‘হরফে আঁকা জীবন’ গ্রন্থের পাঠ উন্মোচন



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বইমেলার লেখক মঞ্চে ‘হরফে আঁকা জীবন’ গ্রন্থের পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত লেখকদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

বইমেলার লেখক মঞ্চে ‘হরফে আঁকা জীবন’ গ্রন্থের পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত লেখকদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আলেম সাংবাদিক আমিন ইকবাল রচিত ‘মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীনের আত্মজৈবনিক সাক্ষাৎকার হরফে আঁকা জীবন’ বইয়ের পাঠ উন্মোচন হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলায়।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লেখক মঞ্চে পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় অর্ধশত নবীন-প্রবীণ লেখক ও সাংবাদিক।

প্রধান অতিথি ছিলেন স্বপ্নচারী লেখক ও অনুবাদক মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন।

কবি মুনীরুল ইসলামের পরিচালনায় গ্রন্থ থেকে পাঠ উন্মোচন করেন আমার বার্তার সহকারী সম্পাদক মাসউদুল কাদির।

গ্রন্থটি নিয়ে কথা বলেন বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর, আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক হুমায়ুন আইয়ুব, আরবি ভাষা গবেষক মাওলানা মহিউদ্দিন ফারুকী, লেখক আমিন ইকবাল, প্রকাশক আহমদ গালিব, লেখক সায়ীদ উসমান, মুহাম্মদ এহসানুল হক, হাসান আল মাহমুদ, আদিল মাহমুদ ও কাজি সিকান্দার প্রমুখ।

আলোচকরা বলেন, ‘এই গ্রন্থটির মধ্য দিয়ে ইসলামি ধারায় নতুন দিগন্তের উন্মোচন হলো। আমরা সাধারণত কেউ মারা গেলে তার জীবনী রচনার চিন্তা করি। তখন অনেক তথ্যই আমরা তুলে আনতে পারি না বা নির্ভুল করতে পারি না। কিন্তু জীবিত অবস্থায় কারও জীবনী রচনা করলে আশা করা যায়- অন্তত ভুল রচনা সামনে আসবে না। এরমধ্যে যদি হয় সাক্ষাৎকারধর্মী কাজ- তার থেকে শুনে শুনে বা তাকে প্রশ্ন করে জীবনের গল্পগুলো বের করা- তাহলে কাজটা অবশ্যই জীবন্ত ও প্রাণবন্ত হয়। আমিন ইকবাল এই গ্রন্থ রচনার মধ্য দিয়ে নতুন দিগন্তের সূচনা করলেন। আমরা আশা করি, এ ধরনের কাজ লেখক আরও করবেন এবং আমাদের বড়দের জীবনী তরুণদের সামনে আরও ব্যাপক হারে উপস্থাপিত হবে।’

গ্রন্থটির বিন্যাস, অঙ্গসজ্জা, প্রচ্ছদ, ছাপা ও বাঁধাই নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন আলোচকরা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, লেখক এমদাদ তাসনিম, সাজ্জাদুর রহমান সাজু, আতাউর রহমান খান, জাবির মাহমুদ, নুরুদ্দিন তাসলিম, মনজুর নোমানী, ফয়জুর রহমান, সাইফুল্লাহ আল জাহিদ, জহির খান, নজরুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।

এদিকে ‘হরফে আঁকা জীবন’ বইটি নিয়ে আরেক প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ লেখক আবু বকর আদনান একটি ব্যতিক্রমী উপলব্ধিমূলক রিভিউ লিখেছেন। রিভিউতে তিনি হরফে আঁকা জীবন বইটিকে ‘নবীন লেখকদের অমূল্য পাথেয়’ বলে অভিহিত করেছেন।

আবু বকর আদনান লিখেন, প্রচ্ছদে সবুজের গালিচা বিছানো। মাঝখানে বড় বড় অক্ষরে আঁকা বইয়ের নাম- ‘হরফে আঁকা জীবন।’ মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীনের আত্মজৈবনিক সাক্ষাৎকারগ্রন্থ। দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদ। প্রথম দেখাতেই হৃদয়ে ছড়িয়ে পড়ে মুগ্ধতার আবেশ। বইটি মাত্রই পড়ে শেষ করলাম, এখনও ঘোর কাটেনি। প্রশ্নোতক্তরের সেতুবন্ধনে বইয়ের গল্পগুলো হাত ধরাধরি করে চলে গেছে অনেক দূর। হঠাৎ শেষ হওয়ায় মনে হচ্ছে, এতো দ্রুত শেষ হয়ে গেলো!

দুই. মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন একজন শক্তিমান লেখক ও খ্যাতিমান গদ্যশিল্পী। ইসলাম এবং হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উপজীব্য করে যারা লেখালেখি করেন, তাদের মধ্যে শীর্ষস্থানে তার অবস্থান। তিন দশকের বেশি সময় ধরে লেখালেখির ময়দানে তার সরব পথচলা। আশির দশকের শেষ দিকে কলম হাতে নব-সূর্যের মতো জেগে ওঠেছেন তিনি। সেই সূর্য এখন মধ্যগগনে সাধ্যের সবটুকু বিলীন করে আলো বিলিয়ে যাচ্ছেন। কালি-কলমের সুদীর্ঘ এই সফরের নানা অভিজ্ঞতা-প্রতিকূলতা, আনন্দ-বেদনার অজনা গল্পগুলো উঠে এসেছে সাক্ষাৎকারের ছত্রে ছত্রে। সেই সঙ্গে তার ব্যক্তিগত জীবনের নানা দিক নিয়েও আলোচনা হয়েছে। লেখকের সোনালী শৈশব, দূরন্ত কৈশোর ও উচ্ছল যৌবনের দিন, পড়াশোনার পাঠ, কর্মজীবন, বিয়ে-শাদি ও লেখালেখির গল্পও উঠে এসেছে বইয়ে।

বইয়ের বিন্যাসটা এমন- স্মৃতির শৈশব, বেড়ে ওঠার কৈশোর, পড়াশোনার সূচনা, গ্রাম ছেড়ে ঢাকায়, দেওবন্দের আঙিনা, লেখালেখির হাতেখড়ি, যাদের লেখায় প্রভাবিত, বর্ণিল কর্মজীবন, সাহিত্য পাঠ, নান্দনিক লেখালেখি, লেখক বন্ধুরা, লেখক সম্মাননা ও পদক, প্রকাশনা ও বইমেলা, রাজনৈতিক ভাবনা, বিয়ে ও পরিবার, তারুণ্যের স্বপ্ন ও নির্মাণ।

হরফে আঁকা জীবন বইয়ের প্রচ্ছদ

তিন. যারা লেখালেখির মানুষ তাদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ খোরাক রয়েছে এই বইয়ে। বইটি পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে বর্তমান তরুণদের লেখালেখি এবং পাঠ সংক্রান্ত বিষয়টি মাওলানা যাইনুল আবিদীনকে অনেক ভাবিয়েছে। তিনি তার মজবুত পাটাতনে দাঁড়িয়ে একে একে বলেছেন তরুণদের সব সমস্যার সমাধান। বইয়ের পাতায় পাতায় রয়েছে নবীনদের জন্য অসামান্য হীরকখণ্ড ও অমূল্য পাথেয়। যা না পড়লে কিছুই বোঝা যাবে না। মনে হবে এটা গতানুগতিক বইয়ের মতোই একটি বই। আসলে তা নয়, এই বই সম্পূর্ণ ভিন্ন ও অনন্য।

মোদ্দাকথা হলো, একজন মানুষ তার জীবনকে যেভাবে উপলব্ধি করতে পারেন, অন্যের দ্বারা তা সম্ভব হয় না। একজন যাইনুল আবিদীন তার জীবনের বাঁকে বাঁকে ঘটে যাওয়া নানা কাহিনী এবং অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে। বস্তুত নিজের সম্পর্কে যা বলার তার চেয়ে অনেক কমই বলেছেন তিনি।

নন্দিত লেখক মাওলানা ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভি এই বইয়ের মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমার সাফ মন্তব্য- নিজের সম্পর্কে তিনি যা বলেছেন, খুব কমই বলেছেন।’ এখানেই তার বিনয়-নম্রতা উদ্ভাসিত হয়।

চার. বলাবাহুল্য, এমন কাজ আমাদের ইসলামি অঙ্গনে হয়নি। এটাই প্রথম। একজন ব্যক্তির বর্ণাঢ্য জীবনীকে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে অল্প পরিসরে ফুটিয়ে তোলা কষ্টসাধ্য বিষয়। তবুও কাজটি করেছেন তরুণ লেখক দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার ইসলাম বিভাগের সম্পাদক মাওলানা আমিন ইকবাল।

আমিন ইকবাল বরাবরই সৃজনশীল কাজ করে থাকেন। এই বইয়ের পাতায় পাতায় ফুটে উঠেছে তার সৃজনশীলতা। বইয়ের বিন্যাস, প্রশ্নের মুনশিয়ানা ও প্রচ্ছদের রুচিবোধ সবই দারুণ! পাঠকের মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা প্রশ্নগুলোই তুলে ধরেছেন তরুণ তুর্কি আমিন ইকবাল।

