আল আকসায় ঢুকে ভাঙচুর চালাল ইহুদিরা

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আল আকসায় ঢুকে ভাঙচুর চালাল ইহুদিরা, ছবি: সংগৃহীত

আল আকসায় ঢুকে ভাঙচুর চালাল ইহুদিরা, ছবি: সংগৃহীত

জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ঢুকে সোমবার (২ জুন) ইবাদত-বন্দেগিরত মুসল্লিদের ওপর হামলা ও মসজিদের গেট ভাঙচুর করেছে সহস্রাধিক দখলদার ইহুদি। এসব ইহুদি উপশহরে বসবাস করে। তারা মুসলমানদের ভূমি দখলে নিয়ে নিজেদের জন্য উপশহর তৈরি করেছে।

সোমবার সকালে দলবদ্ধ হয়ে তারা আল আকসায় প্রবেশ করে। বিষয়টি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। আল আকসা মসজিদের পরিচালক ওমর কিসওয়ানি আল জাজিরাকে বলেন, সকাল থেকে প্রায় হাজারের বেশি ইহুদি জোর করে ঝড়ের গতিতে মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, তারা পবিত্র রমজান মাসে ভয়াবহ সহিংসতা চালায়। তারা ইসরাইলি পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে আলমুগারা গেট ভাঙচুর করে এবং ইসরাইলি পুলিশের সহযোগিতায় ইবাদতরত মুসলমানদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, যারা তাদের অনুপ্রবেশে বাধা দিয়েছিল।

এ সময় সাতজন ইবাদতরত মুসলিম ও একজন নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেফতার করে ইসরাইলি পুলিশ। ইহুদি গোষ্ঠী এ সংঘর্ষকে জেরুজালেমের পুনর্মিলনী বলে ঘোষণা করে। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় আল আকসাসহ পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরাইলি বাহিনী।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/03/1559556154803.jpg

বিজ্ঞাপন

মুসলিমদের জন্য আল আকসা বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। আর ইহুদিরা দাবি করছে, এখানে প্রাচীন যুগে দু’টি মন্দির ছিল।

মুসলমানরা ইহুদিদের প্রবেষে বাধা দিলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ। ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী এ সময় রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনের ফাতাহ, হামাস ও পপুলার ফ্রন্ট আল আকসা মসজিদে ইহুদিবাদীদের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ফাতাহ বলেছে, আল আকসা মসজিদে এ ধরণের সন্ত্রাসী তৎপরতা গ্রহণযোগ্য নয়।

বিগত ৩০ বছরের মধ্যে এই প্রথম পবিত্র রমজান মাসে ইহুদিদের আল আকসা মসজিদে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়। এটা নিয়ে রমজানের শুরু থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।

উল্লেখ্য, ২ জুন জেরুজালেম দিবস নামে পরিচিত। ১৯৬৭ সালের এই দিনে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ শেষ হয়। ওই যুদ্ধে জয়ী হয় ইসরাইল। তাই প্রতি বছর ইসরাইল দিনটি জেরুজালেম দিবস হিসেবে উদযাপন করে থাকে।