বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করবে দুদক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় দুদক উপপরিচালক হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে।

এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, তারা রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক জাতীয় দৈনিকের দাবি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) ‘আমার কিছু কথা’ শিরোনামে এক ভিডিও বার্তায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেনজীর আহমেদ বলেন, মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।

বেনজীর আহমেদের দাবি, কিছু তথ্য ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।

   

‘নতুন প্রকল্প গ্রহণে অনাবশ্যক ব্যয় পরিহার করতে হবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষ, ছবি: বার্তা২৪

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষ, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের অনাবশ্যক ব্যয় পরিহার করতে হবে বলে মন্তব্য করে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, ইতিমধ্যে গৃহীত প্রকল্পগুলোকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সশরীরে সরেজমিনে পরিদর্শন করে যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করতে হবে। প্রকল্প ব্যয় ও মেয়াদ যাতে পরবর্তীতে বাড়াতে না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

সোমবার (২৪ জুন) রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সম্প্রতি রাসেল’স ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) নামক বিষধর সাপের উপদ্রপ বেড়েছে, এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতামূলক তথ্য প্রচার ও জনসাধারণের মাঝে পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করতে হবে। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা অপসারণে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের জমিসহ ঘর-বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে এবং এখন তাদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করছে যাতে করে তারা খেয়ে পরে বাঁচতে পারে। অবৈধভাবে দখলকৃত জমিতে কোনো স্থাপনা করা হলে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান সেখানে পরিষেবা দেবে না। এসব ক্ষেত্রে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সব সরবরাহ লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জনগণকে জানাতে হবে সাপে কামড় দিলে তাদের প্রাথমিক পর্যায়ে করণীয় কী, কোথায় গেলে অ্যান্টিভেনম পাবে। হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিভেনমের যোগান সম্পর্কে বিভাগীয় কমিশনার জানতে চান এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।

৩০ জুন শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় যাতে কেউ অসদুপায় অবলম্বন করতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিগত মাসিক সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। সভায় কৃষি জমিতে তামাকের পরিবর্তে খাদ্যশস্য চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণে পদক্ষেপ গ্রহণ, আম বিক্রয়ের ক্ষেত্রে পরিমাপের একক হিসেবে ‘মণ’-কে নির্দিষ্ট কিলোগ্রামে নির্ধারণ, পদ্মাপাড়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, ক্রেতার সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দৃষ্টিতে আনা, বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ভাতা ভোগীরা যেন প্রতারণার শিকার না হয় সে লক্ষ্যে প্রচারণা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

রাজশাহী বিভাগের সব জেলার জেলা প্রশাসক, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এবং বিভিন্ন সরকারি দফতরের বিভাগীয় প্রধানগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

;

জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে কর্মক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানকে বিভাগীয় পর্যায়ে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২৩-২৪ প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম এই সম্মাননা তুলে দেন জেলা প্রশাসককে।

জাতীয় শুদ্ধাচার সম্মাননা গ্রহণ শেষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, এই সম্মাননা আমার জন্য নিরন্তর অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আমি বরাবরের মতই সততা, নিষ্ঠা এবং নির্ভরযোগ্যতার সঙ্গে আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদানে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, চট্টগ্রামের নৈতিকতা কমিটি ও বাছাই কমিটির সভায় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর কার্যাবলী পর্যালোচনা করা হয়। যাচাই-বাছাইয়ের পর চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জন জেলা প্রশাসকের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক। কর্মক্ষেত্রে তার পদচারণা নিঃসন্দেহে সকলের জন্য অনুসরণীয় এবং একই সঙ্গে অনুপ্রেরণাদায়ক।

‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’ শিরোনামে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ২০১২ সালে মন্ত্রীসভা বৈঠকে অনুমোদন করা হয় এবং ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা-২০১৭’ সংক্রান্ত গেজেট জারি করা হয়।

শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য বিবেচ্য ১৮টি গুনণাবলি হচ্ছে-কর্মচারীর পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা, সততার নিদর্শন স্থাপন করা, নির্ভরযোগ্যতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা, শৃঙ্খলাবোধ, সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণ, সেবাগ্রহীতার সঙ্গে আচরণ, প্রতিষ্ঠানের বিধিবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, সমন্বয় ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক নিরাপত্তা সচেতনতা, ছুটি গ্রহণের প্রবণতা, উদ্ভাবনী চর্চার সক্ষমতা, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে তৎপরতা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশে আগ্রহ, উপস্থাপন দক্ষতা, ই-ফাইল ব্যবহারে আগ্রহ, অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগিতা করা। বিবেচিত কর্মচারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারী শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হন।

;

ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করায় এডিসি জিসানুল হক বরখাস্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জিসানুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

রোববার (২৩ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের শৃঙ্খলা শাখা থেকে এডিসি জিসানুল হককে সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়।

এর আগে, আছাদুজ্জামানের ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে অনলাইনে গেল, সেটি নিয়ে তদন্ত করে পুলিশ। এই কর্মকর্তা ছাড়াও পুলিশের আরও দুজন নন ক্যাডার সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়। তাদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সচিব মো. জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জিসানুল হকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ধারা ৩৯ (১) এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ১২ (১) অনুযায়ী চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন তিনি বাংলাদেশ সার্ভিস রুল অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

আছাদুজ্জামান মিয়ার সম্পদ নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয় ঈদুল আজহার আগের দিন রোববার ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকার খবরকে কেন্দ্র করে। ওই খবরে বলা হয়, পুলিশের সাবেক এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্ত্রীর নামে ঢাকায় একটি বাড়ি ও দুটি ফ্ল্যাট, ছেলের নামে একটি বাড়ি এবং মেয়ের নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে ৬৭ শতক জমি রয়েছে। এই তিন জেলায় তার পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে আরও ১৬৬ শতক জমি।

