ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা কলকাতার ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করলো কলকাতার ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাব। এ উপলক্ষে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়।

একুশে ফেব্রুয়ারি দুপুরে কলকাতার সিআইটি রোডে ক্লাবের অস্থায়ী ঠিকানায় প্রথমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

ইন্দো বাংলা প্রেস ক্লাবের তরফে ক্লাবের মেন্টর পরিতোষ পাল, সভাপতি কিংশুক চক্রবর্তী, সম্পাদক শুভজিৎ পুততুন্ডু, ক্লাব সদস্য জ্যোতির্ময় দত্ত, সুব্রত আচার্য শহীদ বেদীতে প্রথম শ্রদ্ধা জানায়। এরপর শ্রদ্ধা জানায় কলকাতাস্থিত বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন। এরপর যথাক্রমে প্রথম আলো, সময় টেলিভিশন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর, বাংলা নিউজ২৪.কম, বাংলাদেশ প্রতিদিন, জাগো নিউজ, যমুনা টেলিভিশন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন, দৈনিক কালবেলা, ৭১ টেলিভিশন, সময়ের আলো, এটিএন কলকাতা, কলকাতার আজতক সহ দুই বাংলার গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাদের প্রতিষ্ঠানের হয়ে শহীদ বেদীতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

এছাড়াও ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য উৎপল রায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

কলকাতায় কর্মরত বাংলাদেশি গণমাধ্যমের কর্মীদের পরিবারের সদস্যরাও এদিন শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।


এই কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্বে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। যেখানে ক্লাবের সদস্যরা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা রক্তদান করেন।

রঞ্জন সেন বলেন 'বাংলাদেশের  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও তৎপরতার ফলে ৯০ দশকের শেষ দিকে জাতিসংঘে প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের ঘোষনা করে জাতিসংঘ। তার অভিমত বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের সূচনা বলা হয় এই ভাষা আন্দোলনকে।

ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আরও বলেন 'এই ভাষার জন্য যারা রক্ত দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি যেভাবে শ্রদ্ধা জানানো হলো তাতে, ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ।'

ক্লাব মুখপাত্র দীপক দেবনাথ বলেন 'একুশে ফেব্রুয়ারি গোটা বিশ্বে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে একটি গৌরবময় এবং অহংকারের দিন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষা আন্দোলনের জন্য প্রাণ দিতে হয়েছিল সালাম-বরকত-শফিউর-জব্বরদের।

১৯৯৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এই একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ। স্বাভাবিকভাবেই এইরকম একটি ঐতিহাসিক দিনে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পেরে ক্লাব গর্বিত।'

কলকাতায় সোমঋতা মল্লিকের অ্যালবাম 'ঈদের চাঁদে লেখা' উন্মোচন



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কলকাতায় সোমঋতা মল্লিকের অ্যালবাম ঈদের চাঁদে লেখা উন্মোচন

কলকাতায় সোমঋতা মল্লিকের অ্যালবাম ঈদের চাঁদে লেখা উন্মোচন

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী, ছায়ানট কলকাতার সভাপতি সোমঋতা মল্লিকের একক অ্যালবাম 'ঈদের চাঁদে লেখা' আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়েছে কলকাতায়।

রোববার (৭ মে) কলেজ স্ট্রিটের অভিযান বুক ক্যাফেতে বিহান মিউজিক থেকে প্রকাশিত সোমঋতা মল্লিকের কণ্ঠে কাজী নজরুল ইসলামের ইসলামী গানের সংকলন 'ঈদের চাঁদে লেখা' উন্মোচিত হয়।

অ্যালবামটিতে মোট ৬ টি গান আছে, যার সঙ্গীত আয়োজন করেছেন গৌতম সোম এবং রেকর্ডিং হয়েছে স্টুডিও 'ভাইব্রেশনস্'-এ। সকাল হ'ল শোন্ রে আজান, তৌহিদেরি মুর্শিদ আমার মোহাম্মদের নাম, তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে, জরীন হরফে লেখা, হেরা হতে হেলে দুলে, ফুলে পুছিনু, 'বল, বল ওরে ফুল!' - এই ৬টি গান রয়েছে অ্যালবামটিতে। অ্যালবামের কয়েকটি গান বাংলাদেশের জনপ্রিয় মাল্টিমিডিয়া নিউজপোর্টাল বার্তা২৪.কম০'র ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।

