হজ ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আসছে: ধর্মসচিব



জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ধর্মসচিব মো. আনিসুর রহমান, ছবি: বার্তা২৪

ধর্মসচিব মো. আনিসুর রহমান, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মক্কা মোকাররমা ( সৌদি আরব) থেকে: আমরা হজ ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আনতে যাচ্ছি। করতে যাচ্ছি হজ আইন। দেশে গিয়েই আশা করছি, কেবিনেটে নতুন আইনটা তুলতে পারবো। আর সেটা হলে, হজ ব্যবস্থাপনায় আরো গতি আসবে। হজযাত্রীদের অধিকারে সুরক্ষা যেমন বাড়বে, তেমনি নতুন আইনি কাঠামোর কারণে হাজী সাহেবদের অনেক দূর্ভোগও কমে যাবে। আরেকটি বিষয় জানাতে চাই, মন্ত্রণালয় নয়- হজযাত্রী নিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ করবে হজ অফিস।

সেই অফিসের কাঠামোও পরিবর্তন আনবো। নতুন প্রশাসনিক কাঠামোতে হজ অফিস বর্তমানে পরিচালক থেকে চলে যাবে মহাপরিচালকের দায়িত্বে। অতিরিক্ত বা যুগ্ম সচিব মর্যাদায় শতাধিক জনবলের মাধ্যমে তখন পরিচালিত হবে হজ অফিস।

সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশনের দপ্তরে বসে একান্ত সাক্ষাতকারে বার্তা২৪.কমকে এমনটাই বলছিলেন ধর্মসচিব মো. আনিসুর রহমান।

চলতি হজ মৌসুমে ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ বাংলাদেশ থেকে আসা হজযাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ২৯৮ জন। এরই মধ্যে ৭১ জন চলে গেছেন না ফেরার দেশে। সোয়া লাখের বেশি হজযাত্রীর সুযোগ-সুবিধা দেখতে হজের পূর্ব মূহুর্ত থেকে মক্কায় অবস্থান করছেন বিসিএস (প্রশাসন) ১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান।

সচিব হিসেবে ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শরিয়তপুর জেলার সন্তান আনিসুর রহমান। এর আগে একই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগ থেকে সম্মান ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করা মেধাবী সরকারি এই কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার বিভাগ, অর্থ বিভাগ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এবারের হজ মৌসুমের সার্বিক চিত্রটা কেমন দেখছেন?

এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক। সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয় পর্যন্ত আমাদের ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেছে। আমি এখানে আমাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছি। আমাদের লক্ষ্য, হাজীদের সেবার মান যাতে কোথাও কমতি না হয়। তারা আল্লাহর মেহমান। তাদের যেন কোথাও কষ্ট না হয়।

তবে মিনা থেকে হাজী সাহেবরা হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মক্কায় ফিরে আসার পর পরিস্থিতিটা আর বিশদভাবে বোঝা যাবে।

এখানে ফেতরা পদ্ধতির কারণে এক বাড়িকে ৫ থেকে ৬ বার ভাড়া দেওয়া হয়। এটা এখানে স্বীকৃত, কিন্তু কষ্টটা হয় হাজীদের। যেমন ধরেন, হজে আসার আগে আপনাকে বলা হলো, কাবা শরিফের কাছে জমজম টাওয়ার বা হিলটনের মতো হোটেলে রাখা হবে।

তারা সেটা রাখবে ঠিকই, তার আগে বা পরে আপনাকে দূরে কোনো হোটেলে রাখবে। এসব বিষয়ে আগে অনেক অভিযোগ ছিলো। আমাদের মনিটরিংয়ের কারণে এখন কমে এসেছে। হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) নেতাদের বলেছি, দেশে যেভাবে আমাদের সহায়তা করেছেন, এখানেও সেটা বজায় রাখুন। যারা হাজীদের দূর্ভোগ সৃষ্টি করবে তাদের আগেভাগেই সর্তক করে দিন।

আরেকটি বিষয়, জেদ্দা বিমানবন্দর থেকেই কিন্তু হাজীদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব স্থানীয় মোয়াল্লেমদের। যারা আবার মোয়াচ্ছাসাদের নিয়ন্ত্রণে। হাজীদের মক্কায় যেমন যাতায়াতের দায়িত্বে ইউনাইটেড কার এজেন্সি তেমনি মদিনায় দায়িত্বে আদিল্লা নামের সংস্থার।

২০১৬ সালে আমি যখন হজে আসি তখন কিন্তু আমাকে অতিরিক্ত দুই ঘন্টা গাড়িতে ঘুরতে হয়েছিলো। কারণ অতিরিক্ত আয়ের জন্যে হজ মৌসুমে মিসর থেকে অনেক চালক আসেন। যারা এখানকার পথ বা হোটেল ঠিকমতো চেনেন না।

