‘রায়ের অনুলিপি পেলে হলি আর্টিজানের আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী সিদ্ধান্ত’



বাসস
এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন/ছবি: সংগৃহীত

এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ইতিহাসে বহুল আলোচিত হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আনা মামলার বিষয়ে এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে তা পর্যালোচনার পর রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের নির্দেশনা অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এটর্নি জেনারেল বলেন, হাইকোর্ট রায়ের অনুলিপি পেলে বুঝতে পারব কী যুক্তিতে বা কোন কোন যুক্তিতে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড থেকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো রায়ের কপি আমরা পাইনি।

এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে হাইকোর্ট আসামিদের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন। তাই তাদের মৃত্যু পর্যন্ত কারাগারেই থাকতে হবে। কারাগার থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই।

রাজধানীর হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিদের সশস্ত্র হামলায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মামলায় হাইকোর্টের রায় প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। গত বছরের ৩০ অক্টোবর এই মামলার হাইকোর্ট রায় দেয়।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, হলি আর্টিজান হামলায় দেশি-বিদেশি ২০ জন নাগরিকসহ দু’জন পুলিশ কর্মকর্তাকে নিষ্ঠুর ও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাতে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করেছে হাইকোর্ট।

রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে আলোচিত সন্ত্রাসী হামলা মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে ৭ আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশের রায়ে এই মন্তব্য করেছেন উচ্চ আদালত।

রায়ে আদালত বলেন, নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ডটি জনসাধারণের মনে চরম আতঙ্ক সৃষ্টিসহ জননিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করেছে। বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আসামিদের আপিল ও জেল আপিল এবং ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) খারিজ করে রায় দেয়। আদালত রায়টি বাংলায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আদালত বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ৬ (১) (ক) (আ) ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আপিলকারী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. আসলাম হোসেন সরদার ওরফে মোহন, মো. আব্দুস সবুর খান (হাসান), রাকিবুল হাসান রিগেন ওরফে রাফিউল ইসলাম, মো. হাদিসুর রহমান, মো. শরিফুল ইসলাম খালেদ এবং মামুনুর রশিদ রিপনকে আইনের ৬(২)(আ) ধারায় বর্ণিত সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো।

মামলায় দেশি-বিদেশি ২০ জন নাগরিকসহ দুইজন পুলিশ কর্মকর্তাকে যে নিষ্ঠুর ও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, তাতে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তাছাড়া এই নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ডটি জনসাধারণের মনে চরম আতঙ্ক সৃষ্টিসহ জননিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করেছে। রায়ে বলা হয়, এই অবস্থায় আপিল বিভাগের ‘আতাউর মৃধা ওরফে আতাউর বনাম রাষ্ট্র’ মামলার নজিরের ১৭৯ প্যারায় বর্ণিত পর্যবেক্ষণের মর্ম অনুসারে আপিলকারীদেরকে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। সে অনুযায়ী প্রত্যেককে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৫ বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়- বলে রায়ে উল্লেখ করেন হাইকোর্ট।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আরিফুল ইসলাম ও আমিমুল এহসান। আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন এস এম শফিকুল ইসলাম।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ৬ (১) (ক) (অ) ধারা অনুসারে অপরাধ করায় বিচারিক আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। কিন্তু হাইকোর্ট বলেছেন-না, এই আসামিরা ৬ (১) (ক) (আ) ধারা অনুসারে অপরাধ করেছেন। অর্থাৎ এই আসামিরা কেউই সরাসরি হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন না। তারা সহযোগিতার (অ্যাবেটমেন্ট) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখানে সাজা হলো যাবজ্জীবন। এখানে আপিল বিভাগের ‘আতাউর মৃধা ওরফে আতাউর বনাম রাষ্ট্র’ মামলার নজিরের ১৭৯ প্যারায় বর্ণিত পর্যবেক্ষণের মর্ম অনুসারে আপিলকারীদের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করেন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির (আত্মঘাতী) সদস্যরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হন পাঁচ জঙ্গি। এ ঘটনা দেশ বিদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার মামলায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান একজনকে খালাস দিয়ে সাতজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ। খালাস পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।

ফৌজদারি মামলায় বিচারিক আদালত যখন আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেন, তখন ওই দণ্ড কার্যকরের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী মামলার সব নথি হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন, যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত। নথি আসার পর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করে। এরপর বেঞ্চ নির্ধারণ হলে শুনানি শুরু হয়। সে আলোকে মামলাটি হাইকোর্টে শুনানি ও রায় হয়েছে।

দেশের ইতিহাসে অন্যতম নৃশংস এ হামলায় ৯ ইতালীয়, ৭ জাপানি, এক ভারতীয়, এক বাংলাদেশি-আমেরিকান দ্বৈত নাগরিক ও দুজন বাংলাদেশিসহ মোট ২০ জনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গ্রেনেডের আঘাতে প্রাণ হারান বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ ও সহকারী পুলিশ কমিশনার রবিউল ইসলাম।

হামলার পর জিম্মি অবস্থার অবসানে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে নিহত হন পাঁচ জঙ্গি। তারা হলেন- মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ওরফে মামুন, নিবরাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের সময় নিহত হয়েছেন নব্য জেএমবির আরও আট সদস্য। তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল হাসনাত রেজা করিমও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান।

ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন ওই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।

চট্টগ্রামে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
আদালত/ছবি: সংগৃহীত

আদালত/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় গৃহবধূ পারভিন আক্তারকে হত্যার দায়ে তার স্বামী জামাল উদ্দিনকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

বুধবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা বেগমের আদালত এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আব্দুর রশীদ।