অ্যালবাম প্রকাশ অনুষ্ঠানে নজরুলের ইসলামী গানে সম্বন্ধে আলোকপাত করেন বিশিষ্ট নজরুল গবেষক ড. শেখ মকবুল ইসলাম (ডি. লিট.), বিভাগীয় প্রধান, বাংলা বিভাগ, সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজ, কলকাতা। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী মধুমিতা বসু।

প্রসঙ্গত, কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রথম ইসলামী গান সম্পর্কে স্মৃতিচারণা করেছেন কিংবদন্তি-শিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহ্‌মদ তাঁর 'আমার শিল্পী জীবনের কথা' গ্রন্থে। তিনি জানান, “কাজিদা, একটা কথা মনে হয়। এই যে পিয়ারু কাওয়াল, কাল্লু কাওয়াল এরা উর্দু কাওয়ালি গায়, এদের গানও শুনি অসম্ভব বিক্রি হয়, এই ধরণের বাংলায় ইসলামী গান দিলে হয়না? তারপর আপনি তো জানেন কিভাবে কাফের, কুফর ইত্যাদি বলে বাংলার মুসলমান সমাজের কাছে আপনাকে অপাংক্তেয় করে রাখবার জন্য আদা জল খেয়ে লেগেছে একদল ধর্মান্ধ। আপনি যদি ইসলামী গান লেখেন তাহলে মুসলমানের ঘরে ঘরে আবার উঠবে আপনার জয়গান।”

কথাটা তাঁর মনে লাগল। তিনি বললেন, “আব্বাস, তুমি ভগবতী বাবুকে বলে তাঁর মত নাও, আমি ঠিক বলতে পারব না।” আমি ভগবতী ভট্টাচার্য্য অর্থাৎ গ্রামোফোন কোম্পানীর রিহার্সেল- ইন- চার্জ কে বললাম। তিনি তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন, “না না ওসব গান চলবেনা। ও হতে পারেনা।”

মনের দুঃখ মনেই চেপে গেলাম। এর প্রায় ৬ মাস পরে। একদিন দুপুরে বৃষ্টি হচ্ছিল, আমি অফিস থেকে গ্রামোফোন কোম্পানীর রিহার্সেল ঘরে গিয়েছি। দেখি একটা ঘরে বৃদ্ধা আশ্চর্যময়ী আর বৃদ্ধ ভগবতী বাবু বেশ রসাল গল্প করছেন। আমি নমস্কার দিতেই বৃদ্ধ বললেন, “বসুন বসুন”। আমি বৃদ্ধের রসাপ্লুত মুখের দিকে চেয়ে ভাবলাম, এই-ই উত্তম সুযোগ। বললাম, “যদি কিছু মনে না করেন তা হলে বলি। সেই যে বলেছিলাম ইসলামী গান দেবার কথা, আচ্ছা, একটা এক্সপেরিমেন্টই করুন না, যদি বিক্রি না হয় আর নেবেন না, ক্ষতি কি?” তিনি হেসে বললেন, “নেহাতই নাছোড়বান্দা আপনি, আচ্ছা আচ্ছা করা যাবে।”

শুনলাম পাশের ঘরে কাজিদা আছেন। আমি কাজিদাকে বললাম যে ভগবতী বাবু রাজি হয়েছেন। তখন সেখানে ইন্দুবালা কাজিদার কাছে গান শিখছিলেন। কাজিদা বলে উঠলেন, “ইন্দু তুমি বাড়ি যাও, আব্বাসের সাথে কাজ আছে।” ইন্দুবালা চলে গেলেন। এক ঠোংগা পান আর চা আনতে বললাম দশরথকে। তারপর দরজা বন্ধ করে আধঘন্টার ভিতরই লিখে ফেললেন, ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ’। তখুনি সুরসংযোগ করে শিখিয়ে দিলেন। পরের দিন ঠিক এই সময়ে আসতে বললেন। পরের দিন লিখলেন, ‘ইসলামের ওই সওদা লয়ে এলো নবীন সওদাগর’।

এভাবেই বাংলা সঙ্গীতে ইসলামী গানের প্রবর্তন করলেন কাজী নজরুল ইসলাম।

;

