সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন

বিএনপি আট, আওয়ামী লীগ ছয় পদে জয়ী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাঁ থেকে, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপ‌তি এম আ‌মান উদ্দিন ও সম্পাদক এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ছবি: সংগৃহীত

বাঁ থেকে, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপ‌তি এম আ‌মান উদ্দিন ও সম্পাদক এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে সরকার সম‌র্থিত প্যানেল সাদা দ‌ল সভাপ‌তি পদসহ ছয়টি পদে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল পেয়েছে সম্পাদকসহ আটটি পদ।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের হল রুমে এই ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

সভাপতিসহ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্যানেল একটি সহ-সভাপতি, একটি সহ-সম্পাদক ও তিনটি সদস্য পদে জয়ী হয়েছে। আর বিএনপি প্যানেল সম্পাদকসহ একটি সহ-সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ, একটি সহ-সম্পাদক ও চারটি সদস্য পদ লাভ করেছে।

দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের এ নির্বাচনে সরকার সম‌র্থিত সাদা দ‌লের সভাপ‌তি প্রা‌র্থী এম আ‌মান উদ্দিন এবং বিএনপি সমর্থিত নীল প্যা‌নে‌লের সম্পাদক প‌দের প্রার্থী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন জয়ী হয়েছেন।

ফলাফল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এম আমান উদ্দিন বলেন, আমি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। আপনাদের সহায়তা নিয়ে আপনাদেরকে একটি সুন্দর বার উপহার দেব।

অন্যদিকে নব নির্বাচিত সম্পাদক এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে প্রতিক্রিয়া জানানোর শুরুতেই বলেন, মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দী খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছি।

এ সময় বারের আওয়ামী পন্থী আইনজীবীরা তার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এ নিয়ে প্রচণ্ড হট্টগোল শুরু হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ ওয়াই মশিউজ্জামানের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এম আমান উদ্দিন পেয়েছেন তিন হাজার ২২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ জে মোহাম্মদ আলী পেয়েছেন দুই হাজার ৪৪৩ ভোট। মাহবুব উদ্দিন খোকন পেয়েছেন তিন হাজার ৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুন নুর দুলাল পেয়েছেন দুই হাজার ৬৪৯ ভোট।

সহ সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির আব্দুল বাতেন (২৮৫৬ ভোট) ও আওয়ামী লীগের মো. জসিম উদ্দিন (২৮৪৯ ভোট)।

কোষাধ্যক্ষ পদে বিএনপির মো. ইমাম উদ্দিন (২৯৪৭ ভোট)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. সৈয়দ আলম টিপু পেয়েছেন ২৮৩০ ভোট।

সহ-সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ীমী লীগের কাজী শামছুল হাসান শুভ (২৭২৯ ভোট) এবং বিএনপির শরিফ ইউ আহমেদ (২৭২২ ভোট)।

সদস্য পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের আফিফা আফরোজ, মো. শামিম সরদার ও চঞ্চল কুমার চোধুরী জী হয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন কাজী আক্তার হোসেন, রাশিদা আলিম ঐশী, মো. ওসমান চৌধুরী এবং সৈয়দা শাহিন আরা লাইলী।

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের আমিন সভাপতি, বিএনপির খোকন সম্পাদক

   

হাবিলদার সুরুজ আলী হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ২১ বছর আগের হাবিলদার সুরুজ আলী হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন- আনোয়ার হোসেন, মো. বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম ও আব্দুল হক ওরফে আব্দুল্লাহ।

আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের অতিরিক্ত বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন। যা অনাদায়ে প্রত্যেক আসামিকে ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আনোয়ার হোসেন ও বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। আসামি আব্দুল হক আব্দুল্লাহ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

২০০৩ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা থানাধীন খিলবাড়ির টেক ছিকুর প্রজেক্টের দক্ষিণপাশের পুকুরে কচুরি পানার মধ্যে পাটের বস্তা থেকে হাবিলদার সুরুজ আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু বকর মাতুবর বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের নামে এ মামলা করেন।

২০০৬ সালের ৩১ অক্টোবর মামলাটি তদন্তের পর সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল বাতেন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

;

সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিল আবারও পিছিয়েছে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়েছে। ১০৮ বারের মতো পিছিয়ে আগামী ৩০ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের জিআর শাখার কর্মকর্তা মাসুদ এ তথ্য জানান।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আট জনকে আসামি করা হয়। অপর আসামিরা হলেন, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।

;

ব্লগার নাজিম হত্যা মামলায় চার্জ গঠন শুনানি ২৪ জুন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় চার্জ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৪ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালত এই তারিখ ধার্য করেন।

এদিন মামলাটির অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল৷ রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শুরু করেন। অভিযোগ গঠন শুনানির এক পর্যায়ে আসামিরা তাদের আইনজীবী নেই বলে আদালতকে জানান। এসময় আসামিরা মৌখিকভাবে আইনজীবী নিয়োগের কথা জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন।

আদালত শেষবারের মত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৪ জুন পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক, মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের, রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ।

আসামিদের মধ্যে প্রথম পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। শেষের চারজন কারাগারে আছেন। শেষ চারজনকে কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত করেছেন কারাকর্তৃপক্ষ।

২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেন ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

;

কারাবন্দি বিএনপি নেতা আসলাম ও তার স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় ১৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কারাবন্দি বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীল মাওলার আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ মে) দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ ড. আবদুল আজিজ ভূঁইয়া এই আদেশ দেন।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর আদালতে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৫ কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা এবং তার স্ত্রীর ৪ কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৭২৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। গত ৫ মে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আসলাম চৌধুরীকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ৭ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীল মাওলার আয়কর নথি জব্দের আবেদন করেন।

দুদকের পিপি কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর আদালতে আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগে মামলাটি দায়ের হয়। গত ৭ মে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক, প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আলোচ্য মামলায় চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীল মাওলার আয়কর নথি জব্দের অনুমতি প্রার্থনা করেন।

আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত গতকাল (মঙ্গলবার) শুনানি শেষে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দুই আসামির আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

;