স্ত্রী হত্যায় নিজের মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেফতারের আদেশ
স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় যেই মামলা করেছিলেন এবার সেই মামলাতেই তাকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২০২১ সালের ১৩ মে থেকে মিতুর বাবার করা মামলায় স্ত্রী হত্যার আসামি হয়ে কারাগারে রয়েছেন বাবুল আক্তার।
রোববার (৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিমের আদালত তদন্ত কর্মকর্তার শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এরআগে গত দুই জানুয়ারি মিতুর বাবার মামলায় কারাবন্দী বাবুল আক্তারকে পাঁচলাইশ থানায় তাঁর করা মামলায় গ্রেফতারের আবেদন করে পিবিআই। মামলাটি তদন্ত করছেন পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার (জিআরও) এস আই শাহীন ভূইয়া৷
২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার তখন চট্টগ্রাম থেকে বদলি হয়ে ঢাকা সদরদপ্তরে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছিলেন। এরপর নানা নাটকীয় ঘটনায় এক পর্যায়ে পুলিশের চাকরি ছাড়েন বাবুল।
ঘটনার প্রায় পাঁচ বছর পর তদন্ত করে বাবুলকেই স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই। গত ১২ মে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন মেয়ে জামাইকে আসামি করে মামলা করেন। একই দিন সেই মামলায় বাদি থেকে আসামি বনে যান বাবুল আক্তার; তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয় পিবিআই। তারপর বাবুলের দায়ের করা মামলার ফাইনাল রির্পোট আদালতে জমা দেয় পিবিআই।
যদিও মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তার যে মামলাটি দায়ের করেছিলেন, সেটির তদন্ত শেষ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল পিবিআই। কিন্তু আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন না নিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। মিতুর বাবার করা মামলাটিও তদন্ত করছে পিবিআই। বাবুলের ও মিতুর বাবার দুই মামলা এক সাথে তদন্ত করছেন পিবিআই’র পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক।
স্ত্রী হত্যার আসামি হয়ে বাবুল আক্তার ১৩ মে থেকে কারাগারে রয়েছেন। গত ২৯ মে থেকে বাবুল আক্তার ফেনী কারাগারে রয়েছেন।