এ ধরনের ব্যবস্থাপনায় কিন্তু আমাদের কোনো এজেন্সির নিয়ন্ত্রণ নেই।

এবার মিনায় গতবারের তুলনায় আমাদের ৩০ ভাগ কম জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অথচ হাজীর সংখ্যা কিন্তু বেড়েছে। যদিও সে তুলনায় বাড়েনি মিনার জায়গার পরিধি। এবার তাঁবুতে হাজী প্রতি ১৮ ইঞ্চির বদলে ১৬ ইঞ্চি জায়গা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ স্থান সংকুলানের জন্যে মিনায় দোতলা, তিন তলা খাটের ব্যবস্থার কথা বলেছিলো।

আমরা তাতে সাড়া দেইনি। আমরা বলেছি, এটা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গতিহীন। এক জনের ওপর আরেকজন শোয়া কেউ পছন্দ করবে না। তবে পরিস্থিতি যেমন দাঁড়িয়েছে তাতে ভবিষ্যতে দুই বা তিনস্তর বিশিষ্ট খাটের বিকল্পও নেই।

মিনা, আরাফা আর মুজদালিফায় যে ধরণের খাবার সরবরাহ করা হয়, তা আমাদের দেশের মানুষ খেতে পারেন না। আমরা বলেছি, বাংলাদেশিরা পছন্দ করে- এমন খাবার যাতে পরিবেশন করা হয়।

আমরা হজ নীতিতে পরিবর্তন আনছি। আইনি কাঠামো নিশ্চিত করতে হজ আইন প্রণয়ণ করতে যাচ্ছি। এখন সব কিছুই করা হয় নির্বাহী আদেশে। আমরা ধরেই নেই, আইন না থাকার দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে আমাদের নেওয়া পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অনেকে আদালতে যাবে।নীতি দিয়ে কাউকে ধরা বাঁধা কঠিন। তবে আইনের অবস্থান সবার ওপরে। আইন থাকলে এজেন্সির প্রতারণাগুলো যেমন কমে আসবে আবার আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণে অনিয়ম দূর হবে।

হজ প্রশাসনিক বা সহায়ক দলে কে বা কারা থাকবে তা নির্ধারিত হবে এই আইনে। যার অধীনে শক্তিশালী প্রশাসনিক কাঠামো থাকবে হজ অফিসের। মন্ত্রণালয় নীতি প্রণয়ণ করবে, হজ অফিস তা বাস্তবায়ন করবে। আমাদের ইচ্ছে, হজ সহায়ক কর্মী ভবিষ্যতে সৌদি আরবের প্রবাসীদের মাঝ থেকে নেওয়া। এতে করে হাজীদের সুবিধা আরো বাড়বে।

এবার হজে প্রশাসনিক দলের সদস্য হয়ে যারা এসেছেন, তারা আগে থাকতেন মিশনে। এবার সরকারিভাবে আসা হাজীদের হোটেলে তাদের অবস্থান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যে কারণে হাজীদের যেকোনো ধরনের সুবিধা-অসুবিধা তারা যেমন তাৎক্ষনিক জানতে পারছে, তেমনি সমাধানটাও করতে পারছে দ্রুত।

এভাবেই হজ ব্যবস্থাপনায় আমাদের পরিবর্তনটা আজ সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছেও প্রশংসিত।

   

সৌদিতে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমে হজ পালন করতে গিয়ে মো. মোস্তফা (৮৯) নামে আরও এক হজ যাত্রী মারা গেছেন। শনিবার (১৮ মে) মক্কায় মারা যান তিনি।

রোববার (১৯ মে) রাত ২টার হজ পোর্টালের আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, গত বুধবার (১৫ মে) চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবের প্রথম বাংলাদেশি এক হজযাত্রী মারা যান। মো. আসাদুজ্জামান নামের ওই ব্যক্তি মদিনায় মৃত্যুবরণ করেন।

এ দিকে পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত (১৮ মে রাত ১টা ৫৯ মিনিট) সৌদি পৌঁছেছেন ২৮ হাজার ৭৬০ জন হজযাত্রী। মোট ৭২টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২৫ হাজার ১৩ জন। এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ৮৬২টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।

হেল্প ডেস্কের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত মোট ৭২টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২৮টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৬টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত মধ্যরাত পর্যন্ত ৮১ হাজার ৮৬২ জন হজযাত্রীর ভিসা ইস্যু হয়েছে। সে হিসেবে এখনো ৩ হাজার ৩৯৫ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি। সর্বশেষ শনিবার (১৮ মে) মো. মোস্তফা নামের ৮৯ বছর বয়সী হজযাত্রী মক্কায় মারা যান।

;

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না বলে আশাবাদী বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।

ভিসা না হওয়া হজযাত্রীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। তবে বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, চলতি হজ মৌসুমে নিবন্ধিত সবার ভিসা হবে বলে আমি আশাবাদী। কয়েকটি এজেন্সির হজযাত্রী নিয়ে জটিলতা হচ্ছে, তার অর্ধেকই ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। বাকি কাজ সমাধানের পথে।