বই: হরফে আঁকা জীবন
লেখক: আমিন ইকবার
প্রকাশক: মাকতাবাতুল ইসলাম
স্টল: কালি কলম প্রকাশনা (৩৫৭-৩৫৮)
মুদ্রিত মূল্য: ২৬০৳
প্রচ্ছদ: কাজী যুবাইর মাহমুদ

   

যে গ্রামে জাকাত-ফেতরা নেওয়ার কেউ নেই



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গ্রামের মানুষের মাঝে ছাগল বিতরণ করা হচ্ছে, ছবি : সংগৃহীত

গ্রামের মানুষের মাঝে ছাগল বিতরণ করা হচ্ছে, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্মিলিত ও সুপরিকল্পিত উদ্যোগে বদলে গেছে প্রত্যন্ত একটি গ্রামের চিত্র। গ্রামটির সকল পরিবার হয়েছে সচ্ছল। ওই গ্রামে এখন আর ফেতরা কিংবা জাকাত নেওয়ার মানুষ নেই। সবাই স্বাবলম্বী।

কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার দানাপাটুলি ইউনিয়নের চাঁদের হাসি গ্রাম। এই চাঁদের হাসি গ্রামের দরিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের এমন উদ্যোগের ফলে বদলে গেছে গ্রামের দৃশ্যপট।

সংগঠনটি নিজ গ্রামের গন্ডি পেরিয়ে এখন পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষদের স্বাবলম্বী করতে উদ্যোগ নিয়েছে। এমন প্রশংসনীয় কাজ করা সংগঠনটির নেই নিবন্ধন, নেই বাহারি অফিস। তারা প্রচারে নয়, কাজে বিশ্বাসী। যার প্রমাণ, ফাউন্ডেশনের জনকল্যাণমূলক নানা কাজ।

জানা গেছে, ২০০৩ সালে চাঁদের হাসি গ্রামের প্রয়াত মাওলানা হেলান উদ্দিনের প্রচেষ্টায় দরিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে গ্রামে সকল পরিবারের ফেতরা ও জাকাত একসঙ্গে করে অসহায়-গরীব মানুষের মাঝে বিতরণ করে আসছে। এভাবে দীর্ঘ ২১ বছরে এই কার্যক্রমের ফলে চাঁদের হাসি গ্রামে এখন আর ফেতরা ও জাকাত নেওয়া মতো মানুষ নেই। ইতোমধ্যে সংগঠনটি গ্রামের ৮০ জন অসহায় গরীব মানুষকে ঘর তৈরি করে দিয়েছে।

২ বছর আগে চাঁদের হাসি গ্রামের দরিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের সহায়তা ঘর পেয়েছেন ওহেদ আলী। তিনি জানান, ঘর পেয়ে মাথা গুজার ঠাঁই হয়েছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভালোভাবেই চলছে তার সংসার।

মাহমুদ বেগম নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী জানান, তার পরিবার দরিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের সহায়তা ঘর ও সেলাই মেশিন পেয়েছেন। তার বাবা নেই মা ও ছোট বোনকে নিয়ে ঘরে বসবাস করছেন। সেলাই মেশিনের মাধ্যমে মানুষের জামা কাপড় সেলাই করে নিজেও স্বাবলম্বী হয়েছেন।

চাঁদের হাসি দরিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ আলম জানান, ২০০৩ সালে আমাদের সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এলাকার চলনশীল মানুষের ফেতরা ও জাকাত একসঙ্গে করে আমরা কাজ করে থাকি। এভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করার পর থেকে ইসলামের বিধি মোতাবেক যে ৮টি খাত রয়েছে সে হিসাবে বর্তমানে আমাদের গ্রামে জাকাত-ফেতরা নেওয়ার মতো কোনো মানুষ নেই।

সংগঠনটি গ্রামের অসহায় ও গরীব মানুষকে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সহায়তাও দিয়ে আসছে। গ্রামের বেকারত্ব ঘোচাতে অসহায় ও গরীব মানুষের মাঝে গরু, ছাগল, সেলাই মেশিন, অটোরিকশা ও ভ্যান গাড়ি বিতরণ করেছে।

;

রাজধানীতে শীতল পানি বিতরণ করল ইসলামী ছাত্র আন্দোলন



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দেশব্যাপী শীতল পানি ও শরবত বিতরণ কর্মসূচী পালন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের, ছবি : সংগৃহীত

দেশব্যাপী শীতল পানি ও শরবত বিতরণ কর্মসূচী পালন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে সৃষ্ট সংকটে দেশব্যাপী শীতল পানি ও শরবত বিতরণ কর্মসূচী পালন করছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ।

