরিকতার সঙ্গে চাওয়া উচিত। অন্যথায়, এর উদ্দেশ্য নষ্ট হয়। এখানে লিখিত প্রতিটি শব্দে আন্তরিকতা প্রকাশ পেয়েছে।

নির্মাণকাজ সর্বদাই প্রতিবেশী এবং এলাকার বাসিন্দাদের বিরক্তির কারণ হয়। বিরক্তিকর নানা শব্দ আরামের ব্যাঘাত ঘটায়। এটা নতুন কিছু নয়। কেউ তা অনুধাবণ করেন, কেউ করেন না। সালমান আল সুলামি যে মানবিক ভঙ্গিতে সাইনবোর্ডে দুঃখপ্রকাশ করেছেন, তা শিক্ষণীয়।

আল বাকি নামের একজন লিখেছেন, ‘সালমান! আপনি চমৎকার একটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। আমি আশা করি, আমাদের বিরক্তিকর প্রতিবেশীরা আপনার কাছ থেকে রুচি ও পরিশীলিত আচরণ শিখবে।’

;

মসজিদে নববিতে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আরও উন্নত সেবা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মসজিদে নববিতে প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধদের নামাজের স্থান, ছবি: সংগৃহীত

মসজিদে নববিতে প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধদের নামাজের স্থান, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মসজিদে নববিতে নামাজ আদায় ও রাসুলের রওজায় সালাম পেশসহ জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ মুসল্লি মদিনায় জমায়েত হন। তাদের মাঝে অনেকেই এমন আছেন, যারা শারীরিকভাবে অন্যদের চাইতে আলাদা। তারা অন্যদের মতো চলাফেরা করতে পারেন না। এই প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য মসজিদে হারামের পরিচালনা পরিষদ সেবার পরিধি বাড়িয়েছে।

‘দ্য জেনারেল অথরিটি ফর দ্য অ্যাফেয়ার্স অফ টু হলি মস্ক’ মদিনার মসজিদে নববিতে আগত বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বোত্তম সেবা প্রদানের জন্য কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতির কোরআনে কারিমের পাণ্ডুলিপির ব্যবস্থাসহ প্রতিবন্ধীদের পথ দেখানোর জন্য বিশেষ গাইড নিয়োগ করা হয়েছে।

সম্প্রতি বয়স্ক ও চলাচলে অক্ষম প্রতিবন্ধীদের জন্য মসজিদের প্রবেশপথগুলোর কাছে দশটি নামাজের জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট করা জায়গাগুলো হলো- মসজিদে নবরি উত্তর সম্প্রসারণে চারটি, পশ্চিম সম্প্রসারণে তিনটি এবং পূর্ব সম্প্রসারণে তিনটি। স্থানগুলো বিশেষভাবে ঘেরাও করে রাখা এবং সেখানে বিশেষ চিহ্ন সম্বলিত সাইনবোর্ডও রয়েছে।

এ ছাড়া মসজিদে নববির ছাদে শ্রবণ প্রতিবন্ধী এবং মূকদের জন্য বিশেষ কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে ১০০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। এখানে উপস্থিত মুসল্লিদের সাংকেতিক ভাষায় ব্যাখ্যার মাধ্যমে জুমার খুতবার বিষয়বস্তু বোঝানের ব্যবস্থা রয়েছে।

এসব সেবার বাইরে বৃদ্ধ ও অসুস্থ মুসল্লিদের চলাচলের জন্য বিনামেূল্যে ইলেকট্রিক গলফ কার্ট, হুইলচেয়ার রয়েছে মসিজদে নববির প্রবেশপথগুলোতে। মসজিদে নববিতে অন্তত ১ হাজার হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমাগত বয়স্ক ও অসুস্থ মুসল্লিদের সেবাদানের জন্য এ ব্যবস্থা করেছে মসজিদে নববি কর্তৃপক্ষ। ১ হাজার হুইল চেয়ারের পাশাপাশি মসজিদের অভ্যন্তরে ও আঙ্গিনায় আরও ১০ হাজার সাধারণ চেয়ারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে জিয়ারতকারীরা আরামের সঙ্গে ইবাদত-বন্দেগি করতে পারেন।

;