থার্ড ক্যারিয়ার যুক্ত হলে হজযাত্রীদের অর্থ সাশ্রয় হবে, হাব মহাসচিব



জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হয় বিমান ভাড়া কমিয়ে দেওয়া হোক, নয়তো থার্ড ক্যারিয়ার চালু করা হোক, দাবী হাব মহাসচিবের। ছবি: বার্তা২৪

হয় বিমান ভাড়া কমিয়ে দেওয়া হোক, নয়তো থার্ড ক্যারিয়ার চালু করা হোক, দাবী হাব মহাসচিবের। ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মক্কা মোকাররমা (সৌদি আরব) থেকে: ১৫ আগস্ট ২০১৮। ফ্লাইট বিজি- ৫০৯৩। বাংলাদেশ বিমানের হজ ফ্লাইট। বেলা পৌনে ১টায় উড়াল দেবে জেদ্দার উদ্দেশে। হাব মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম যথাসময়ে পৌঁছে গেছেন বিমানবন্দরে। বোডিং পাশ সংগ্রহ করতে যাবেন, এ সময় জানতে পারলেন হজ এজেন্সির প্রতারণায় ভিসা হওয়া সত্বেও ৯ হজযাত্রী সৌদি আরবে যেতে পারছেন না। টিকেট না করেই গা ঢাকা দিয়েছে দুই এজেন্সির মালিক।

মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। ততক্ষণে যাত্রাসঙ্গী ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ও ধর্ম সচিব মো. আনিসুর রহমান উঠে গেছেন বিমানে।

মুহূর্তের সিদ্ধান্তে যাত্রা বাতিল করলেন। কিভাবে হজযাত্রীদের মক্কায় নেওয়া যায়, সেই ভাবনাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়লেন তিনি। তড়িঘড়ি করে হজযাত্রীদের পাসপোর্টগুলো সংগ্রহ করলেন। এবার প্রয়োজন টিকেট। অসহায় হজযাত্রীদের মুখের দিকে তাকিয়ে নিজেই সংগ্রহ করলেন টিকেটের টাকা।

এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়েই ফোন দিলেন সৌদি এয়ারলাইন্সের কান্ট্রি ম্যানেজারকে। ১৭ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এই উড়ান সংস্থাটির হজ ফ্লাইট। জবাব এলো, কোনো ফ্লাইটেই আসন খালি নেই। ভরসা কেবল রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থা ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।’ সর্বশেষ ফ্লাইট বিজি-৭০৯৩। ঢাকা ছাড়বে বিকেল ৪ টা ৫১ মিনিটে। হাতে সময় অল্প।

ফোন করলেন বিমানের এমডিকে। যে করেই হোক ৯টি টিকেট চাই। টিকেট মিললো। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পেরিয়ে গেলো- ফ্লাইটেই সময়। দুই ঘন্টা দেরিতে ছাড়লো সর্বশেষ হজ ফ্লাইট।

একে একে নয় হজযাত্রী বিমানে আরোহণ করলেন। সবার শেষে শাহাদাত হোসাইন তসলিম। পাইলট তখন এগিয়ে এসে বুকে জড়িয়ে নিলেন তাকে।

ততক্ষণে বিমান যাত্রার বিলম্বের পেছনে নয় হজযাত্রীকে নিয়ে তসলিমের যুদ্ধের গল্পটা ছড়িয়ে গেছে যাত্রীদের কানে কানে।

শ্বাসরুদ্ধকর এ মিশন যেন হার মানায় মিশন ইম্পসিবলকেও!

চলতি মৌসুমে হজ ব্যবস্থাপনার নিয়ে মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশনে- হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) কার্যালয়ে যখন বার্তা২৪.কমকে এ অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন, তখন কক্ষজুড়ে যেন পিনপতন নীরবতা।

‘আমি বলেছিলাম, ভিসা হলে কোনো হজযাত্রীকে রেখে আমি হজে যাবো না। আমি আমার কথা রেখেছি। আমার বাবা বেঁচে থাকলে এ কথা শুনে অনেক খুশি হতেন।

আমার বাবা নেই। বাবার বয়সী এই মানুষগুলোর মলিন মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি। তাদের অনিশ্চিত যাত্রাকে নিশ্চিত করতে পেরেছি- এটাই আমার প্রাপ্তি।’