বিভিন্ন জেলা, থানা, ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভ্রাম্যমাণ ভ্যান নিয়ে পথচারী, দিনমজুর, রিকশাচালকসহ তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে ঠান্ডা পানি বিতরণ করেছে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। এছাড়া খাবার স্যালাইন ও পকেট রুমাল বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬৬ ও ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রমজীবী ও পথচারীদের মাঝে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর পূর্বের ডেমরা থানা শাখার উদ্যোগে বিশুদ্ধ শীতল পানি, স্যালাইন ও ওয়ালেট টিস্যু বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ মাইনুল ইসলাম, ডেমরা থানা শাখার সভাপতি শাহাদাত হোসেন মৃধা, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রাফিইন বিন আমজাদ, কফিল উদ্দিনসহ থানা ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।

এ সময় প্রধান অতিথি শেখ মুহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ন, জলাধার ভরাট ও অবাধে বৃক্ষ নিধনের ফলেই অসহনীয় তাপদাহে নগরে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। সাময়িক স্বস্তির জন্য আমরা শীতল পানির বিতরণ কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধানের জন্য নগরকে সবুজায়ন ও বসবাসের উপযোগী করতে রাষ্ট্রকেই যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।

নগর সহ-সভাপতি মাইনুল ইসলাম বলেন, যতদিন তীব্র তাপদাহ থাকবে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর পূর্বের উদ্যোগে নগরজুড়ে বিশুদ্ধ শীতল পানি বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

;

দুনিয়ার জীবনের বাস্তবতা প্রকাশ পেয়েছে যে আয়াতে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কোরআন মাজিদ, ছবি : সংগৃহীত

কোরআন মাজিদ, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতিহাসজুড়ে দেখা গেছে, মানুষ সবসময়ই তার প্রয়োজন মেটানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। কারণ মানুষ প্রকৃতিগতভাবে অভাব নিয়েই দুনিয়ায় এসেছে। দুইভাবে মানুষ বিপদগ্রস্ত হচ্ছে কিংবা বিপদে পড়ছে। এক. মানুষের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো ঠিকমতো চিহ্নিত না করা। দুই. ভুল পথে চাহিদা মেটানোর প্রবণতা।

এই দুই বিপদজনক পথ সঠিকভাবে অতিক্রমের জন্যই আল্লাহতায়ালা যুগে যুগে নবী-রাসুলদেরকে পাঠিয়েছেন। আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী নবীরা মানুষকে শিক্ষা দিতেন। যেমন কোরআনের বক্তব্য যদি মানুষ বুঝতে পারে এবং সেই অনুযায়ী আমল করে তাহলে তার শক্তিসামর্থ্য যেমন বাড়বে তেমনি পরিত্রাণ পাবে এবং যেকোনো বিপদ বা ভুল পথে পরিচালিত হওয়া থেকে নাজাত পাবে।

কোরআন মাজিদের সুরা হাদিদের ২০ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা জেনে রাখো যে, দুনিয়ার জীবন ক্রীড়া-কৌতুক, শোভা-সৌন্দর্য, তোমাদের পারস্পরিক গর্ব-অহঙ্কার এবং ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে আধিক্যের প্রতিযোগিতা মাত্র।

এর উপমা হলো- বৃষ্টির মতো, যার উৎপন্ন ফসল কৃষকদের আনন্দ দেয়, তারপর তা শুকিয়ে যায়, তখন তুমি তা হলুদ বর্ণের দেখতে পাও, তারপর তা খড়-কুটায় পরিণত হয়। আর আখেরাতে আছে কঠিন আজাব এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। আর দুনিয়ার জীবনটা তো ধোকার সামগ্রী ছাড়া আর কিছুই নয়।’

বর্ণিত আয়াতটি আমাদের কাছে জীবনের বাস্তবতা তুলে ধরেছে এভাবে-
ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া মোটেই ভরসা করার যোগ্য নয়। পার্থিব জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা কিছু হয় এবং যাতে দুনিয়াদার ব্যক্তি মগ্ন ও আনন্দিত থাকে, প্রথমে সেগুলো ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। সংক্ষেপে বলতে গেলে পার্থিব জীবনের মোটামুটি বিষয়গুলো যথাক্রমে এই- প্রথমে ক্রীড়া, এরপর কৌতুক, এরপর সাজ-সজ্জা, এরপর পারস্পরিক অহমিকা, এরপর ধন ও জনের প্রাচুর্য নিয়ে পারস্পরিক গর্ববোধ।

উল্লেখিত ধারাবাহিকতায় প্রতিটি অর্থেই মানুষ নিজ অবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে। কিন্তু কোরআন মাজিদ বলে যে, এ সবই হচ্ছে সাময়িক ও ক্ষণস্থায়ী।

প্রকৃতপক্ষে, কোরআন মাজিদের এই আয়াতে বলা হচ্ছে, ‘মানুষ যখন শিশু থাকে তখন সে খেলা করে, সে তার যৌবনকে উদ্দেশ্যহীনভাবে অতিবাহিত করে, তার যৌবনে সে পৃথিবীর সাজসজ্জা ও সৌন্দর্যে মগ্ন থাকে এবং তার মধ্য বয়সে ও বার্ধক্যে সে অহংকার এবং সম্পদ ও সন্তানদের নিয়ে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়!’

তাই পৃথিবীটা একটা খেলা। এমতাবস্থায় খেয়াল রাখা, কোনোভাবেই ধোঁকায় না পড়া। আমরা যদি কোনো উচ্চ অবস্থানে পৌঁছি তাহলে অহংকারী না হওয়া, যদি পতন ঘটে কিংবা অবস্থা নীচের দিকে চলে যায়- তাহলেও নিরাশ না হওয়া।

আয়াতে বর্ণিত পাঁচটি বিশেষ শব্দ দিয়ে মানবজাতির জন্য তাদের বাস্তবতাকে এভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বোঝানো হয়েছে এর প্রতিটিই হচ্ছে একেকটি ফাঁদ এবং মানুষ এসবে জড়িয়ে পড়ে।

;

৯ বছর পর উমরার সুযোগ পেলেন ইরানিরা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গত ৯ বছরের মধ্যে ইরানি উমরাযাত্রীদের প্রথম দল উমরা পালনের জন্য সৌদি আরব যাচ্ছেন, ছবি : সংগৃহীত

গত ৯ বছরের মধ্যে ইরানি উমরাযাত্রীদের প্রথম দল উমরা পালনের জন্য সৌদি আরব যাচ্ছেন, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ ৯ বছরের বিরতির পর পশ্চিম এশিয়ার দেশ ইরানের নাগরিকরা পবিত্র উমরা পালনের জন্য তেহরান থেকে পবিত্র মক্কা নগরীর উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৯ বছরের মধ্যে ইরানি উমরাযাত্রীদের প্রথম দল সোমবার পবিত্র উমরা পালনের জন্য সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করেছে বলে ইরানের সরকারি বার্তাসংস্থা জানিয়েছে। মূলত সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই শক্তিশালী দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে।

এর আগে দীর্ঘদিন দূরে থাকার পর গত বছরের মার্চ মাসে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সম্মত হয় মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ ইরান ও সৌদি আরব। এর ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশের মধ্যে আবারও সম্পর্ক নতুন মাত্রা পায়। আর উভয় দেশের সম্পর্কের অগ্রগতির পেছনে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিল চীন।

২০১৬ সাল থেকে থেকে মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই বড় দেশের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না। ওই বছর সৌদি আরব সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের দায়ে শিয়া ধর্মীয় নেতা শেখ নিমর আল নিমরসহ ৪৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর তেহরানের সৌদি দূতাবাসে হামলা হয়েছিল। আর তারপর দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটে।

মূলত ইরানি বিক্ষোভকারীরা তেহরানে সৌদি দূতাবাসে হামলার পর ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। তারপর থেকে সুন্নি এবং শিয়া-নেতৃত্বাধীন এই প্রতিবেশীদের মধ্যে উত্তেজনা প্রায়ই জারি ছিল। এই দুই দেশ একে অপরকে নিজের আঞ্চলিক আধিপত্যের জন্য হুমকি হিসাবে বিবেচনা করে থাকে।

এ ছাড়া সিরিয়া এবং ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধসহ বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংঘাতে ইরান ও সৌদি একে অপরের বিরোধী পক্ষ হয়ে কার্যত পরোক্ষ লড়াইয়ে নিয়োজিত ছিল। আর তাই সুন্নি-সংখ্যাগরিষ্ঠ সৌদি আরব এবং শিয়া নেতৃত্বাধীন ইরানের মধ্যে উত্তেজনা ছিল প্রায়ই অনেক বেশি।

গত বছর সম্পর্ক পুনরায় শুরু হওয়ার আগে ইরানিরা শুধুমাত্র হজপালন করতে সৌদি আরব যেতে পারত।

রয়টার্স বলছে, তেহরানের প্রধান বিমানবন্দরে ৮৫ জন উমরাযাত্রীর বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইরানে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ বিন সৌদ আল আনজি।

;