বানভাসিদের পাশে দাঁড়ানোর সওয়াব
কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বন্যাকবলিত মানুষ তীব্র কষ্টে আছেন। পানি বিপদসীমার বাইরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রায় ৯০ শতাংশ ঘরবাড়ি পানির নিচে। এই মুহূর্তে তাদের বেশি প্রয়োজন নৌকা নিয়ে উদ্ধার করা। ওষুধ ও খাবারসামগ্রীসহ পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তা। আমাদের উচিত তাদের সেবায় এগিয়ে আসা। মুখে মানবসেবা ও দেশপ্রেমের স্লোগান দেওয়া এক জিনিস আর বাস্তবে তাদের সেবায় এগিয়ে আসা মাঠে ময়দানে কাজ করা ভিন্ন জিনিস।
মুসলিম উম্মাহ একই দেহের ন্যায়। এক অঙ্গ আক্রান্ত হলে পুরো দেহে তার ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে। তদ্রুপ কোনো এলাকায় মুসলমান আক্রান্ত হলে পুরো উম্মাহ ব্যথিত হয়ে তাদের সেবায় এগিয়ে আসা উচিত। মানবসেবার চেয়ে উত্তম কোনো কাজ আর হতে পারে না। বিপদগ্রস্তদের সেবা করা মানে আল্লাহর সেবা করা।
হাদিসে আছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দুনিয়ার একটি বিপদ দূর করবে, আল্লাহতায়ালা কেয়ামত দিবসের (তার) বিপদসমূহ থেকে একটি বিপদ দূর করে দেবেন। যে অভাবগ্রস্তকে সচ্ছল করবে, আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখেরাতে সচ্ছলতা দান করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ ঢেকে রাখবে আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষত্রুটি ঢেকে রাখবেন। বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্যে নিয়োজিত থাকে আল্লাহ ততক্ষণ তার সাহায্য করতে থাকেন।’ - সহিহ মুসলিম : ২৬৯৯
এখন বিপদের সময়, দেশের বিত্তবান ও সামর্থ্যবানেরা এগিয়ে আসুন। এখনই সময় পূণ্যপাহাড় অর্জনের। অশেষ নেকি লাভের। আমরাও সামর্থ্যানুযায়ী এই দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন সেবা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারি। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আবেদন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতিকল্পে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ দেশের জনগণ আপনার পাশে থাকবে- ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা সৎ ও আল্লাহভীরুতার কাজে একে অন্যের সহায়তা করো এবং পাপ ও অন্যায় কাজে পরস্পরকে সাহায্য করো না।’ -সূরা মায়েদা : ২