প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ রণজিৎ গুহ'র প্রয়াণ



মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ রণজিৎ গুহ'র প্রয়াণ

প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ রণজিৎ গুহ'র প্রয়াণ

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রয়াত নিম্নবর্গের ইতিহাস সাধনার অন্যতম পথিকৃৎ, প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ রণজিৎ গুহ। শুক্রবার শেষরাতে (২৮ এপ্রিল) অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাতে নিজ বাসভবনে তাঁর জীবনবসান ঘটে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। আগামী ২৩ মে তাঁর ১০০ বছরে পা দেওয়ার কথা ছিল। শতবর্ষ স্পর্শের অল্প কয়েকদিন আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন এই প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ।

১৯২৩ সালের ২৩ মে বাংলাদেশের বরিশালের বাখরগঞ্জের সিদ্ধকাটি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন রণজিৎ গুহ। কলকাতায় এসে গুহ কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। সিপিআই-এর সক্রিয় সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। গুহ প্রেসিডেন্সি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র ছিলেন। পরে ১৯৪৭ সালে ডিসেম্বরে প্যারিসে বিশ্ব ছাত্র সম্মেলনেও যোগ দেন। এর পর দলের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি একে একে সাইবেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও চীন বিপ্লব নিজের চোখে খতিয়ে দেখেন।

১৯৫৬ সালে বিদেশ থেকে ফেরার পর হাঙ্গেরিতে সোভিয়েত অনুপ্রেবেশের বিরোধিতায় তিনি দল ছেড়ে দেন। ১৯৫৯ সালে এ দেশ ছাড়ার পরে ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স, অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে তিনি অধ্যাপনা করেন। ভারত থেকে দূরে থাকলেও রণজিতের সংস্পর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দীপেশ চক্রবর্তী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্ঞানেন্দ্র পাণ্ডে, শাহিদ আমিন, গৌতম ভদ্র, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক প্রমুখ নিম্নবর্গের ইতিহাস চর্চায় ব্রতী হয়েছিলেন। তিনি একাধিক বই লিখেছিলেন। ঔপনিবেশিক ভারতে কৃষক বিদ্রোহ নিয়ে তাঁর গ্রন্থে এ দেশের গণতান্ত্রিক বোধে কৃষকের ভূমিকা তুলে ধরেন রণজিৎ।

গত মার্চেই অস্ট্রিয়ায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন দীপেশ। বয়সের ভার থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত তিনি জ্ঞানচর্চা করে গিয়েছেন।

গুহ ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে সূদূরপ্রসারী কাজ করেছেন। তিনি নিম্নবর্গীয় ইতিহাস চর্চার ধারা গড়ে তোলেন এবং বেশ কিছু সমমনোভাবাপন্ন তরুণ ঐতিহাসিককে নিয়ে একটি শক্তিশালী ঐতিহাসিক গোষ্ঠী গড়ে তোলেন। এই নিম্নবর্গীয় ইতিহাস চর্চার প্রভাব পড়ে সারা পৃথিবীতে।ঐতিহাসিক গুহ পৃথিবীর নানা জায়গায় পড়িয়েছেন, নানা জায়গায় তাঁর ছাত্র ও অনুরাগীরা আছে। ঐতিহাসিক গুহর প্রয়াণে জ্ঞানচর্চার পৃথিবীতে অপূরণীয় ক্ষতি হল।

;

কলকাতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত



কনক জ্যোতি, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কলকাতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

কলকাতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতার শরৎ স্মৃতি সদনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ছায়ানট (কলকাতা) এবং লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস যৌথ ভাবে আয়োজন করে 'মায়ের ভাষা' শীর্ষক এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে নজরুল চর্চায় নিয়োজিত ছায়ানট (কলকাতা) প্রতি বছর বাঙালির সাংস্কৃতিক জীবনের এই বিশেষ দিনটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালন করে।

এবছর প্রথমবার লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস - এর সাথে যৌথভাবে এই দিনটি উদযাপন করা হয়। ছায়ানটের সভাপতি সোমঋতা মল্লিক বার্তা২৪.কম'কে জানান, লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস হল কলকাতায় অবস্থিত ভাষা চর্চা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এর সঙ্গে যৌথ আয়োজন বাংলা ভাষা চর্চায় নতুন গতির সূচক।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সোমঋতা মল্লিক (ছায়ানট, কলকাতার সভাপতি) এবং পরিকল্পনায় ছিলেন শুভজিৎ রায় (প্রতিষ্ঠাতা, লা কাসা দে লোস পলিগ্লোতাস)। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তরুণ কুমার ঘটক (প্রাক্তন অধ্যাপক, স্প্যানিশ ভাষা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং অনুবাদক), ড. মৃন্ময় প্রামানিক (অধ্যাপক, তুলনামূলক ভারতীয় ভাষা ও সাহিত্য, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং লেখক), আন্তনীয় কোস্তা বোলুফের (পরিচালক, তাপাস্তে), সৌম্য কান্তি রায় (প্রধান সম্পাদক, এল কামিনো, ত্রিভাষিক পত্রিকা)। বিশেষ অতিথি চিত্রশিল্পী বাপ্পা ভৌমিক (কর্মরত শিল্পী, লালিতকালা) মঞ্চে এই বিশেষ দিনে তাঁর চিত্র কর্ম ফুটিয়ে তোলেন।

একুশের এই অনুষ্ঠানে প্রায় ১০০ জন শিল্পী সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন। শিশু শিল্পীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শৌভিক শাসমল।

;

ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্য হলেন বাংলার দুই বিশিষ্টজন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলকাতা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্দো বাংলা প্রেস ক্লাবের মুকুটে যুক্ত হল আরও দুই নতুন পালক। প্রেসক্লাবের সাথে যুক্ত হলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ক্রীড়া সংগঠক মো: শফিকুল আলম জুয়েল এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক, বৈশাখী টেলিভিশনের বার্তা প্রধান অশোক চৌধুরী। কলকতার সেন্ট জেমস অডিটোরিয়ামে এক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল প্রেসক্লাব।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্টদের ফুল, উত্তোরীয়, মানপত্র, স্মারক এবং কলকাতার ঐতিহ্যশালী মিষ্টি তুলে দেন প্রেসক্লাবের সদস্যরা। এরপর তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় প্রেসক্লাবের সাম্মানিক সদস্যপদ। দুজনেই তা আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেন।  

শফিকুল আলম জুয়েল বলেন, দুই দেশের সেতু বন্ধনে এই প্রেসক্লাব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নেবে বলে আমি মনে করি। আমরা আগেও দেখেছি, সংগঠন যদি শক্তিশালী না হয় তাহলে সবাই আবার ছড়িয়ে যাবে। যেহেতু আমি এই প্রেস ক্লাবের সদস্য হয়েছি, দায়িত্বটা আমার বেড়ে গেল। ইনশাল্লাহ, সবাই একসাথে মিলে ভালো নিশ্চই ভালো কিছু হবে। আমি আপনাদের পাশে সব সময় থাকবো। যে কোন প্রয়োজনে আমাকে জানাবেন আমি আপনাদের পাশে আছি।


অশোক চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের সাথে - সাংবাদিকদের পাশে, স্লোগান নিয়ে আপনারা যে ইন্দো বাংলা প্রেস ক্লাবের যাত্রা শুরু করেছেন সেজন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। বাংলাদেশের সাংবাদিকদের শুধু আপনাদের আত্মিক সম্পর্ক নয়, আরও অনেক সম্পর্ক আছে। ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যে স্বাধীনতা অর্জন করেছে সেদিন আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছিল ভারত। বিশেষ করে কলকাতা। তাই আপনাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক অনেক গভীরের। তিনি আর বলেন, ইন্দো বাংলা প্রেস ক্লাবের অনুষ্ঠানে আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, আগামী দিনের সব ধরনের কর্মকাণ্ডে আমাকে পাবেন। আমাকে আপনারা যে সদস্যপদ দিয়েছেন আমি তারজন্যে আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানাই।


কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাসের প্রেস শাখার প্রথম সচিব রঞ্জন সেন বলেন, ইন্দো বাংলা প্রেস ক্লাবের পথ চলা সবে শুরু করেছে। আগামী দিনের পথ চলায় সব সময় আপনাদের সাথে আমাদের দেখা হবে। আপনারা যে যাত্রা শুরু করেছেনে তাতে আপনাদের অনেক দায়িত্ব বেড়ে গেল।

ভারত এবং বাংলাদেশ -এই দুই দেশের সমন্বয়ে ইন্দো বাংলা প্রেস ক্লাব। গত বছরের ১৪ মার্চ প্রেসক্লাবের সূচনা হলেও ২৪ আগষ্ট আনুষ্ঠানিক পথ চলা শুরু করে। তারপর থেকে দুই দেশের সাংবাদিক এবং বিশিষ্টদের সহযোগিতায় এগিয়ে চলেছে কলকাতার, ইন্দো বাংলা প্রেস ক্লাব।

;