রমজানের আগমনী বার্তা নিয়ে রজব মাস শুরু

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানের আগমনী বার্তা নিয়ে রজব মাস শুরু, ছবি: সংগৃহীত

রমজানের আগমনী বার্তা নিয়ে রজব মাস শুরু, ছবি: সংগৃহীত

সন্ধ্যায় পশ্চিমাকাশে দেখা গেছে পবিত্র রজব মাসের চাঁদ। কাল থেকে শুরু হবে আরবি সনের সপ্তম মাস- রজব। রজবের শাব্দিক অর্থ সম্মান করা। আরবরা এ মাসকে ‘শাহরুল্লাহ’ বা আল্লাহর মাস বলত এবং যথেষ্ট সম্মান করত। এ জন্য এ মাসের নাম রাখা হয়েছে- রজব বলে।

শেষনবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে মহান আল্লাহর বিশেষ মেহমান হিসেবে আরশে আজিমে গমন করেন। যা মিরাজ নামে সমধিক পরিচিত। মিরাজের রাতে মুসলমানদের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়। মিরাজের ঘটনা মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যময়।

বিজ্ঞাপন

আল্লাহতায়লা বারো মাসের মধ্যে চারটি মাসকে ‘আশহুরে হুরুম’ তথা সম্মানিত ঘোষণা করেছেন। পবিত্র কোরআনে এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাস বারোটি আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টির দিন থেকে। সুতরাং তোমরা এই মাসসমূহে নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না।’ -সূরা তাওবা: ৩৪

সম্মানিত চার মাসের একটি হলো- রজব। হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, বারো মাসে বছর। তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। তিনটি ধারাবাহিক- জিলকদ, জিলহজ, মহররম আর চতুর্থটি হলো- রজব।’ -সহিহ বোখারি

বিজ্ঞাপন

উলামায়ে কেরাম বলেছেন, আশহুরে হুরুমের বৈশিষ্ট্য হলো- এসব মাসে ইবাদতের প্রতি যত্নবান হলে বাকি মাসগুলোতে ইবাদতের তাওফিক হয় বেশি বেশি। আশহুরে হুরুমে কষ্ট করে গোনাহ থেকে বিরত থাকতে পারলে অন্যান্য মাসেও গোনাহ পরিহার করা সহজ হয়। -আহকামুল কোরআন, জাসসাস: ৩/১১১

রজব মাস এলে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) একটি দোয়াটি বেশি বেশি পড়তেন ও সাহাবাদেরকে তা পাঠ করার জন্য বলতেন।

দোয়াটি হলো- ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রামাজান।’

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাকে রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং মহিমান্বিত রমজান মাসে পৌঁছে দিন।

হাদিসে আরও বলা হয়েছে, রজব মাস থেকে নবী করিম (সা.) রমজানের প্রস্তুতিস্বরূপ রোজা রাখা শুরু করতেন। বস্তুত হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এই দোয়ার মাধ্যমে রজব মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেছেন।

আমরা জানি, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনের উল্লেখযোগ্য মুজেজা হলো- মিরাজের ঘটনা।

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এ রাতে আল্লাহর দরবারে গিয়েছিলেন। আল্লাহতায়ালা তাকে নিজের সাক্ষাৎ দিয়ে ধন্য এবং নামাজের হুকুম দিয়ে এ উম্মতকে সম্মানিত করেছেন।

শবে মিরাজের মূল উপহার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। যা মুসলমানদের আদায় করা ফরজ। রজব মাসে প্রারম্ভে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে- যারা নামাজে অনিয়মিত তারা নামাজে নিয়মিত হবেন।

মনে রাখবে হবে, বিশেষ মর্যাদার এ মাসে যেকোনো ধরনের গোনাহ থেকে বেশি সতর্কতা ও দূরত্ব বজায় রাখাই কাম্য।