তিনি বলেন, পারভিন আক্তারকে হত্যার অভিযোগে ৩০২ ধারায় সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামি জামাল উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজাট টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মো. জামাল কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার মুসাগারা এলাকার মৃত জোনাব আলীর ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ভিকটিম পারভীন আক্তারের সাথে বিয়ে হয় জনৈক মনা মিয়ার। বিয়ের তিন বছরের মাথায় তাদের বিচ্ছেদ হয়। পরে আসামি জামালের সাথে বিয়ে হয় পারভীন আক্তারের। ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে মোবাইল ফোনে ভিকটিমের বোন বেবী আক্তার খবর পান পারভীন মারা গেছেন।

পরে বেবী আক্তার মর্গে রাখা লাশে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। বিভিন্ন সময় জামাল তার স্ত্রী পারভীনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ঘটনার আগের দিন সকালেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। প্রায়ই ঝগড়া হওয়ায় ওই বাসার মালিক তাদের বাসা ছেড়ে দিতে বলে।

ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাসার মালিক নতুন ভাড়াটিয়াকে বাসা দেখানোর জন্য গেলে দরজার বাইরে হুক লাগানো দেখতে পায়। ঘরে ঢুকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় পারভীন আক্তারের লাশ চৌকির ওপর কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে এবং ঘরে তার স্বামী নেই।

সঙ্গে সঙ্গে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে থানা পুলিশকে জানায় বাড়ির মালিক। পরবর্তীতে ওই বছরের ১৮ জানুয়ারি পারভীন আক্তারের বোন বেবি আক্তার বাদী হয়ে জামালে আসামি করে বাকলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আব্দুর রশীদ বলেন, মোট ১৪ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামি জামাল উদ্দিন তার স্ত্রী পারভিন আক্তারকে হত্যার অভিযোগ ৩০২ ধারায় সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন।

;

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে বিলম্ব বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে উপহাস: হাইকোর্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সাংবাদিক দম্পতি মেহেরুন রুনি ও সাগর সারোয়ার

সাংবাদিক দম্পতি মেহেরুন রুনি ও সাগর সারোয়ার

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ ও বিচার শুরু করতে বিলম্বের বিষয়টি দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে ক্রমাগত উপহাস এবং এটি বিচার ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের দেওয়া এক আদেশের পূর্ণাঙ্গ এমন পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) গত ১৩ মে দেওয়া ওই রায়ের ৬৫ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ পাঠ প্রকাশিত হয়েছে।

আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এ পর্যন্ত ১১১ বারের মতো পিছিয়েছে।

পূর্ণাঙ্গ পাঠে হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে বলা হয়, আমাদের দেশে হত্যার বিচার হতে কখনো কখনো ২০ বছরের বেশি সময় লাগে। এ ধরনের হত্যাকাণ্ডকে যদি কোনো রাজনৈতিক চেহারা দেয়া হয়, তাহলে এর চেয়েও বেশি সময় লাগতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার এফআইআর দায়ের করা যায়নি ২১ বছরের বেশি সময় ধরে।

আরও বলা হয়, সাগর-রুনি হত্যা মামলার ঘটনার ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও তদন্ত এখনো শেষ হয়নি এবং সে কারণে এটি এখনও বিচারের আলো দেখতে পারেনি।

‘দুর্ভাগ্যবশত এই মামলাটি ক্রমাগত আমাদের ফৌজদারি বিচারব্যবস্থাকে উপহাস করে চলেছে এবং আমাদের অপ্রস্তুত করে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। যা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলা দ্বারা কিছুটা প্রতিকার হয়েছিল।’

প্রসঙ্গত, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বেঞ্চের ১৩ মে'র এক রায়ের পূর্ণাঙ্গ পাঠে এসব পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

রায়ে হাইকোর্ট বলেছিলেন, যাদের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে কিন্তু আপিল মুলতবি আছে, তাদের অবশ্যই কনডেম সেলে রাখা যাবে না এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের দণ্ডিতদের কনডেম সেল থেকে সাধারণ জেলে স্থানান্তর করতে হবে।

প্রকাশিত রায়ের পূর্ণাঙ্গ পাঠে হাইকোর্ট কারাগারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে কনডেম সেল থেকে বন্দিদের সাধারণ কারাগারে স্থানান্তরের জন্য শিগগির ব্যবস্থা নেওয়ার এবং দুই বছরের মধ্যে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আট জনকে আসামি করা হয়। অপর আসামিরা হলেন, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।

;

৭ জুলাই থেকে আইনজীবীদের কালো গাউন পড়তে হবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আইনজীবীদের কালো গাউন

আইনজীবীদের কালো গাউন

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে মামলা শুনানিকালে আইনজীবীদের কালো গাউন পরিধানের বাধ্যবাধকতা শিথিলের কার্যকারিতা রহিত করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এই বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে আইনজীবীবৃন্দের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করে গত ২৬ মে জারি করা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা রহিত করা হলো।

আরও বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের রুলসে উল্লেখিত পরিধেয় পোশাক বিষয় থাকা সংশ্লিষ্ট বিধানাবলী অনুসরণ করে আইনজীবীবৃন্দ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে অংশগ্রহণ করবেন। এ নির্দেশনা আগামী ৭ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

;

দুর্নীতি মামলায় সম্রাটের চার্জ শুনানি ২৬ সেপ্টেম্বর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, ছবি: সংগৃহীত

ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন শুনানির জন্য আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইকবাল হোসেনের আদালত এই তারিখ ধার্য করেন।

মঙ্গলবার মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সম্রাটের পক্ষের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন (হীরা) পরবর্তী শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

গ্রেফতারের পর সম্রাটের বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে সব মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।

;