অবশ্য শাহাদাত হোসাইন তসলিমের জন্যে এ অভিজ্ঞতা নতুন নয়। আগেরবার ‘নিবিড় হজ-ওমরা অ্যান্ড ট্যুরিজম’ নামের এক এজেন্সি মালিকের প্রতারণায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ৪৪ জনের হজযাত্রা। সেবার নিজেই সৌদি অ্যাম্বাসিতে ছুটে গিয়ে টানা দুই ঘণ্টা বসে থেকে ৪৪ হজযাত্রীর ভিসা করিয়ে আনেন শাহাদাত হোসাইন তসলিম।

কুমিল্লার সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের মরহুম মাওলানা রশিদ আহমেদের ছেলে তসলিম। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সবার বড় তসলিম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে উচ্চ শিক্ষার্থে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে।

বিশ্বের অন্যতম সেরা সিটি ইউনিভার্সিটি অফ নিউইর্য়ক থেকে পড়াশোনা শেষ করে নিজেকে গড়ে তোলেন উদ্যোক্তা হিসেবে।

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা থেকে আমদানি- রপ্তানি বাণিজ্য। প্রথমে দেশ থেকে গ্রে টিশার্ট আমদানী, সময়ের ব্যবধানে নানা দেশ থেকে ফ্রোজেন ও ড্রাই ফুড আমদানি। তারপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ডাইনেস্টি ট্রাভেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসাইন তসলিম হাবের নেতৃত্বে আসেন ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল। রাজধানীর নয়াপল্টনে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) নির্বাচনে সরকার সমর্থিত গণতান্ত্রিক ঐক্য ফ্রন্টের প্যানেলে মহাসচিব নির্বাচিত হন তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/31/1535705624632.jpg

নির্বাচিত হয়েই প্রথমে যে কাজটা করি, সেটা হলো- ট্রলি নিয়ে দুর্নীতির পাহাড়ে গুড়িয়ে দেওয়া। ট্রলির জন্যে প্রতি হজযাত্রীর কাছ থেকে ২৫শ’ টাকা নেওয়া হতো।

বিনিময়ে হাজার টাকার নিচে নিম্নমানের ট্রলি গছিয়ে দিয়ে লোপাট করা হতো- কোটি কোটি টাকা।

ধরেন, হাজীদের কাছ থেকে নেওয়া হলো- ৩০/৩১ কোটি টাকা। কেনা হলো- ৮ কোটি টাকার ট্রলি। টেন্ডারের নামে অবশিষ্ট টাকা লোপাট।

প্রথম চিঠিতেই ধর্ম মন্ত্রণালয়কে জানালাম, এটা চলতে দেওয়া যায় না। ট্রলি ব্যবসার সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।

নানা হুমকি, চোখ রাঙানি, প্রচ্ছন্ন ভয়-ভীতির তোয়াক্কা না করে সিদ্ধান্তে অটল থাকলাম। বন্ধ হলো- ট্রলি কারবারে দুর্নীতি।

প্রশিক্ষণের জন্যে হজযাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হতো জনপ্রতি ২শ’ টাকা।

আমি বললাম, এটা হাজীদের হক। তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। জেলায় জেলায় শুরু হলো- হাজীদের প্রশিক্ষণ। আমি প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে ইন্দোনেশিয়া সফরকালে দেখলাম, তারা হাজীদের খুঁটিনাটি বিষয় থেকে শুরু করে প্রতীকী কাবা ঘর তৈরি করে কিভাবে সেখানে তাওয়াফ করতে হবে সে প্রশিক্ষণটাও দিচ্ছে। আমাদের দেশে যে প্রশিক্ষণটা শুরু হলো, আশা করছি, একদিন আমরাও হজযাত্রীদের সে রকম নিবিড় প্রশিক্ষণ দিতে পারবো।

মক্কায় আগে হাবের অর্থে জমজম টাওয়ার বা হিলটনের মতো পাঁচ তারকা মানের হোটেলে থাকতেন হাবের শীর্ষ নেতৃত্ব।

গেলো বার আমি হিলটনে নিজের অর্থে রুম বুকিং দিলাম। মনে হলো- আরে আমি যে হিলটনে থাকছি, সবাই তো ভাববে হাবের অর্থে থাকছি।

তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে হিলটন ছেড়ে এলাম। হজযাত্রীর সংখ্যানুপাতে হাবের একটা বাজেট থাকে। ২০১৬ সালে ব্যয় হয়েছে ৫৪ লাখ টাকা। আমি দায়িত্ব নেবার পর গত বছর ব্যয় হয়েছে মাত্র ১৭ লাখ টাকা। এবার তো ব্যয়ই দেখছি না।

আমি ব্যবসায়িক কাজে লন্ডন, নিউইর্য়ক, টরোন্টোতে যেসব হোটেলে থাকি, আপনি আমার সাথে মক্কায় আমার রুমে চলেন। কিছুতেই সে হিসাব মেলাতে পারবেন না। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হাজীদের জন্যে যে ১ ভাগ বাড়ি ফাঁকা থাকে, আমরা সেখানে উঠেছি।

লক্ষ্য একটাই দেশের অর্থ সাশ্রয় করা।

আমি যুদ্ধ করছি, বিমান পরিবহন ব্যবস্থাপনা নিয়ে। হজযাত্রী পরিবহনে মাত্র দু’টি বিমান সংস্থার পরিচালনায় আমাদের আপত্তি রয়েছে।

হয় বিমানের ভাড়া কমিয়ে দেওয়া হোক, নয়তো থার্ড ক্যারিয়ার হিসেবে নতুন বিমান সংস্থাকে যুক্ত করা হলে এই খাতে মনোপলি ব্যবসা থাকবে না। প্রতিযোগিতা এলে হজযাত্রীদের অর্থের সাশ্রয় হবে।

ধরুন, বিমান যদি ভাড়া কমিয়ে দেয়, তাহলে সৌদি এয়ারলাইন্সকে হয় সে ভাড়ায় যাত্রী টানতে হবে- না হয়, ব্যবসা ছেড়ে যেতে হবে। তখন থার্ড ক্যারিয়ার হিসেবে অনেক পরিবহন সংস্থার ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ আসবে।

হজ নিয়ে সমন্বয় সভায় যখন আমি এসব কথা বলি, তখন অনেকে মন খারাপ। কিন্তু আমি বলেই যাবো। আমার কাছে দেশের মানুষের স্বার্থ আগে।

আমি হয়তো সুপারম্যান হতে পারবো না, কিন্তু সততা আর সাহস থাকলে যে অনেক কিছুতেই ঝলক দেখানো যায়- তা প্রমাণ করে দেবো।

নিজের সংগঠনের অনেক এজেন্সির বিরুদ্ধে তো নানা অভিযোগ। তাদের বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি?

আমি দায়িত্ব নেবার পর অভিযোগ কমে এসেছে। এটাকে শূন্যের কোটায় আনার কাজ চলছে। হজ নীতিমালা থেকে হজ আইন হচ্ছে। এই আইনটা হলে দেখবেন অনেক কিছুই স্বচ্ছ হয়ে যাবে।

ব্যবসার পাশাপাশি মানুষের কল্যাণে কাজ করার ব্যস্ততায় আর গাঁটছড়া বাঁধার সময় হয়নি শাহাদাত হোসাইন তসলিমের। অকৃতদার বলেই কি এত সাহস?

না, আসলে ঠিক তা না নয়। বলতে পারেন আমার পারিবারিক আদর্শ, ঐতিহ্য আর বাইরে উচ্চ শিক্ষার প্রভাব।

রাজনৈতিক উচ্চবিলাস?

না, নেই। কুমিল্লা-১০ সংসদীয় আসনের সাংসদ, সফল পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের জন্যে আমরা গর্বিত।

অঢেল স্নেহ আর মমতায় তিনিই আমাকে গড়ে তুলেছেন। তার কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই আমার।

পুণরায় হাবের নেতৃত্বে আসার স্বপ্ন?

এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে এটা হলফ করে বলতে পারি যে, হাবের জন্যে আমার ব্যক্তিজীবনকে জলাঞ্জলি দিয়েছি।

   

বদলি হজ কখন করাবেন



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মসজিদে হারামের প্রবেশ পথ, ছবি: সংগৃহীত

মসজিদে হারামের প্রবেশ পথ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যস্ততার কারণে কেউ হজে যেতে না পারলে অন্য কাউকে দিয়ে বদলি হজ করানো যাবে না। কারণ এটি শরিয়ত নির্দেশিত অপারগতা নয়। বদলি হজ কেবল শরিয়তের দৃষ্টিতে মক্কায় যেতে অপারগদের জন্য প্রযোজ্য। বদলি হজের বিধান হলো-

হজ ফরজ হওয়ার পর হজ করা হয়নি, এখন শারীরিকভাবে মক্কায় যেতে অক্ষম এমন ব্যক্তির জন্য অন্য কাউকে পাঠিয়ে হজ করা ফরজ। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম

বার্ধক্য বা অসুস্থতা থেকে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কম হতে হবে। -মানাসিক লি-মোল্লা আলি কারি

অসিয়ত না করলেও মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশরা চাইলে তার জন্য বদলি হজ করাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো- ওয়ারিশদের সবার স্বতঃস্ফূর্ত অনুমোদন লাগবে এবং ওয়ারিশদের মধ্যে কেউ অপ্রাপ্তবয়স্ক থাকলে তার ভাগের সম্পদ থেকে কিছুই নেওয়া যাবে না। -আদ দুররুল মুখতার

যার পক্ষ থেকে হজ করা হবে, তাকেই খরচ বহন করতে হবে। অসিয়ত করে গেলে প্রথমে তার রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে ঋণ আদায় করতে হবে। এরপর অসিয়তের বিধান অনুযায়ী বাকি সম্পদ তিন ভাগ করতে হবে। এর মধ্যে এক ভাগ থেকে অসিয়তের অংশ নিতে হবে। হজের অসিয়ত করে গেলে সেই খরচও এই অংশ থেকে নিতে হবে। -মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা

আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের সেবায় সৌদি ঐতিহ্য

বদলি হজের বিনিময়ে মজুরি নেওয়া নাজায়েজ। কারণ ইবাদতের বিনিময়ে কোনো মজুরি নেওয়া যায় না। কেউ দিলে এবং নিলে দুজনেই গোনাহগার হবেন। হজের জন্য প্রয়োজনীয় খরচের বাইরে কোনো ধরনের লেনদেন করা যাবে না। -আল-বাহরুল আমিক

টাকা-পয়সার হিসাবের ঝামেলা এড়ানোর জন্য হজে পাঠানো ব্যক্তি যদি বদলি হজকারীকে বলেন, আপনাকে পুরো টাকা হাদিয়া হিসেবে দিলাম, তাহলে এই টাকা দিয়ে বদলি হজ আদায় হবে না। কারণ হাদিয়া দেওয়ার কারণে বদলি হজকারী ওই টাকার মালিক হয়ে যান। -যুবদাতুল মানাসিক

হজ করেছেন এমন নেককার ব্যক্তিকে বদলি হজের জন্য পাঠানো উত্তম। হজ করেননি এমন ব্যক্তিকে পাঠানো বৈধ। তবে হজ ফরজই হয়নি এমন ব্যক্তিকে পাঠানো মাকরুহে তানজিহি। আর হজ ফরজ হলেও আদায় করেননি এমন ব্যক্তিকে পাঠানো মাকরুহ তাহরিমি তথা নাজায়েজ। -সুনানে আবু দাউদ

;

হজযাত্রীদের সেবায় সৌদি ঐতিহ্য



রাহাফ জামবি
অতীতে হজযাত্রীরা দীর্ঘসময় নিয়ে জাহাজে করে আসতেন জেদ্দায়, ছবি: সংগৃহীত

অতীতে হজযাত্রীরা দীর্ঘসময় নিয়ে জাহাজে করে আসতেন জেদ্দায়, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষাটের দশকে বেশিরভাগ মানুষ পবিত্র হজপালন করতে আসতেন জলপথে অর্থাৎ জাহাজে। কোনো হজযাত্রীর জেদ্দাবন্দরে পৌঁছাতে চার-পাঁচ মাস সময় লেগে যেত। জেদ্দায় আসার পরে চড়তে হতো মক্কার বাসে। এ সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের যাত্রার সঙ্গী হতেন একজন মুতাওয়িফ।

