প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য প্রচারে উচ্চ আদালতের রুল



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হাইকোর্ট ভবন, ছবি: সংগৃহীত

হাইকোর্ট ভবন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য মুদ্রিত লিফলেট আকারে ছাপিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটারদের মধ্যে বিতরণ ও গণমাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

চার সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিব ও নির্বাচন কমিশনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী হাসান তারেক ও সৌমিত্র সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের হলফনামার তথ্যাদি মুদ্রিত লিফলেট আকারে ছাপিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটারদের মধ্যে বিতরণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মানবাধিকার সংগঠন ল এন্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে রিটটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব।

রিটে বলা হয়, একটি গুণগত ও সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে সঠিক এবং যোগ্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে জন্য সকল প্রার্থীদের ব্যাক্তিগত তথ্যাবলী ভোটারদেরকে অবগত করা না হলে যোগ্য প্রার্থীদের সংসদ সদস্য নির্বাচন যথাযথ হয় না। আরপিও এবং নির্বাচনি ম্যানুয়াল চ্যাপ্টার সেভেন এ বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে বলা রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এ সংশ্লিষ্ট লিফলেট বিতরণ করা হয় না। তাই ওই সব লিফলেট প্রচারে রিটে নির্দেশনা চাওয়া হয়।

   

১৫২ কোটি টাকা ঋণখেলাপি, দম্পতিসহ তিনজনের দেশত্যাগে মানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেসরকারি সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংকের চট্টগ্রামের একটি শাখার ১৫২ কোটি টাকা ঋণখেলাপি মামলায় ব্যবসায়ী দম্পতিসহ তিনজনের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন একটি আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দিয়েছেন।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া তিনজন হলেন- লিজেন্ড টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম আবদুল হাই, তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক নিলুফার আকতার ও পরিচালক মোরশেদ শাহনুর হাসিন হিমাদ্রি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহাকারী রেজাউল করিম শাহেদ।

আদালত সূত্রে জানা যায়, এস এম আবদুল হাইসহ তিনজনের কাছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখার ১৫২ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এটি নিয়ে ব্যাংকের ওই শাখা তাদের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে একটি ঋণখেলাপি মামলা করে। এ ছাড়া তাদের বিভিন্ন ব্যাংকে তাঁদের দেনার পরিমাণ ৬০০ কোটি টাকার বেশি। এর বিপরীতে ব্যাংকে যে পরিমাণ সম্পদ তাঁরা বন্ধক রেখেছেন, তা খুবই কম। বন্ধক থাকা সম্পদ দিয়ে ওই ঋণ শোধ হবে না।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, ব্যাংকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়- তাঁরা তিনজন ঋণ পরিশোধ না করে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। একই সঙ্গে বিশেষ পুলিশ সুপারকে (অভিবাসন) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

;

বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত তার ৮৩টি দলিলের সম্পদ জব্দের এ আদেশ দেন।

এর আগে গত মাসের ২২ এপ্রিল বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টে রিট দায়ের করা করেন।

প্রসঙ্গত, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক জাতীয় দৈনিকের দাবি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) ‘আমার কিছু কথা’ শিরোনামে এক ভিডিও বার্তায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেনজীর আহমেদ বলেন, মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।

বেনজীর আহমেদের দাবি, কিছু তথ্য ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।

;

আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ড

৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ আদালতের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মামলার এজাহার আদালতে আসে। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহবুবুল হকের আদালত তা গ্রহণ করে আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে বুধবার (২২ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজীম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন।

১১ মে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও সেটি বন্ধ পাই।

১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদেবার্তা আসে। এতে লেখা ছিল- আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি। আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত শাহ’র কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেবো।এছাড়া আরো কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদেবার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন অপহরণকারীরা ব্যবহার করে থাকতে পারেন।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনো সন্ধান না পেয়ে বাবার ভারতীয় বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে বরাহনগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে বাবাকে অপহরণ করেছে।

গত ১২ মে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে কলকাতায় যান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। প্রথম দিন তিনি তার বন্ধু গোপালের বাসায় থাকেন। পরদিন ১৩ মে কৌশলে এমপি আনারকে নিউটাউনের এক ফ্ল্যাটে কৌশলে ডেকে নিয়ে যান হত্যাকারীরা। বিকেলের দিকে এমপি আনার সঞ্জীবা গার্ডেনের সেই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। এরপর আমান তার সহযোগী ফয়সাল, মোস্তাফিজ, সিয়াম ও জিহাদ মিলে এমপিকে চাপাতির মুখে জিম্মি করেন। এসময় তারা এমপির কাছে শাহীনের পাওনা টাকা পরিশোধের কথাও বলেন। বিষয়টি নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সবাই মিলে আনারকে জাপটে ধরে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর আমান বিষয়টি শাহীনকে জানায়।

;

ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ল



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. ইউনূসসহ আসামিদের জামিনের মেয়াদ ৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা ১১টার দিকে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আসেন ড. ইউনূস। আদালত শুনানি শেষে ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়ান।

এর আগে গত ১৬ এপ্রিল শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দিয়েছিলেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। আজই জামিনের সময়কাল শেষ হওয়ায় নতুন করে জামিন নিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আসেন ড. ইউনূস।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় প্রদানকারী বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ (পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হলো।

পরে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে গত ২৮ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

;