যদিও আছাদুজ্জামান মিয়ার দাবি তার সব সম্পদ বৈধ আয়েই কেনা। তার ছেলে ও মেয়ের নামে যেসব সম্পত্তির কথা বলা হয়েছে, সেটা অর্জনের সামর্থ্য তারা রাখেন। এগুলো তার বৈধ আয়ের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।

মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এল ব্লকের লেন-১-এ ১৬৬ এবং ১৬৭ নম্বরে ১০ কাঠা জমির ওপর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান মিয়ার স্ত্রী আফরোজা জামানের মালিকানায় ছয়তলা একটি বাড়ি রয়েছে। রাজধানীর ইস্কাটনেও আছাদুজ্জামান মিয়ার স্ত্রীর নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। আরও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে ধানমন্ডিতে। এর বাইরে সিদ্ধেশ্বরীতে আছাদুজ্জামানের মেয়ের নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।

প্রতিবদেন আরও বলা হয়, গাজীপুরের কালীগঞ্জের চাঁদখোলা মৌজায় ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সর্বমোট ১০৬ শতক জমি কেনা হয় আছাদুজ্জামানের স্ত্রী আফরোজা জামানের নামে। এ ছাড়া ২০১৮ সালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কৈয়ামসাইল-কায়েতপাড়া মৌজায় আফরোজার নামে ২৮ শতক জমি কেনা হয়। একই বছর একই মৌজায় আরও ৩২ শতক জমি কেনা হয় তাঁর নামে। পূর্বাচলে ১০ কাঠা জমি রয়েছে আছাদুজ্জামান মিয়ার নামে। এ ছাড়া আছাদুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের নামে রাজধানীর আফতাবনগরে ২১ কাঠা জমি রয়েছে। নিকুঞ্জ-১-এ আছাদুজ্জামানের ছোট ছেলের নামেও একটি বাড়ি রয়েছে।

;

খুলনার বাজারে কাঁচা মরিচের আকাশছোঁয়া দাম



ডিস্ট্রিক করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: কাঁচা মরিচ

ছবি: কাঁচা মরিচ

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির ঈদের পর থেকে খুলনার বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচের দাম আকাশছোঁয়া পর্যায়ে পৌঁছেছে। রান্নার অন্যতম এই উপাদানটির বর্তমান মূল্য দাঁড়িয়েছে কেজি প্রতি ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকায়। যা সাধারণ মানুষের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কাঁচা মরিচ আমাদের খাদ্য সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। যা প্রায় সব বাঙালি রান্নায় ব্যবহার করে। এর ঝাঁঝালো স্বাদ এবং সুগন্ধ যেকোনো খাবারকে অতুলনীয় করে তোলে। এটি স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী। কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কাঁচা মরিচের আরও একটি বিশেষ গুণ হল, এটি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি খেলে রক্ত সঞ্চালনও বাড়ে এবং বিপাক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। বিভিন্ন রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি এটি খাদ্যের পুষ্টিমানও বৃদ্ধি করে। ফলে মানুষের মধ্যে কাঁচা মরিচের একটি আবেদন সব সময় ছিল এবং আছে। অথচ কিছুদিন পর পর এই উপাদানটির দাম বেড়ে যায় আকাশচুম্বি।

ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহ সংকট এবং অতিরিক্ত চাহিদার কারণে কাঁচা মরিচের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ঈদের পর থেকে বাজারে মরিচের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। ফলস্বরূপ, প্রতিদিনই দাম বেড়েছে রসুই ঘরের এই প্রধান উপদানটির।

ভোক্তারা এ পরিস্থিতিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন। খুলনা মহানগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজারে আসা মোঃ আঃ জব্বার ফকির নামের একজন ক্রেতা জানান, ‘রান্নার প্রধান উপাদান হিসেবে কাঁচা মরিচ এমন দামে কেনা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন পর পর এই পন্যটির দাম বাড়ে। কেন বাড়ে? আমি মনে করি এটি ব্যবসায়ীদের কারসাজি।’

নগরীর ময়লাপোতা কেসিসি সান্ধ্য বাজার এলাকায় আসা বকসিপাড়া এলাকার সুমাইয়া রহমান নামের অন্য একজন ক্রেতা বলেন, ‘প্রতিদিনের খাবারের জন্য এত বেশি টাকা খরচ করা সম্ভব না। বাজারের কোন ভারসাম্য দেখছি না। মাঝে মধ্যে মনে হয় ঘন্টায় ঘন্টায় বাজারের প্যণের দর দাম উঠানামা করছে। এর একটি বিহীত হওয়া প্রয়োজন।

খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানায়, এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে সরবরাহ চেইনের সমস্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলের ক্ষতি। এছাড়া, অন্যান্য বাজারের পরিস্থিতিও এই মূল্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।

খুলনা বড় বাজার পাইকারি কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, কিছুদিনের মধ্যে সরবরাহ ঠিক হলে দাম কমে আসবে। তবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্রেতাদের এই উচ্চমূল্যেই কাঁচা মরিচ কিনতে হবে।

নগরীর ময়লাপোতা কেসিসি সান্ধ্য বাজার এলাকার কাঁচামাল ব্যবসায়ী মোঃ সেলিম জানান, ৬০ টাকা পোয়া দরে এখন বিক্রি করছি। তবে গতকাল (২৩ জুন) দাম আরো বেশি ছিল। আজ (২৪ জুন) একটু কম। তবে আবার বাড়তে পারে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।

;