মুতাওয়িফ হলেন একজন গাইড, হজযাত্রীদের সেবা প্রদানকারী। তিনি মক্কা-মদিনায় হজযাত্রীদের নানাভাবে, নানাক্ষেত্রে সহায়তা করেন এবং তাদের যত্ন নেন, আবাসান ও খাবারের ব্যবস্থা করেন। ঐতিহ্যগতভাবে একজন মুতাওয়িফ পারিবারিকভাবে দায়িত্বটি পালন করতেন এবং এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এভাবেই রীতিটি হস্তান্তরিত হতো। একসময় এই অতীত রীতি ব্যক্তি পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে।

রিয়াদের বাসিন্দা হায়াত ইদ একজন সাবেক মুতাওয়িফ। তিনি অতীতের কথা স্মরণ করে বলেন, এ সময়টাতে তিনি তার সবচেয়ে সুন্দর পোশাক পরে, বাড়িতে ধূপ জ্বালিয়ে দূর থেকে আসা হজযাত্রীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত থাকতেন।

ইদের দাদা একসময় হজযাত্রীদের আবাসনের ব্যবস্থা করে দিতেন এবং সেগুলো নিজেই পরিষ্কার করতেন। তিনি হজযাত্রীদের সহায়তা দেওয়ার জন্য সুপারভাইজার এবং অনুবাদক নিয়োগ করতেন। পরে এ দায়িত্ব বর্তায় তার ছেলে ইদের বাবার হাতে।

হায়াত ইদের বাবা জামিল আবদুর রহমান ইদ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার হজযাত্রীদের ‘শায়খ’ (শায়খ একটি সম্মানসূচক পদবি। এটি সাধারণত ধর্মীয় শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতো। তবে সৌদি আরবে কোনো বিষয়ে অভিজ্ঞদের পদবি হিসেবেও শায়খ ব্যবহৃত হয়।) ছিলেন বলে জানান তিনি। জনসাধারণের মাঝে মুতাওয়িফদের শায়খ হিসেবেই পরিচিতি ছিল।

ইদ পরিবার বংশ পরম্পরায় হাজিদের সেবা করে আসছেন, ছবি: সংগৃহীত

হায়াত ইদ বলেন, ‘আমার দাদার পাশাপাশি দাদীও মুতাওয়িফ ছিলেন। আমার দাদা ছিলেন ‘জাভার শায়খ’ অর্থাৎ ইন্দোনেশিয়া থেকে আগত হজযাত্রীদের সেবা করতেন তিনি। আমার দাদা-দাদি মারা যাওয়ার পর আমার বাবা মুতাওয়িফের পদ গ্রহণ করেন।’

যাট ও সত্তরের দশকের সেই দিনগুলোর কথা মনে করে ৫০ বছর বয়সী ইদ বলেন, হজযাত্রীরা তার পরিবারকে চিঠি পাঠাতেন যেন তাদের আবাসনের সুযোগ হয়। হজযাত্রীদের জন্য ঈদের সময় বাড়তি খাবারেরও প্রস্তুতি নিত তার পরিবার।

শায়খরা হজযাত্রীদের হজের আচার-অনুষ্ঠান এবং তাদের কী করা উচিত সেসব বুঝিয়ে দিতেন। তাদেরকে মক্কা এবং অন্যান্য স্থানে নিয়ে যাওয়া এবং সঙ্গে করে বাড়ি ফিরে আনার দায়িত্ব ছিল তাদের।

এ সময় তার ভাই আদেল ইদ বলেন, মুতাওয়িফের ভূমিকা অতীতে একটি স্বতন্ত্র অবস্থান ছিল কিন্তু এখন এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক ভূমিকায় পরিণত হয়েছে।

হজযাত্রীদের খাবারের প্রস্তুতি, ছবি: সংগৃহীত

প্রত্যেক মুতাওয়িফকে তাদের সামর্থ্যের ভিত্তিতে নির্দিষ্টসংখ্যক হজযাত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হত। কেউ মাত্র ১০০ জনের দায়িত্ব নিত, আবার অনেকে ১ হাজার জনেরও দায়িত্ব নিতে পারত। তবে তাদের অবশ্যই হজযাত্রীদের ভাষা বোঝার জন্য বা তাদের সঙ্গে কথা বলতে দোভাষী নিয়োগ দিতে হত।

তিনি বলেন, প্রত্যেক মুতাওয়িফ একাই হজযাত্রীদের সেবা করতে পারতেন। তারা নির্দিষ্ট এলাকার হজযাত্রীদের সুষ্ঠুভাবে সেবা প্রদানের জন্য সেসব দেশে ভ্রমণ করতেন এবং তাদের বিভিন্ন বিষয়গুলো শিখে আসতেন। তাদের খাদ্যাভ্যাস, রুচি, আচার-আচরণ ও ভাষা রপ্ত করাও ছিল একজন মুতাওয়িফের বিশেষ গুণ।

ইদ পরিবার ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা হজযাত্রীদের সহায়তা করত। তাই তারা মালয় ভাষা এবং তাদের মেহমানদের পছন্দের মশলা এবং খাবার সম্পর্কে শিখেছিলেন, যেন তারা হজযাত্রীদের যতটা সম্ভব মক্কাকে নিজের বাড়ি অনুভব করাতে পারেন।

একইভাবে ৪৬ বছর বয়সী উইজদান আবদুর রাজ্জাক লুলু বুকাস উত্তরাধিকারসূত্রে মুতাওয়িফের পেশা পেয়েছেন। তিনি মালয় ভাষায় সাবলীল ছিলেন। তার বাবা এবং দাদার কাছ থেকে মালয় ভাষা রপ্ত করেন তিনি।

১৯৯৩ সালে হজযাত্রীদের সঙ্গে আবদুর রাজ্জাক লুলু বুকাস, ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, কিছু জাতীয়তা বা দেশের ভাষা অন্যদের চেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং বলে মনে হয়। এক্ষেত্রে আমরা সে দেশের অনুবাদক নিয়োগ দিই। উদাহরণস্বরূপ, আমরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার হজযাত্রীদের সেবাপ্রদানের ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলি। কিন্তু চীনা ভাষা কঠিন, তাই আমরা চীনা যাত্রীদের জন্য একজন দক্ষ অনুবাদক নিয়োগ দিয়েছি।

বুকাস বলেন, কিছু হজযাত্রী ঈদুল আজহায় মুতাওয়িফকে উপহার দেওয়ার জন্য উপহার হিসেবে সোনা বা মুক্তা নিয়ে আসতেন। তার বাবা, আবদুল হান্নান লুলু বুকাস হজযাত্রীদের কাছ থেকে অনেক উপহার পেয়েছেন বলে তার নামের সঙ্গে লুলু যোগ করেছেন যার অর্থ মনিমুক্তা।

মুতাওয়িফ থাকা অবস্থায় ঘটা এক অবিস্মরণীয় পরিস্থিতির বর্ণনা করেন বুকাস। তিনি একজন গর্ভবতী নারী হজযাত্রীর কথা বলেন, যিনি হজে এসে বাচ্চা জন্ম দিয়েছিলেন। তিনিই তখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং ওই নারী নিরাপদে সন্তান জন্ম দেন।

বুকাস বলেন, তিনি বছরের পর বছর ধরে হজের বহু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তবে বর্তমান সময়ে বেশ ভালোই পরিস্থিতির পরিবর্তন দেখেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, অতীতে এবং আধুনিক সময়ের হজের মধ্যে পার্থক্য হলো- যাতায়াত ও আবাসনের অসুবিধা এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আগে কয়েক মাস সময় লেগে যেত। যা এখন মাত্র ঘণ্টায় সমাধান হয়ে যায়। এক্ষেত্রে সৌদি সরকারের প্রশাসনিক সুবিধার বিষয়টির ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

আরব নিউজ থেকে অনুবাদ আসমা ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম

;

সৌদিতে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমে হজ পালন করতে গিয়ে মো. মোস্তফা (৮৯) নামে আরও এক হজ যাত্রী মারা গেছেন। শনিবার (১৮ মে) মক্কায় মারা যান তিনি।

রোববার (১৯ মে) রাত ২টার হজ পোর্টালের আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, গত বুধবার (১৫ মে) চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবের প্রথম বাংলাদেশি এক হজযাত্রী মারা যান। মো. আসাদুজ্জামান নামের ওই ব্যক্তি মদিনায় মৃত্যুবরণ করেন।

এ দিকে পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত (১৮ মে রাত ১টা ৫৯ মিনিট) সৌদি পৌঁছেছেন ২৮ হাজার ৭৬০ জন হজযাত্রী। মোট ৭২টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২৫ হাজার ১৩ জন। এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ৮৬২টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।

হেল্প ডেস্কের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত মোট ৭২টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২৮টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৬টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত মধ্যরাত পর্যন্ত ৮১ হাজার ৮৬২ জন হজযাত্রীর ভিসা ইস্যু হয়েছে। সে হিসেবে এখনো ৩ হাজার ৩৯৫ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি। সর্বশেষ শনিবার (১৮ মে) মো. মোস্তফা নামের ৮৯ বছর বয়সী হজযাত্রী মক্কায় মারা যান।

;

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না বলে আশাবাদী বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।

ভিসা না হওয়া হজযাত্রীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। তবে বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, চলতি হজ মৌসুমে নিবন্ধিত সবার ভিসা হবে বলে আমি আশাবাদী। কয়েকটি এজেন্সির হজযাত্রী নিয়ে জটিলতা হচ্ছে, তার অর্ধেকই ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। বাকি কাজ সমাধানের পথে।

জিলহজ মাসে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে ৯ মে শুরু হওয়া হজফ্লাইট শেষ হবে ১০ জুন। এই সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। ইতোমধ্যে ২৮ হাজার ৪ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। ৮২ হাজার ১০০ জনের ভিসা ভিসা হয়েছে। এখনও বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত ৩ হাজার ৩৩৬ জনের ভিসা হয়নি।

মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, পরিচালক, হজ অফিস, ছবি: বার্তা২৪.কম

জানা গেছে, যথাসময়ে ভিসার আবেদন না করায় ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ৫৭০, যাত্রী সংখ্যা ২৮৬), আনসারি ওভারসিস (লাইসেন্স ৬০১, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি (লাইসেন্স ৬৭২, যাত্রী সংখ্যা ৪৪৪), মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ১০২৫, যাত্রী সংখ্যা ৩৭৫), নর্থ বাংলা হজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স ১০৮৬, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস (লাইসেন্স ১৪৬২, যাত্রী সংখ্যা ২৫০) কে ধর্ম মন্ত্রণালয় শোকজ করে। এসব এজেন্সির মাধ্যমে ১ হাজার ৮৭৫ জনের চলতি বছর হজে যাওয়ার কথা রয়েছে।

আর আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সির নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কারও ভিসা না করায় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়ার দেশত্যাগ স্থগিত ও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সিসহ অভিযুক্ত এজেন্সির মালিকদের নিয়ে আমরা বসে, পয়েন্ট পয়েন্ট ধরে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেছি। ইতোমধ্যে হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস, ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এবং মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্যদেরও হয়ে যাবে। নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালন থেকে বঞ্চিত হবেন না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এমন আশাবাদী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাব সভাপতি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব অংশে যে পরিমাণ অর্থ প্রেরণ করা দরকার এজেন্সিগুলো তা পাঠিয়েছে। আর যতটুকু সমস্যা রয়েছে, আশা করি তা সমাধান করা যাবে।

এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ছবি: বার্তা২৪.কম

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি এবার হজে কোনো লোক পাঠাইনি। আকবর হজ গ্রুপের মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী তার লাইসেন্সে সমস্যা হওয়ায় আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে ৪৪৮ জন হজযাত্রী পাঠাচ্ছে। চলতি সমস্যা নিয়ে হাব সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে মুফতি লুৎফর রহমান সৌদি থেকে ফোনে কথা বলেছেন, তিনি আশ্বস্থ করেছেন; আজকালের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ জনের ভিসা হয়ে যাবে। আর আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে সবার ভিসা হয়ে যাবে। তিনি মদিনার বাড়ি ভাড়া করেছেন, মক্কার বাড়িও ভাড়া হওয়ার পথে।’

;