সেই নবজাতককে দেখার জন্য কমিটি গঠন ও ৫ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশ
ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় নিহত মায়ের ভূমিষ্ঠ শিশুকে আপাতত ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ও দেখাশোনার জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এছাড়া আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য গঠিত ট্রাস্টি বোর্ডকে এই টাকা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে শিশু ও তার পরিবারকে কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন।
এর আগে, সোমবার (১৮ জুলাই) ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া শিশুর ১৮ বছর পর্যন্ত যাবতীয় খরচ রাষ্ট্রকে বহনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটে শিশুর যাবতীয় খরচ বহন ও তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
গত ১৬ জুলাই ময়মনসিংহের ত্রিশালে রাস্তা পারাপারের সময় মালবাহী ট্রাকের চাপায় স্বামী-সন্তানসহ ওই অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত হন। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল কোট বিল্ডিং সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ত্রিশাল উপজেলার রাইমনি গ্রামের ফকিরবাড়ির মোস্তাফিজুর রহমান বাবলুর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০), তার স্ত্রী রত্না (৩০) ও মেয়ে সানজিদা (৬)।
রাস্তা পারাপারের সময় ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী তাজ ও মাহী এন্টারপ্রাইজের একটি মালবাহী ট্রাকের চাপায় মৃত্যুর আগে ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেট থেকে সন্তান বের হয়ে আসে। নির্মমভাবে জন্ম নেওয়া শিশুটির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।