জিলহজ মাসে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে ৯ মে শুরু হওয়া হজফ্লাইট শেষ হবে ১০ জুন। এই সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। ইতোমধ্যে ২৮ হাজার ৪ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। ৮২ হাজার ১০০ জনের ভিসা ভিসা হয়েছে। এখনও বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত ৩ হাজার ৩৩৬ জনের ভিসা হয়নি।

মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, পরিচালক, হজ অফিস, ছবি: বার্তা২৪.কম

জানা গেছে, যথাসময়ে ভিসার আবেদন না করায় ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ৫৭০, যাত্রী সংখ্যা ২৮৬), আনসারি ওভারসিস (লাইসেন্স ৬০১, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি (লাইসেন্স ৬৭২, যাত্রী সংখ্যা ৪৪৪), মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ১০২৫, যাত্রী সংখ্যা ৩৭৫), নর্থ বাংলা হজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স ১০৮৬, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস (লাইসেন্স ১৪৬২, যাত্রী সংখ্যা ২৫০) কে ধর্ম মন্ত্রণালয় শোকজ করে। এসব এজেন্সির মাধ্যমে ১ হাজার ৮৭৫ জনের চলতি বছর হজে যাওয়ার কথা রয়েছে।

আর আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সির নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কারও ভিসা না করায় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়ার দেশত্যাগ স্থগিত ও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সিসহ অভিযুক্ত এজেন্সির মালিকদের নিয়ে আমরা বসে, পয়েন্ট পয়েন্ট ধরে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেছি। ইতোমধ্যে হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস, ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এবং মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্যদেরও হয়ে যাবে। নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালন থেকে বঞ্চিত হবেন না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এমন আশাবাদী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাব সভাপতি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব অংশে যে পরিমাণ অর্থ প্রেরণ করা দরকার এজেন্সিগুলো তা পাঠিয়েছে। আর যতটুকু সমস্যা রয়েছে, আশা করি তা সমাধান করা যাবে।

এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ছবি: বার্তা২৪.কম

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি এবার হজে কোনো লোক পাঠাইনি। আকবর হজ গ্রুপের মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী তার লাইসেন্সে সমস্যা হওয়ায় আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে ৪৪৮ জন হজযাত্রী পাঠাচ্ছে। চলতি সমস্যা নিয়ে হাব সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে মুফতি লুৎফর রহমান সৌদি থেকে ফোনে কথা বলেছেন, তিনি আশ্বস্থ করেছেন; আজকালের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ জনের ভিসা হয়ে যাবে। আর আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে সবার ভিসা হয়ে যাবে। তিনি মদিনার বাড়ি ভাড়া করেছেন, মক্কার বাড়িও ভাড়া হওয়ার পথে।’

;

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগমুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মৃত্যদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে দিলেন বাবা। শেষ সময়ে জন্মদাদা বাবার এমন উদারতা দেখে উপস্থিত কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবে। খবর গালফ নিউজের।

আল হুমাইদি আল হারবি নামের ওই বাবা হঠাৎ করে দণ্ড কার্যকরের স্থানে যান। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেন, ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। ওই হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে আল হুমাইদি আল হারবির কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা।

কিন্তু ওই সময় তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। নিজ ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন ওই বাবা। সে অনুযায়ী, বিনা শর্তে তিনি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেন। এতে করে সেখানে থাকা সবাই বেশ অবাক হন।

আল হারবি জানিয়েছেন, ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও প্রথমে হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের মন পরিবর্তন করেন। ছেলের হত্যারকারীকে ক্ষমা করা ওই বাবার এমন উদারতার প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা এটিকে ক্ষমার একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

খবরে প্রকাশ, নিজ গোত্রের প্রতিবেশীর বন্ধুর ছেলের হাতে তার ছেলে খুন হন। দেশটির আইন অনুযায়ী বিচার শেষে হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। সৌদি আরবের আইনে রক্তপণ নিয়ে কিংবা অভিভাবক হিসেবে খুনিকে ক্ষমা করে দেওয়ার বিধান রয়েছে।

সে হিসেবে তিনি ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক আজও আগের মতো।’

তার স্পষ্ট কথা, আমি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করেছি। এ বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষমার কথা বললেও তার পরিবার ক্ষমা প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আমাদের সম্পর্ক গত ছয় দশকের মতোই আজও আছে। ছেলের খুনের পর যেমন ছিল, এখনও সম্পর্ক তেমনি আছে।

হত্যাকারীর বাবা আবদুল মাজিদ আল হারবি বলেন, আমি নিহতের বাবাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা করি এবং সম্মান করি, তিনি আমার ভাইয়ের চেয়েও বেশি।

;

সৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে মো. আসাদুজ্জামান নামের এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এটিই এবারের হজে প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু।

শনিবার (১৮ মে) হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ১৫ মে আসাদুজ্জামান মদিনায় মসজিদে নববীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পরেন। পরে তাকে কিং সালমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ৭ নম্বর মাসকা ইউনিয়নের সাতাশী গ্রামের বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান।

এদিকে শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

;