কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের থিম ‘বাংলাদেশ ভবন’
বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য এই বার্তা দিয়েই শুরু হয়েছিল কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। দুই বাংলার ভাষা, সংস্কৃতি, শিল্পকলা সবক্ষেত্রই এক। আর তারই প্রতীক শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবন। ২০১৮ সালের ২৫মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে উদ্বোধন করা হয় বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনের।
শান্তিনিকেতনে দুইবিঘা জমির ওপর প্রায় ৪৫ হাজার স্কোয়ার ফিট জায়গা জুড়ে নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশ ভবন। যার তত্ত্বাবধানে রয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ভবনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের তরফে ব্যয় করা হয়েছে ২৫ কোটি রুপি। কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ ভবন দুই বাংলার ঐক্য ও সংস্কৃতির এক প্রতীক।
কলকাতা বইমেলায় সেই বাংলাদেশ ভবনের আদলে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন গড়ে তুলে সেই বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্যেরই এক বার্তাই যেন দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ভবনের লাইব্রেরিতে আছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ও ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কিত বিভিন্ন গ্রন্থ।
৪৪তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে রয়েছে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৪৩টি প্রকাশনা সংস্থা। ৮টি সরকারি ও বেসরকারি ৩৫টি প্রকাশনা সংস্থা।
রয়েছে ৪১টি স্টল। প্রতি বছরের মতো এবারও চাহিদা আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর লেখা বইগুলির। চাহিদা আছে আনিসুল হক, হুমায়ূন আহমেদ, জাফর ইকবালসহ বিভিন্ন লেখকের লেখা বইগুলোরও। রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা বই।
উপচে পড়া ভিড় ছিল কথা প্রকাশ, অন্য প্রকাশ ও জাতীয় সাহিত্য প্রকাশের স্টলগুলোসহ সব স্টলেই।
এবছর কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি রাশিয়া। বাংলাদেশসহ বইমেলায় যোগ দিয়েছে কুড়িটি দেশ। স্কটল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কোস্টারিকা, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশগুলি যোগ দিয়েছে বইমেলায় আয়োজিত সাহিত্য উৎসবে।
মেলার শেষ দিনে অর্থাৎ ৯ ফেব্রুয়ারি গোটা বইমেলায় পালিত হবে বাংলাদেশ দিবস। থাকবেন বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। থাকবেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। আগামী বছর আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার থিম হতে চলেছে বাংলাদেশ। এমনই জানিয়েছেন বইমেলার উদ্যোক্তারা।