মসজিদে জামাত ও জুমা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ফের বৈঠকে ইফা

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মসজিদে জামাত ও জুমা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলেমদের সঙ্গে বৈঠক করছে ইফা, ছবি: বার্তা২৪.কম

মসজিদে জামাত ও জুমা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলেমদের সঙ্গে বৈঠক করছে ইফা, ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের মসজিদসমূহে জুমার নামাজ, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাতে মুসল্লিদের আসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিতীয়বারের মতো দেশে শীর্ষ আলেমদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)।

রোববার (২৯ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আগারগাঁওস্থ প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে বৈঠক শুরু হয়েছে বলে সেখানে উপস্থিত একাধিক সূত্র বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছে। বৈঠকে উপস্থিত আলেম ছাড়াও টেলিফোনে দেশের বিভিন্ন জেলার আলেমদের মতামত নেওয়া হবে। অনেক আলেম বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে লিখিত মতামত পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে উপস্থিত আছেন- শোলাকিয়ার ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, শায়েখ জাকারিয়া রহ. ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মিরপুর আকবর কমপ্লেক্সের মুহতামিম মুফতি দিলাওয়ার হুসাইন, জামিয়া রাহমানিয়ার মুহতামিম মুফতি মাহফুজুল হক, ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল ড. মাওলানা কাফিলউদ্দীন সরকার সালেহি, ইদারাতুল উলুম আফতাবনগরের মুহতামিম মুফতি মুহাম্মাদ আলী, ফুরফুরার পীর মাওলানা আবদুল হাই মিশকাত, রামপুরা দারুল উলুমের মুহতামিম মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মিরপুর দারুল উলুমের মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান, মাওলানা মোসাদ্দিক বিল্লাহ আল মাদনি, ঢালকানগরের মুফতি জাফর আহমদ, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়ার মুফতি মাহমুদুল হাসান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুর রাজ্জাক আল আজহারি, ভূমিপল্লী আবাসন জামে মসজিদের খতিব শায়খ আহমাদুল্লাহ, বড় কাটারা মাদরাসার মুহতামিম মুফতি সাইফুল ইসলাম মাদানি, মহাখালী হোছাইনিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল ড. নজরুল ইসলাম আল মারুফ, তেজগাঁও জামিয়া ইসলামিয়ার শায়খুল হাদিস ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান, পেশ ইমাম মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভি, পেশ ইমাম মহিউদ্দিন কাসেম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস মাওলানা ওয়ালিউর রহমান খান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা আবু ছালেহ পাটোয়ারীসহ অন্য আলেমরা। 

এর আগে ২৪ মার্চ প্রথম বৈঠকে বসেছিলেন আলেমরা। ওই বৈঠক শেষে পবিত্র কোরআন-সুন্নাহর আলোকে মহামারি ও দুর্যোগকালীন সময়ে ইসলামের বিধি-বিধান অনুসরণের বিষয়ে জনগণের প্রতি চারটি অনুরোধ জানানো হয়-

বিজ্ঞাপন

ক. করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে এবং মানুষের ব্যাপক মৃত্যুঝুঁকি থেকে সুরক্ষার জরুরি পদক্ষেপ হিসাবে সব ধরনের জনসমাগম বন্ধের পাশাপাশি মসজিদসমূহে জুমা ও জামাতে মুসল্লিদের উপস্থিতি সীমিত রাখা,

খ. মসজিদ বন্ধ থাকবে না, তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হতে সুরক্ষা নিশ্চিত না হয়ে মসজিদে গমন না করা,

গ. সরকার ও বিশেষজ্ঞগণ সতর্কতার জন্য যেসব নির্দেশনা প্রদান করছেন তা মেনে চলা ও

ঘ. সবাইকে অপরাধমূলক কাজকর্ম থেকে বিরত হয়ে ব্যক্তিগতভাবে তওবা-ইস্তিগফার ও কোরআন তেলাওয়াত অব্যাহত রাখা।

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সৌদি আরবে মক্কা-মদিনার প্রধান দুই মসজিদ ছাড়া সব মসজিদের জামাত বন্ধ। কুয়েত, মিসর, মালয়েশিয়াসহ আরও কয়েকটি মুসলিম প্রধান দেশে মসজিদে জামাত বন্ধ রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শীর্ষ আলেমদের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো আলোচনায় বসেছেন ইফা।

এর আগে ২০ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে ইফা জানায়, বাসা থেকে অজু করে নফল ও সুন্নত নামাজ পড়ে শুধু জুমার ফরজ নামাজ পড়তে আসতে। এছাড়া, অসুস্থ ব্যক্তি, জ্বর হাঁচি কাশিতে আক্রান্ত এবং বিদেশফেরতদের মসজিদে না যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল।