পশ্চিমবঙ্গে করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, চিন্তিত রাজ্যে চিকৎসকরাও

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলকাতা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

পশ্চিমবঙ্গে ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, রাজ্যে ৪৭ হাজারের বেশি করোনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ৭৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে একদিনে করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৬৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। এরমধ্যে কলকাতায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯২২ জন। রাজ্যে করোনার গ্রাফের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা শহর।

অপরদিকে, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ হাজার ৩৭৯ জন দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১২৪ জনের। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯২ জনের শরীরে মিলেছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। দেশটিতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮৯২। তবে একদিনে দেশটিতে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১ হাজার ৭ জন।

বিজ্ঞাপন

অর্থাৎ গোটা ভারতের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ-সহ রাজ্যগুলোতে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া। সঙ্গে রয়েছে ওমিক্রন সংক্রমণ। এমন এক পরিস্থিতিতে আশঙ্কার কথা শোনালেন পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট চিকিৎসকরা। তাদের দাবি কোভিড একটা স্থিতাবস্থায় এসেছিল। তবে তা আর নেই। সংক্রমণ বাড়ছে। ফলে সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) কলকাতার পিজি হাসপাতালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেছেন, সবাই প্রশ্ন করছেন তৃতীয় ঢেউ এসেছে কিনা? আসবে কিনা? বা কী অবস্থায় রয়েছে? এনিয়ে স্পষ্ট বলেতে চাই যে, আমার করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে রয়েছি। এনিয়ে কোনও দ্বিধা নেই। ভারতসহ পশ্চিমবঙ্গের কথা বিচার করে যদি ২৭ ডিসেম্বর থেকে ধরা যায়, তাহলে ১০-১২ দিনের মধ্যে বিশাল সংখ্যক রোগী করোনার কবলে পড়বে।

বিজ্ঞাপন

পশ্চিমবঙ্গে ১০ কোটি জনসংখ্যা। সংক্রমণের এই গতি বজায় থাকলে এই রাজ্যে দৈনিক সাড়ে তিনলাখ কেস হওয়া উচিত। হয়তো অত করোনা পরীক্ষা হবে না। তা সত্ত্বেও বিশাল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। যারা বয়স্ক মানুষ তাদের ভ্যাকসিনের ইমিউনিটি অনেকটাই কমে এসেছে। তাদের আবার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিনই চিকিৎসকেরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এ বিষয়ে চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেছেন, ডাক্তাররা একেবারে প্রথমদিকে ভ্য়াকসিন নিয়েছিলেন, তাই তারা আক্রান্ত হচ্ছেন। এক একটা হাসপাতালে ৬০-৭০ জন প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন। অর্থাৎ ভ্যাকসিনের ইমিউনিটি যখন কমে আসছে তখন ফের একটা সংক্রমণের ঢেউ আসছে।

ফলে চূড়ান্ত পর্য়ায়ের জন্য প্রস্তুতি থাকতে হবে। এই মুহূর্তে করোনা ঠেকানের হাতিয়ার হল মাস্ক। মাস্ক ছাড়া যদি আমরা ভাবি আমার একবার কোভিড হয়েছিল, আর হবে না তাহলে তা কিন্তু ভুল ভাবছেন। এখন মাস্ক আমাদের ভরসা, সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে।